সংঘাতহীন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বরিশালেঃ সবসময় এই চিত্র দেখতে চান ভোটাররা
পূর্ব কর্ণকাঠী মাদ্রাসা কেন্দ্রে মহিলা ভোটারের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
বরিশাল সদর উপজেলার ১২ টি কেন্দ্রের ৫টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। অন্য ৭ টিতে প্রচণ্ড প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচন যেমন উৎসবমুখর, তেমনি সংঘাতহীন ও শান্তিপূর্ণ ছিলো। ভোটাররা আগামীতেও একইরকম নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী করে বরিশালের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
চরকাউয়া ইউনিয়ন এর গাজীবাড়ি কেন্দ্র
সরেজমিনে ১১ নভেম্বর সকাল থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত সদর উপজেলার চরকাউয়া, চাঁদপুরা ও চরমোনাই ইউনিয়নের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
চরকাউয়া ইউনিয়নের সর্বাধিক ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্র চরাইছা গাজীবাড়ি, চরকাউয়া স্কুল ও পূর্ব কর্ণকাঠী মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ভোটারের উপস্থিতি ছিলো উৎসবমুখর। বিশেষ করে পূর্ব কর্ণকাঠী মাদ্রাসায় মহিলা ভোাটারের উপস্থিতিতে লাঙল, আনারস ও মোটরসাইকেল কর্মীদের আনন্দ উপচে পরছিলো। এখানের কেন্দ্রে মোট ভোটার প্রায় ৩৫০০ প্রায় ৫০০ নতুন ভোটার। শেষ পর্যন্ত চরকাউয়া ইউনিয়নে আনারস ও লাঙলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল বলে ধারণা করছিলেন তিন কেন্দ্রের মেম্বর প্রার্থীর কর্মীরা। তারা জানান, দীর্ঘ দশবছর পর ভোট দিতে পারছে মানুষ। এটাই সবচেয়ে বড় আনন্দ।
সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়ন এর তালুকদার হাট কেন্দ্র।
বরিশাল সদরের চাঁদপুরা ইউনিয়নের তালুকদার হাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৭৫ ভাগ ভোট জমা পড়েছে বলে জানালেন রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রভাষক এনামুল হক।
এখানের মোট ভোটার সংখ্যা ২০৪৭। এখানে আনারস ও হাতপাখার মধ্যে জোড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করছে ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ৪ নং ওয়ার্ড মৌলভীর হাটে ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৫০০। এখানেও ছিলো একই চিত্র। ৮ নং সাহেবের হাট এলাকায় ব্যাতিক্রম দৃশ্য। এখানের চরপুতানিয়া কেন্দ্রের জনস্রোত আনারস ও নৌকার।
এই ইউপিতে মোট ভোটার ১৯ হাজার প্রায় এবং শেষ পর্যন্ত আনারস এগিয়ে থাকার দাবী ভোটারদের।
চরমোনাই বিশ্বাসের হাট ভোট কেন্দ্র।
বরিশাল সদরের চরমোনাই ইউপির বিশ্বাসের হাট ভোট কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২৯০০। ইউনিয়নের মোট ভোটার ২৭ হাজার, কেন্দ্র ১০টি। এই কেন্দ্রে ১১৫ বয়সের রাণীবালার ভোট দিতে আসা ও হাতপাখার কর্মীদের তাকে ধরে রাখায় হাতপাখার জয়জয়কার ঘোষিত হয় অবলীলায়। এখানে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ভোটার ও কর্মীদের হাতপাখা ব্যাজ বহন করাটাও একই বার্তা দিচ্ছে।
তবে নৌকার প্রার্থী নুরুল ইসলাম মাষ্টার এর সাথে জিয়াউল করিমের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিলো দুপুর দেড়টাতেও।
