মোকসেদুল ইসলামের তিনটি কবিতা
যারা মূর্খ তারা আলোকিত হোক
………………………………………………
সবুজ চশমার ফ্রেমে এখন বিরল নিদ্রার ঘোর
তামাদি সভ্যতার ভেতর যার জন্ম তার মুখে সুখের কোরাস ধ্বনি
উনুনে জ্বালিয়ে দাও থেতলানো
যারা মূর্খ তারা আলোকিত হোক
………………………………………………
সবুজ চশমার ফ্রেমে এখন বিরল নিদ্রার ঘোর
তামাদি সভ্যতার ভেতর যার জন্ম তার মুখে সুখের কোরাস ধ্বনি
উনুনে জ্বালিয়ে দাও থেতলানো
বেহুদা রাত্রির ভৎর্সনায় দাঁড়িয়ে যায় স্মৃতির মিনার
বিরহ সংগীত শুনে বোধের আঙ্গুল গুণে স্তন চুষতে থাকে দু্গ্ধপোষা শিশু
উত্যক্ত রাত্রির নাগরিক শোকে আমার মা হয়ে গেছে
না! খুব সহজেই তুমি বলে দিলে কথাটি
অস্ফুট স্বরে যেন বোবা কণ্ঠে বলার পরেও গলা ধরে আসলো না তোমার।
অথচ তোমাকে নিয়েই এই আমি নাগরিক কুঞ্জবনে
মনের আনন্দে
যদি স্পর্শ করো আঙ্গুলের নরম ডগায় কথা দিচ্ছি ভাসিয়ে দিব তোমায়
আমার হৃদয়ের জবুথবু জলে
বীজ ভেদ করে ওঠা কচি গাছের মত ভালোবাসা দেব
ভরা বর্ষায় রেইনকোটে
এখন তো অনেক কিছুই অচল হয়েছে সচল থাকার পরেও
হিসেবের খাতা থেকে কবেই হারিয়ে গিয়েছে পাঁচ পয়সা, দশ পয়সা
পঁচিশ পয়সা, পঞ্চাশ পয়সারও হিসেব এখন আর কেউ করে
রাত্রির অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ভয়ার্ত হৃদয়ের বসবাস
বাইরে বুনো হায়েনার গর্জনে স্তম্ভিত দেশ
অন্ধকার কেটে যাওয়ার আশায় বসে থাকা তরুনের
কপাল জুড়ে দেখা যায় বুড়োদের মতো বলিরেখার ভাঁজ।
অবিশ্বাসের দানাগুলো যখন মহীরুহ আকার ধারন করে
তৃষ্ণায় যখন বুকের ছাতি ফেটে চৌচির হওয়ার উপক্রম হয়
অতৃপ্ত প্রেত্মাতারা যখন ঘুরে বেড়ায় অবাধে দেশময়
তখন আমি বিশ্বাসের সিঁড়ি
রাত্রির অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ভয়ার্ত হৃদয়ের বসবাস
বাইরে বুনো হায়েনার গর্জনে স্তম্ভিত দেশ
অন্ধকার কেটে যাওয়ার আশায় বসে থাকা তরুনের
কপাল জুড়ে দেখা যায় বুড়োদের মতো বলিরেখার ভাঁজ।