করোনাকালীন কবিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাহিত্য বাজার

Sharing is caring!

ঠাডাকালে তালগাছ নয়
হা সা ন মা হ মু দ

আমোদ ফুরাইছে বন্ধু!
কুসুমিত ভোর ছেড়ে এখন যাচ্ছ প্রণয়-সকালে।
নেতির বল্কলে আচ্ছাদিত হতে হতে কখন হয়ে গেছ ছায়ামানুষ! বিধির বিধান মতে মঙ্গলগীতি ভুলে এখন বৃক্ষশোভিত প্রান্তরের দিকে আমারও অভিগমন। মন্দ কী! সহযাপনের অভিজ্ঞতা পাক মামুলি বর্তমান।

সুন্দর একা- বড়ই অসহ…
তবে শুভেচ্ছা প্রবাহকালে সব নীতিই আমলযোগ্য
আফসোস! ভাটিতে বাস তবু জানা হলো না
ছই রোদ-বৃষ্টি ঠেকায়– ঠাডাকালে তালগাছ নয়…

অপরাহ্ন
পূর্বাপর
কারওয়ান বাজার
ঢাকা।
০১-০৯-২০২০

 

হয়তোবা
—–

মামুন মোয়াজ্জেম

 

হয়তো কিছুই হয়নি
হয়তোবা হয়েছে কিছু
একটু-আধটু

হয়তো গড়িয়ে গেছে
ভেসে গেছে
হয়তোবা আঁকড়ে আছে

পৈতৃক জমিনের নিচে শিকড়টা গভীরে পুঁতে
ভালবেসে আদিম খেলাঘর
হয়তো জড়িয়ে আছে !

হয়তো মেঘলাকাশে ধুয়ে মুছে গেছে
ওপারে অজানা লোকে হয়তোবা আটকে আছে

যে চিনেছে ঘর যে চেনায় অচিন রঙমহল
তার আয়না ঘরে সাজ সাজ চীকে আটকে গেছে

হয়তোবা ছুটেও গেছে নিরন্ধ্র বেণী থেকে
মিলনের প্রজাপতি
সান্ধ্য রঙের হোলিখেলা থেকে
গোপনে গিয়েছে অন্তরাল

হয়তো যায়নি কেউ
গিয়ে গিয়েও কেউ এসেছে
হয়তো হয়নি অনন্তের ধূপ বাজির খেলা
হয়তো হয়েছে
হচ্ছে, হবে !

এই অনন্ত প্রবাহের জীবনের স্রোতে
নাচাগানা রঙ তামশা হবে

হয়নি হয়নি করেও কিছুতো হয়েছে
কিছুতো মানব জন্ম আমরা পেয়েছি
বাস্তব দুপুর এই রোদ্দুর তার কিছু তাপ
আমরাতো পেয়েছি
কিছুটা হয়েছে
হয়তোবা হয়নি কিছুই
নিয়ম অনিয়মে
হওয়া না হওয়াতে !


তুমিহীন!
কামরুন নাহার মুন্নী

কত না প্রহর কেটে গেল
কত রাত! কত দিন!
ফিরে যায় দখিনা বাতাস
বৃষ্টির রিমঝিম,
পাখিদের গান, ফুলের সুবাস,
নদীর কলতান
তুমি ছাড়া বিরান সবকিছু!
চাইলেই পারি না ছুঁতে
তারা হয়ে জেগে থাকো আকাশে।
স্বপ্নের খেলাঘর ভেঙে যায়
জীবনের বৈরী বাতাসে!
ব্যাথার পাহাড় বাড়ে উচ্চতায়-
যায় না ভাঙা কোনমতে।
আশাগুলো হলো লীন
ধূসর মরুভূমিতে!
কখনোবা কালো মেঘে
ছেয়ে যায় আকাশ
ব্যাথার বাদল নামে দুচোখে!
ঝাপসা চোখে তাকাই
লোনা জলে ছবি হয়ে
তুমি থাকো মিশে!
৯.৭.২০
কলেজ রো, বরিশাল।

 

অনুভব

 

অপূর্ব গৌতম

আমার পিঠে একটা থাপ্পর অনুভব করলাম
ফিরে তাকাতেই মালবিকা একগাল হেসে বললো
আমার কথা মনে ছিল না ?

মালবিকা এখন দিদিমা হয়েছে
আর আমি বাবাও হতে পারলাম না !

মরণ
আরিফ আহমেদ

মরণ, মরণরে
আজন্ম প্রেম আমার তোর সনে
যখন খুশি হতে পারে পদার্পণ
আমি খুলে রেখেছি দুয়ার তোর তরে।

প্রতিদিন তোর আশা যাওয়ার গল্প শুনি
প্রতিবেশী পরিজনের চোখের জলে
কত শত রূপে আগমন তোর
কখনো রোগে বহুরূপী প্রেমিক
সড়কের বাস-ট্রেন
কখনো আবার মানুষের ভেকে আগমন তোর।

মরণ, মরণরে! জানি আসবিই তুই,
আজ নয়তো কাল তোকে আসতেই হবে আমার এই ভাঙা ঘরে।
জন্ম মাত্রই যে তোর অপেক্ষায় প্রতিটি জীবন বাঁচে মরে।

শুধু তোর আগমন কালে
আমি যেন থাকি
সেজদায় ; ঈশ্বরের তরে।।

 

Print Friendly, PDF & Email

Sharing is caring!