কখন যে অসংখ্য ঢেউ তুলে নদীর বুকে চাঁদ ওঠে,
ষোড়ষীর অধরে কাঁপন জাগে, প্রেমিকের হৃদয় জুড়ে।
তরঙ্গ বয়ে ছলাৎ ছলাৎ শব্দ করে। ঢেউয়ের পরে
ঢেউ, কাশ বন নদী তটে, অজস্র জলের
স্রোত ধারায়, দু‘চোখের পাতা জুড়ে আছড়ে পড়ে
প্রেয়সীর নিতম্বযুগল। উন্নত নাঁসিকা, দৃশ্যমান
বক্ষ মাঝে, কখন যে প্রিয়তমার কপালের লাল টিপ
দিবাকর হয়ে পূর্ব দিগন্তে আলো জ্বালে, চিকচিকে
সোনালী রোদের দিব্যি নিয়ে, বাড়ে রোদের
তীব্রতা, মধ্যাহ্ন দুপুরের খরতাপ। এক সময়
ঢলে পড়ে ক্লান্ত দেহে হারায় জৌলুষ, আপন
উজ্জ্বলতা, ঠিক যেন রমনীর অপরুপা রুপ লাবন্য
অপূর্ব দেহ পল্লবীর সবটুকু সং একটু একটু করে
ম্লান হয় একদিন। ভেসে ওঠে দেহ অবয়ব
জুড়ে বয়সের স্পষ্ট ছাপ।