ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাব এবং আমাদের উৎসবমুখর ভালোবাসা

আরিফ আহমেদ

Sharing is caring!

“মিশ করি খুব বন্ধু তোমার মুখ
একটু দেখা হলে উৎসবমুখর সুখ।।”
বন্ধুদের আড্ডার সুখ কতটা মজাদার তা শুধু জানে আড্ডা পাগল।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের আড্ডা মানেই এমনি পাগলপাড়ায় মেতে উঠা সৃজনশীলতা।

২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর দুপুরে এক ঝাঁকঝমক উৎসবের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু করে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাব। সাংবাদিক, কবি ও সংগঠক বন্ধু স্বাধীন চৌধুরী এবং সম্পাদক ও সভাপতি বাপ্পী চৌধুরীর আমন্ত্রণে সেদিন ঢাকা থেকে ছুটে যাই ময়মনসিংহ। ঘরোয়া উৎসব শেষে সবাই জমিয়ে আড্ডা দিয়েছিলাম ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে হিমু আড্ডা যাকে বলে।
ঐ আড্ডা থেকে পরিকল্পনা গ্রহণ। এই প্রেসক্লাব শুধু সাংবাদিক সম্পাদক আড্ডার স্থান হবেনা। এখানে উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম তৈরি ও প্রসারের উদ্যোগ হবে।

যেই কথা সেই কাজ। প্রথমেই উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা গ্রহণ ছিলো আমাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। যার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রতিটি সংবাদ কর্মী। কম্পিউটার ও ক্যামেরার দক্ষতা তৈরি ছিল এ কর্মশালার মূল লক্ষ।
এরই প্রেক্ষিতে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাব নিয়মিত প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কার্যক্রম চালু করতে সক্ষম হয়।
সদস্য বন্ধুদের নিয়ে প্রতিবছর পিকনিক করা, সদস্যদের সুবিধা অসুবিধা পর্যালোচনা করে সে অনুযায়ী সাহায্য সহযোগিতা দেয়ার সুনাম পৌঁছে যায় দূর দূরান্তে। করোনাকালীন সংকটে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের ভূমিকা ছিল ত্রাণকর্তা যেন। সয়ং সিটি করপোরেশন মেয়র টিটুও ঐক্যবদ্ধ হন এখানে এসে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিভাগীয় প্রধান সকলের মুখে মুখে তখন ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের নাম।

এই প্রেসক্লাবটির ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন হচ্ছে।
সাংবাদিকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে ময়মনসিংহ শহর। দুটি বছর করোনাকালীন লকডাউনে থাকার পর
এবারও বর্ণাঢ্য আয়োজনে গত বুধবার ১৩ অক্টোবর বিকাল ৩ টায় ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উৎসব মুখর পরিবেশে সাংবাদিকদের মিলনমেলায় পরিণত হয় অনুষ্ঠান স্থল। ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন আনন্দঘন এই অনুষ্ঠানে। মিষ্টি মুখ ও কেক কেটে দিনটিকে স্মরনীয় করে রাখে সংগঠনের নেতৃবন্দরা।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বিভাগীয় প্রধান প্রাণিবিদ্যা বিভাগ সরকারী আনন্দ মোহন কলেজ প্রফেসর ড: মোঃ তোফাজ্জল হোসেন। তিনি তার বক্ত্যবে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং সফলতা কামনা করে বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাব খুব দ্রুত এগিয়ে যাবে। ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাব-এর এই আয়োজন খুবই সমৃদ্ধ এবং চমৎকার। আগামী দিনেও এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাব-এর সভাপতি, দৈনিক মাটি ও মানুষ পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক, গণমাধ্যম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট-এর মহাপরিচালক একেএম ফখরুল আলম বাপ্পী চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাব-এর সম্পাদক এইচএম ফারুক।
মূখ্য সমন্বয়ক স্বাধীন চৌধুরী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাব এর সহ-সভাপতি ও দৈনিক শাশ্বত বাংলার নির্বাহী সম্পাদক প্রদীপ কুমার ভৌমিক, সহ-সভাপতি মোহনা সংবাদ.কম প্রধান সম্পাদক মুনীর চৌধুরী, সহ-সভাপতি ও দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিন প্রকাশক ড. মোঃ ইদ্রিস খান, সহ-সভাপতি ও দৈনিক শাশ্বত বাংলা সম্পাদক আজগর হোসেন রবিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জনতার আদালত.কম এর ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান আব্দুল কাদের চৌধুরী মুন্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন প্রান্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক উর্মি বাংলা প্রতিদিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সুমন ভৌমিক।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাব এর সাংগঠনিক সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান মনির, নির্বাহী সদস্য নাসরিন সুলতানা, অর্থ সম্পাদক শরাফত আলী শান্ত, সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি ফজলুল হক, সাংবাদিক মোঃ কামাল, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল আমিন, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম মিন্টু, পূর্বধলা উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি নূরুল ইসলাম, সাংবাদিক বাপ্পী দাস, ত্রিশাল রিপোর্টার’স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন,দীপক চন্দ্র দে, সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সাংবাদিক শরৎ সেলিম, সাংবাদিক ফয়জুল্লাহ, শেখ সাদি মাসুম, কবি সাংবাদিক রোকসানা আক্তার, সাংবাদিক দারা উদ্দিন দারা প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

Sharing is caring!

About the author

ডিসেম্বর ৭১! কৃত্তনখোলার জলে সাঁতার কেটে বেড়ে ওঠা জীবন। ইছামতির তীরঘেষা ভালবাসা ছুঁয়ে যায় গঙ্গার আহ্বানে। সেই টানে কলকাতার বিরাটিতে তিনটি বছর। এদিকে পিতা প্রয়াত আলাউদ্দিন আহমেদ-এর উৎকণ্ঠা আর মা জিন্নাত আরা বেগম-এর চোখের জল, গঙ্গার সম্মোহনী কাটিয়ে তাই ফিরে আসা ঘরে। কিন্তু কৈশরী প্রেম আবার তাড়া করে, তের বছর বয়সে তের বার হারিয়ে যাওয়ার রেকর্ডে যেন বিদ্রোহী কবি নজরুলের অনুসরণ। জীবনানন্দ আর সুকান্তে প্রভাবিত যৌবন আটকে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পদার্পন মাত্রই। এখানে আধুনিক হবার চেষ্টায় বড় তারাতারি বদলে যায় জীবন। প্রতিবাদে দেবী আর নিগার নামের দুটি কাব্য সংকলন প্রশ্ন তোলে বিবেকবানের মনে। তার কবিতায়, উচ্চারণ শুদ্ধতা আর কবিত্বের আধুনিকায়নের দাবী তুলে তুলে নেন দীক্ষার ভার প্রয়াত নরেণ বিশ্বাস স্যার। স্যারের পরামর্শে প্রথম আলাপ কবি আসাদ চৌধুরী, মুহাম্মদ নুরুল হুদা এবং তৎকালিন ভাষাতত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রাজীব হুমায়ুন ডেকে পাঠান তাকে। অভিনেতা রাজনীতিবিদ আসাদুজ্জামান নূর, সাংকৃতজন আলী যাকের আর সারা যাকের-এর উৎসাহ উদ্দিপনায় শুরু হয় নতুন পথ চলা। ঢাকা সুবচন, থিয়েটার ইউনিট হয়ে মাযহারুল হক পিন্টুর সাথে নাট্যাভিনয় ইউনিভার্সেল থিয়েটারে। শংকর শাওজাল হাত ধরে শিখান মঞ্চনাটবের রিপোটিংটা। তারই সূত্র ধরে তৈরি হয় দৈনিক ভোরের কাগজের প্রথম মঞ্চপাতা। একইসমেয় দর্শন চাষা সরদার ফজলুল করিম- হাত ধরে নিযে চলেন জীবনদত্তের পাঠশালায়। বলেন- মানুষ হও দাদু ভাই, প্রকৃত মানুষ। সরদার ফজলুল করিমের এ উক্তি ছুঁয়ে যায় হৃদয়। সত্যিকারের মানুষ হবার চেষ্টায় তাই জাতীয় দৈনিক রুপালী, বাংলার বাণী, জনকণ্ঠ, ইত্তেফাক, মুক্তকণ্ঠের প্রদায়ক হয়ে এবং অবশেষে ভোরেরকাগজের প্রতিনিধি নিযুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়ান ৬৫টি জেলায়। ছুটে বেড়ান গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। ২০০২ সালে প্রথম চ্যানেল আই-্র সংবাদ বিভাগে স্থির হন বটে, তবে অস্থির চিত্ত এরপর ঘনবদল বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, আমাদের সময়, মানবজমিন ও দৈনিক যায়যায়দিন হয়ে এখন আবার বেকার। প্রথম আলো ও চ্যানেল আই আর অভিনেত্রী, নির্দেশক সারা যাকের এর প্রশ্রয়ে ও স্নেহ ছায়ায় আজও বিচরণ তার। একইসাথে চলছে সাহিত্য বাজার নামের পত্রিকা সম্পাদনার কাজ।