বরিশালের মেয়র ও প্রতিমন্ত্রী সম্পর্কে সিদ্ধান্ত চায় সাধারণ মানুষ: ভালো মানুষের মূল্যায়ন জরুরী
বিশেষ প্রতিবেদক
বরিশাল ৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল অবঃ জাহিদ ফারুক শামীম এবং বরিশালের নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত সম্পর্কে ছাত্র জনতার সিদ্ধান্ত চায় সাধারণ মানুষ। তারা দুজনেই বরিশালের উন্নয়নে বেশকিছু প্রকল্প হাতে নিয়ে জনমনে স্থান করে নিয়েছিলেন। যে সব প্রকল্পের কাজ শুরুও হয়েছিল। ছাত্র আন্দোলনের সময় ঐসব উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যায় এবং এখন পর্যন্ত বন্ধ আছে বলে জানান চরকাউয়া, চাঁদপুরা, চরবাড়িয়াসহ বরিশালের ১০ ইউনিয়ন এবং বরিশাল সিটি করপোরেশন বসিকের ৩০টি ওয়ার্ডের সাধারণ বাসিন্দারা।
ভালো মানুষের মূল্যায়ন জরুরী দাবী করে সাধারণ মানুষ বলেন, ২০১৮ সালে বরিশালের রাজনীতিতে প্রথম সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান জাহিদ ফারুক। সবসময় দায়িত্বশীল আচরণ করেছেন তিনি। ২১ বছরের অবহেলিত এলাকায় গিয়ে উন্নয়ন কাজ ধরেছেন। তাছাড়া সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারও তাকে একজন ভালো মনের সৎ সংসদ সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
আবার বরিশাল সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতও নির্বাচিত হবার পর থেকে বসিকের উন্নয়নে কাজ করেছেন। চলমান ১৮টি প্রকল্পে তিনি বরিশাল সিটি করপোরেশন বসিক এর উন্নয়ন কাজ শুরু করেন। যা এই মুহূর্তেও চলমান আছে বলে জানিয়েছেন বসিকের প্রকৌশলী আবদুল মোতালেব।
যে কারণে এই দুজন মানুষের প্রতি দলমত নির্বিশেষে মানুষের মনে সহানুভূতি রয়েছে বলে স্বীকার করেন বরিশালের সুশীল সমাজের অনেকেই। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি নেতৃবৃন্দও বললেন, তিনি কখনো কারও ক্ষতি করেননি। তার কারণে বিএনপির অনেক ঠিকাদারও কাজ পেয়েছে।
ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালীন গত ৪ আগস্ট নিজ দলীয় একদল দূর্বৃত্ত প্রথম পরপর দুইদফা তার বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের দিন পুনরায় তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে দূর্বৃত্তরা। সেই থেকে জাহিদ ফারুক ও মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত আত্মগোপনে চলে যান।
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উপকারভোগী সাধারণ মানুষ মনে করেন, বরিশালের জাহিদ ফারুক এবং খোকন সেরনিয়াবাত সহ এরকম ভালো মনের মানুষদের ফিরিয়ে এনে নতুনভাবে কাজে লাগালে দেশের উপকার হবে।
বিশেষ করে তাদের সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা মনে করেন, জাহিদ ফারুক বরিশালের ১০ ইউনিয়নেই ঘুরে বেড়িয়েছেন। মানুষের উপকার ছাড়া তিনি কখনো কারো ক্ষতি করেননি।
আবার বসিকের ৫৮ বর্গকিলোমিটারের ৩০ ওয়ার্ডে মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত সম্পর্কে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মতামত। কেউ কেউ তাকে অহংকারী বললেও তার কাজের প্রশংসা করেছেন প্রায় সবাই।
তবে এ বিষয়ে ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ও ছাত্র জনতার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে জানান সাধারণ মানুষ। তারা বলেন, আন্দোলনকারী সমন্বয়করা এ বিষয়ে যা ভালো মনে করবেন তা-ই হবে। তারা বৈষম্য দূর করতে এখনো রাজপথে আসেন। তাদের সিদ্ধান্তের প্রতি আমাদের সমর্থন থাকবে বলে জানান এলাকাবাসী।