যে জীবন আমার নয়
রাত্রির অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ভয়ার্ত হৃদয়ের বসবাস
বাইরে বুনো হায়েনার গর্জনে স্তম্ভিত দেশ
অন্ধকার কেটে যাওয়ার আশায় বসে থাকা তরুনের
কপাল জুড়ে দেখা যায় বুড়োদের মতো বলিরেখার ভাঁজ।
রাত্রির অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ভয়ার্ত হৃদয়ের বসবাস
বাইরে বুনো হায়েনার গর্জনে স্তম্ভিত দেশ
অন্ধকার কেটে যাওয়ার আশায় বসে থাকা তরুনের
কপাল জুড়ে দেখা যায় বুড়োদের মতো বলিরেখার ভাঁজ।
মৌসুমী রায়(ঘোষ)-এর কবিতা
প্রকৃতি
প্রেমের প্রধান পৃষ্ঠপোষক|
তাই তো বসন্ত আসে|
(১৪/০১/১৪)
কবিতা – ১১
তোমার আমার
সম্পর্কের মাঝে
শীতের কুয়াশা|
ওপারের অস্তিত্ব অস্পষ্ট|
(১৬/০১/১৪)
প্রেমাবিষ্ট
আমার মন তোমার মন
স্বাধীন চৌধুরী এর পঙতিমালা
১
বাতিঘর
বহুদূর যেতে এগিয়েছে সামান্য
অধ্যবসায় বলে এ-ও অপরিসীম।
আলোকোজ্জ্বল গ্রহ-নত্রের গন্তব্য-স্পর্শ
কাঙ্খিত বাতিঘর মেলে
যোজন-যোজন আলোকবর্ষ পর
অবিশ্বাসের দানাগুলো যখন মহীরুহ আকার ধারন করে
তৃষ্ণায় যখন বুকের ছাতি ফেটে চৌচির হওয়ার উপক্রম হয়
অতৃপ্ত প্রেত্মাতারা যখন ঘুরে বেড়ায় অবাধে দেশময়
তখন আমি বিশ্বাসের সিঁড়ি
এই ঘর আজ আগুনের ঘর-
মনপোড়া ভূমি, অনাবাদী অন্ধকার
ছাইভস্ম-তিরোধান – এইখানে শ্মশান ছায়া
বিভীষিকা তারও চেয়ে বেশি!
মানুষই তো হয় মানুষের বন্ধু চিরকাল
অথচ কী
তোমাকেই বলছি
আফরোজা হীরা (পার্বতী পারু)
——————————
ঘুমোতে পারছি না আমি
অবিশ্রান্ত ক্লান্তিতে চোখ নুয়ে পড়ে
রাতের গভীরের হৃৎপিন্ডের টিপ্ টিপ্ শব্দ
নিস্তব্ধ রাতের ঘড়ির
রাত্রির অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ভয়ার্ত হৃদয়ের বসবাস
বাইরে বুনো হায়েনার গর্জনে স্তম্ভিত দেশ
অন্ধকার কেটে যাওয়ার আশায় বসে থাকা তরুনের
কপাল জুড়ে দেখা যায় বুড়োদের মতো বলিরেখার ভাঁজ।
স্বপ্নযাত্রা
চন্দনকৃষ্ণ পাল
দিগন্তহীন আকাশে পাখা মেলে উড়ি
মহাশূন্য গিলে ফেলে এক লহমায়
তারপর হজম ক্রিয়া হতে হতে উড়ে চলা –
এমন অদ্ভুত কান্ডে জড়িয়ে রয়েছি
স্মৃতি ঝড়ের মূর্ছনা
আফরোজা হীরা
এটা তো জানাই ছিল
সময়ের স্রোতে একদিন ধুয়ে যাবে
আঠারো বছরের সেই কাঁচা হলুদ রং।
প্রতিটা ঢেউয়ের ধাক্কায়, একটু একটু করে
মর্ত্য কাল স্বর্গ হয়েছিল
ফারুক নওয়াজ
সে কী শুধু স্বপ্ন, নাকি সত্যই ছিলো;
কাল রাতে অমরাখানি মর্ত্যে নেমে আসে
রাতভর ঝরেছিল পুষ্পবৃষ্টি; গোপালের প্রেমবাঁশি
করেছে