আমার মায়ের কথা : কল্যান গাঙ্গুলী
মাগো শুধু রইনু আমি বাকি;
তোমার কথা সঙ্গোপনে,
নির্নিমেষে আমার মনে,
জাগায় আমায়, অমানিশায়, জাগে তৃষিত আঁখি॥
হারিয়ে তোমার সবুজ আঁচল,
অতল প্রেমের দীঘি টলমল,
মাগো শুধু রইনু আমি বাকি;
তোমার কথা সঙ্গোপনে,
নির্নিমেষে আমার মনে,
জাগায় আমায়, অমানিশায়, জাগে তৃষিত আঁখি॥
হারিয়ে তোমার সবুজ আঁচল,
অতল প্রেমের দীঘি টলমল,
পরিবর্তন
-মৌসুমী রায়(ঘোষ)
সৃষ্টি থেকেই
চলছে অভিযোজন|
অভিযোজিত হতে হতে আমরা
স্বার্থপর সংস্করনে পৌঁচেছি|
(ভীষন খর্বাকার হয়ে গেছি|)
ভেজা সাবানের গন্ধ। ভোর এলো নাকি?
তবে তো স্নানের বেলা তোমার ওখানে!
বৃষ্টিগন্ধা রাত্রিতলে পেন্সিলে লিখেছি পদ্য। শুকনো ত্বক/
কেটে দিচ্ছি কলমের খঞ্জর-টানে
সম্মতি দেবে কি গৃহী, স্নানঘরে?
ফেনায়িত বাথটাবে
করতালি ভেসে যাবে, গমগমে কণ্ঠনাদ,
শস্যগোলা ঘিরে রাখা গুণ্ডামির শিস;
তোমাকে ছাড়াই চলতো, চলেছিলো,
চলবে তো পাঁচ-দশ-পনের বা বিশ
এই ঋতু লালবর্ণ; ঝড়ে ঝড়ে, জলোচ্ছ্বাসে
দর্পিত পাহাড়েরও
এখানে ঢাকায় প্রচন্ড গরম
ফসলের মাঠে চৌচির মাটি
কৃষকের ছাতি ফাটে, গাঁও-গ্রাম
দিনাজপুর থেকে পটুয়াখালী
রোড জ্যামে অস্থির জীবন।।
ওখানে তুমিও; কলকাতায়
বনগাঁও থেকে
অ…শুভ দীপাবলী
কল্যান গাঙ্গুলী
আজকের চাঁদ, করে প্রতিবাদ, তাই বুঝি অমানিশা;
ঘনায় হৃদয়ে, ব্যথাতুর হয়ে, হারায় পথের দিশা॥
মননেতে বিষ, বাঁচার হদিস, দিতে আসে ফেরীওয়ালা;
তাই
ও কি গাড়িয়াল ভাই
তোমার পন্থের দিকে চেয়ে চেয়ে
ফিরে এলাম চিলমারীর বন্দর হয়ে;
নাই, কোথাও আব্বাসীয়া
ভাওয়াইয়া নাই।
অগত্যা বাবার তরুণ বয়সের গ্রামোফোনটাই সম্বল।
সময়ের রথে
পদ্মনাভ অধিকারী
প্রতিদিন-প্রতিনিয়ত প্রতিবিম্ব দেখি
তোমার বিপরীতে-স্বচ্ছ আয়নায়। আর
এভাবেই কেটে যায় নির্ঘুম কত রাত…।
তোমার বিপরীতে কাকে দেখ নগর বালক,
সময়ের চলমান অ-স্বচ্ছ
নর্দমার জীবন প্রণালী
ওবায়েদ আকাশ
পেটিকোট পরে দাঁড়িয়ে থাকা নর্দমায়
বসে আছে আলোকোজ্জল মৌমাছি
ভ্রমরের জীবন পেয়ে সুদীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে
তাকে দেখা গেল এই অবগাহিত আনন্দের
শূন্য দশক ও প্রেম
আনজীর লিটন
১
দুইজন মেয়ে একজন ছেলে রিকশায় চড়ে যাচ্ছিলো
পাশাপাশি বসে হাসাহাসি করে পপকর্ণ ওরা খাচ্ছিলো
ছেলেটা বসেছে সিটের