নির্মলেন্দু গুণ ও মৃত্তিকা গুণ এর কবিতা
নির্মলেন্দু গুণ আবার যখনই দেখা হবে
আবার যখনই দেখা হবে, আমি প্রথম সুযোগেই
বলে দেব স্ট্রেটকাটঃ ‘ভালোবাসি’।
এরকম সত্য-ভাষণে যদি কেঁপে ওঠে,
অথবা ঠোঁটের কাছে উচ্চারিত শব্দ
নির্মলেন্দু গুণ আবার যখনই দেখা হবে
আবার যখনই দেখা হবে, আমি প্রথম সুযোগেই
বলে দেব স্ট্রেটকাটঃ ‘ভালোবাসি’।
এরকম সত্য-ভাষণে যদি কেঁপে ওঠে,
অথবা ঠোঁটের কাছে উচ্চারিত শব্দ
বইয়ের সাথে হোক বন্ধুত্ব । মননশীলতার বিকাশ,শুদ্ধতার চর্চা,মানবিকতার জাগরণ কিংবা জ্ঞাণার্জনের মাধ্যম, যাই বলুন- বইয়ে সান্নিধ্য অবশ্যই প্রয়োজন।কারন বই পাঠের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী যেমন তার জ্ঞার্ণাজনের মাধ্যমে জীবনের শুরু করেন
হঠাৎ তুফান এলো নদীতে। প্রচন্ড ঢেউয়ের আঘাতে দুলে উঠলো বিশাল বড় জলযানটি। ঢেউতো নয় যেন বিশালাকার পাহাড় আছড়ে পরছে নদীর জলে। আচমকা নদীর এই ক্ষেঁপে উঠার কারণ ভাবার সময় কারো
রূপকথার গান, গানের রূপকথা : আতাসরকার
গান শোনা যায় কুয়োর পারে। গান জেগে ওঠে ব্যাঙের ডাকে। পানিতে ভেসে যায় কথার ভেলা। ভেলায় সাপে-কাটা মানুষ। চারপাশে লাল-নীল-শাদা-কালো-সবুজ-হলুদ পতাকা। বাতাসের ছন্দে ছন্দে
তার কথা মনে পড়ে
তার কথা মনে পড়ে
আঁড়ে আঁড়ে বারে বারে
যত চাই ভুলিবারে
ততো মনে জ্বালা ধরে ।
কোথায় সে, কেমন আছে
কাকে সে
অস্তিত্ব
সমস্ত অস্তিত্ব হাতড়িয়ে
যা পাই ; তাতে তোমার উপস্থিতিতে
ক্ষণজুড়েই চলে বসন্তের উৎসব !
তুমি মানেই বসন্ত
তুমি মানেই উল্লাস
তুমি মানেই ছন্দ
এক
তীরের দিকে প্রাণ ছুঁড়েছে পাখি;
বৃক্ষ এবার হাওয়ার দিকে ঝুঁকে
ডালপালাকে বলছে এখন নাকি
পর্ণরাজি বাতাস দেবে রুখে!
এমনতর ঋতুর আভাস পেয়ে
আবার
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
যে চলে যাবার জন্যে মনস্থির করেছে। অথবা
যে ‘চলেই যাব’ এই ভেবে কাছে এসেছিলো,
সে যখন আজ চলে যেতে চাচ্ছে, কী ভেবে ফেরাতে চাও তারে!
তুমি
পথরেখা
আলমগীর রেজা চৌধুরী
পথরেখা মুছে গেছে
ষোল ফিট প্রশস্ত কংক্রিট রাস্তা চলে গেছে গঞ্জের দিকে
যারা মূর্খ তারা আলোকিত হোক
………………………………………………
সবুজ চশমার ফ্রেমে এখন বিরল নিদ্রার ঘোর
তামাদি সভ্যতার ভেতর যার জন্ম তার মুখে সুখের কোরাস ধ্বনি
উনুনে জ্বালিয়ে দাও থেতলানো