সফিউল্লাহ আনসারী‘র একগুচ্ছ কবিতা
অস্তিত্ব
সমস্ত অস্তিত্ব হাতড়িয়ে
যা পাই ; তাতে তোমার উপস্থিতিতে
ক্ষণজুড়েই চলে বসন্তের উৎসব !
তুমি মানেই বসন্ত
তুমি মানেই উল্লাস
তুমি মানেই ছন্দ
অস্তিত্ব
সমস্ত অস্তিত্ব হাতড়িয়ে
যা পাই ; তাতে তোমার উপস্থিতিতে
ক্ষণজুড়েই চলে বসন্তের উৎসব !
তুমি মানেই বসন্ত
তুমি মানেই উল্লাস
তুমি মানেই ছন্দ
এক
তীরের দিকে প্রাণ ছুঁড়েছে পাখি;
বৃক্ষ এবার হাওয়ার দিকে ঝুঁকে
ডালপালাকে বলছে এখন নাকি
পর্ণরাজি বাতাস দেবে রুখে!
এমনতর ঋতুর আভাস পেয়ে
আবার
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
যে চলে যাবার জন্যে মনস্থির করেছে। অথবা
যে ‘চলেই যাব’ এই ভেবে কাছে এসেছিলো,
সে যখন আজ চলে যেতে চাচ্ছে, কী ভেবে ফেরাতে চাও তারে!
তুমি
পথরেখা
আলমগীর রেজা চৌধুরী
পথরেখা মুছে গেছে
ষোল ফিট প্রশস্ত কংক্রিট রাস্তা চলে গেছে গঞ্জের দিকে
যারা মূর্খ তারা আলোকিত হোক
………………………………………………
সবুজ চশমার ফ্রেমে এখন বিরল নিদ্রার ঘোর
তামাদি সভ্যতার ভেতর যার জন্ম তার মুখে সুখের কোরাস ধ্বনি
উনুনে জ্বালিয়ে দাও থেতলানো
আজিম আকাশ এর তিনটি কবিতা
ফেরা হলো না
আজো ফেরা হলো না মুক্তিযোদ্ধা খোকার,
৭১ এর রক্তিম সূর্যটা ছিনিয়ে আনবে বলে
সেই যে কবে বেড়িয়েছে ঘর থেকে,
নিরবতা
(বন্ধু মাসুম আলী অপুর জন্য উৎসর্গকৃত)
যন্ত্রণাকাতর বন্ধুর মুখ
কষ্টে ফাঁটে বুক
একাকীত্ব আরো যন্ত্রণাদায়ক
তার চেয়েও যন্ত্রণা দেয় বুক চাঁপামুখ।
বেহুদা রাত্রির ভৎর্সনায় দাঁড়িয়ে যায় স্মৃতির মিনার
বিরহ সংগীত শুনে বোধের আঙ্গুল গুণে স্তন চুষতে থাকে দু্গ্ধপোষা শিশু
উত্যক্ত রাত্রির নাগরিক শোকে আমার মা হয়ে গেছে
দরিয়া পাড়ের দরদে আমরা যাচ্ছিলাম
মাহফুজ রিপন
ধানসিঁড়ির পাড় দিয়ে আমরা যাচ্ছিলাম।
শিমুল ফোটা ভোরে, আমরা যাচ্ছিলাম।
দরিয়া পাড়ের দরদে-
আমরা যাচ্ছিলাম ।
সারি সারি নিম
ত্রসরেণু
শাকিলা তুবা
জলীয় বাষ্প মানেই হাওয়া হওয়া জল
তুমি কি আছ? নাকি জলের মতই বাষ্প?
বাতাসে কর্পুর গন্ধ ভাসে
তুমি মিশে গেছ নোনা হাওয়ায়