২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ গুণী ব্যক্তির হাতে একুশে পদক তুলে দিয়েছেন।
পদকপ্রাপ্তদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের এ পুরস্কার আপনাদের দীর্ঘদিনের সাধনা, মেধা ও পরিশ্রমের স্বীকৃতি। আমরা এমন অনেককেই পুরস্কার দিয়েছি যারা আমাদের মাঝে নেই কিন্তু বাঙালি জাতি তাদের কাছে চিরদিনই কৃতজ্ঞ।”
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস।
১৫ জন গুণী ব্যক্তির মধ্যে ৩ জন মরণোত্তর পদক পেয়েছেন। তারা হলেন- ভাষা আন্দোলনে ভাষাসংগ্রামী ডা. বদরুল আলম, শিল্পকলায় নাট্যব্যক্তিত্ব এস এম সোলায়মান এবং ভাষাবিদ ও সাহিত্যিক আবদুশ শাকুর।
এ ছাড়া, সাংবাদিকতায় গোলাম সারওয়ার, ভাষা আন্দোলনে শামসুল হুদা, শিক্ষায় ড. অনুপম সেন, শিল্পকলায় চিত্রকর সমরজিৎ রায় চৌধুরী ও লোকসঙ্গীত শিল্পী সংগ্রাহক রাম কানাই দাশ, গবেষণায় ড. এনামুল হক, সমাজসেবায় ডা. মুজিবুর রহমান, শিল্পকলায় অভিনয় শিল্পী কেরামত মওলা, ভাষা ও সাহিত্যে কবি বেলাল চৌধুরী, রশীদ হায়দার, জামিল চৌধুরী ও ছড়াকার বিপ্রদাস বড়ুয়াকে এবারের একুশে পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সাল থেকে এই পদকের প্রচলন করা হয়। বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পযার্য়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ একুশে পদক দেয়া হয়।
১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেয়া শুরু হলে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৩৪৬ জন গুণী ব্যক্তি ও ২টি প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদক প্রদান করা হয়েছে।
একুশে পদক বিজয়ীরা হলেন–
১৯৭৬ সাল :
কবি কাজী নজরুল ইসলাম-সাহিত্য,
ড. মুহাম্মদ কুদরাত-ই-খুদা-শিক্ষা,
কবি জসীম উদদীন-সাহিত্য,
বেগম সুফিয়া কামাল-সাহিত্য,
কবি আবদুল কাদির-সাহিত্য,
প্রফেসর মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন-শিক্ষা,
তফাজ্জল হোসেন (মানিক মিয়া) (মরণোত্তর)-সাংবাদিকতা,
আবুল কালাম শামসুদ্দিন-সাংবাদিকতা,
আবদুস সালাম-সাংবাদিকতা।
১৯৭৭ সাল :
মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন-সাহিত্য,
ওস্তাদ গুল মোহাম্মদ খান-সঙ্গীত,
অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খাঁ-শিক্ষা,
কবি মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা (মরণোত্তর)-সাহিত্য,
খন্দকার আবদুল হামিদ–সাহিত্য,
ড. এ. কে. এম. আইয়ুব আলী-শিক্ষা,
কবি শামসুর রাহমান-সাহিত্য,
জহির রায়হান (মরণোত্তর)-নাট্যশিল্প,
রশিদ চৌধুরী-চারুশিল্প,
আবদুল আলীম (মরণোত্তর)-সঙ্গীত,
আলতাফ মাহমুদ (মরণোত্তর)-সঙ্গীত ও
ফেরদৌসী রহমান-সঙ্গীত।
১৯৭৮ সাল :
খান মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন-সাহিত্য,
আহসান হাবীব-সাহিত্য,
সুফী জুলফিকার হায়দার-সাহিত্য,
মাহবুব-উল-আলম-সাহিত্য,
নূরুল হোসেন-সাহিত্য,
আভা আলম (মরণোত্তর)-সঙ্গীত,
সফি উদ্দিন আহম্মদ-শিল্প,
শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন (মরণোত্তর)-সাংবাদিকতা,
ড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন-শিল্প।
১৯৭৯ সাল :
কবি আজিজুর রহমান (মরণোত্তর)-সাহিত্য,
কবি বে-নজীর আহমদ-সাহিত্য,
আবদুল লতিফ-সঙ্গীত,
শেখ লুৎফর রহমান-সঙ্গীত,
আবদুল ওয়াহাব-সাংবাদিকতা,
মোহাম্মদ মোদাব্বের-সাংবাদিকতা ও
ড. মুহম্মদ এনামুল হক-শিক্ষা।
১৯৮০ সাল :
আবুল হোসেন-সাহিত্য,
বেদার উদ্দিন আহমদ-সঙ্গীত,
মোহাম্মদ আবদুল জব্বার-সঙ্গীত,
হামিদুর রহমান-শিল্প,
মুর্তজা বশীর-শিল্প,
রণেন কুশারী,-নাট্যশিল্প,
মুজীবুর রহমান খাঁ-সাংবাদিকতা ও
মোহাম্মদ ফেরদাউস খান-শিক্ষা।
১৯৮১ সাল :
আবু রুশদ মতিন উদ্দিন-সাহিত্য,
আমিনুল ইসলাম-চারুশিল্প,
আবদুল হালিম চৌধুরী-সঙ্গীত,
মমতাজ আলী খান-সঙ্গীত,
গওহর জামিল (মরণোত্তর)-নৃত্য,
মোহাম্মদ জাকারিয়া-নাট্যশিল্প,
জহুর হোসেন চৌধুরী (মরণোত্তর)-সাংবাদিকতা,
ওবায়েদ-উল হক-সাংবাদিকতা,
ড. মুস্তফা নূরউল ইসলাম-শিক্ষা।
১৯৮২ সাল :
সৈয়দ আলী আহসান-সাহিত্য,
কবি আবুল হাসান (মরণোত্তর)-সাহিত্য,
তালিম হোসেন-সাহিত্য,
আবদুল হাকিম (খান বাহাদুর)-শিক্ষা,
ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদ-সঙ্গীত,
এস.এম.সুলতান-চারুশিল্প,
জি.এ.মান্নান-সাহিত্য ও
সানাউল্লাহ নূরী-সাংবাদিকতা।
১৯৮৩ সাল :
শওকত ওসমান-সাহিত্য,
সানাউল হক-সাহিত্য,
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী-সাহিত্য,
এম.এ. কুদ্দুস-শিক্ষা,
শহীদুল্লাহ কায়সার (মরণোত্তর)-সাংবাদিকতা,
সৈয়দ নূর উদ্দিন (মরণোত্তর)-সাংবাদিকতা,
আবু জাফর শামসুদ্দীন-সাংবাদিকতা,
মোহাম্মদ কিবরিয়া-চিত্রশিল্প ও
বারীণ মজুমদার-সঙ্গীত।
১৯৮৪ সাল :
ড. আনিসুজ্জামান-শিক্ষা,
অধ্যাপক হাবীবুর রহমান (মরণোত্তর)-শিক্ষা,
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ (মরণোত্তর)-সাহিত্য,
হাসান হাফিজুর রহমান (মরণোত্তর)-সাহিত্য,
সৈয়দ শামসুল হক-সাহিত্য,
রশীদ করীম-সাহিত্য,
সিকান্দার আবু জাফর (মরণোত্তর)-সাংবাদিকতা,
ওস্তাদ মীর কাশেম খান (মরণোত্তর)-সঙ্গীত,
সাবিনা ইয়াসমীন-সঙ্গীত ও
এ.টি.এম.আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী-চারুশিল্প।
১৯৮৫ সাল :
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ খান-সাহিত্য,
গাজী শামসুর রহমান-সাহিত্য,
ড. আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দীন-শিক্ষা,
ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব (মরণোত্তর)-শিক্ষা,
মোহাম্মদ আবদুল জব্বার-শিক্ষা,
কলিম শরাফী-সঙ্গীত,
ওস্তাদ আবেদ হোসেন খান-সঙ্গীত ও
সৈয়দ জাহাঙ্গীর-চারুকলা।
১৯৮৬ সাল :
ড.আলাউদ্দিন আল আজাদ-সাহিত্য,
আল মাহমুদ-সাহিত্য,
সত্যেন সেন-সাহিত্য,
আসকার ইবনে শাইখ-সাহিত্য,
ওস্তাদ রইস উদ্দিন (মরণোত্তর)-সঙ্গীত,
মোরবারক হোসেন খান-সঙ্গীত,
ধীর আলী মিয়া (মরণোত্তর)-সঙ্গীত।
১৯৮৭ সাল :
ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান-সাহিত্য,
ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল-সাহিত্য,
আনিস সিদ্দিকী, জাহানারা আরজু-সাহিত্য,
ড. আহমদ শামসুল ইসলাম-শিক্ষা,
প্রফেসর এম.এ. নাসের-শিক্ষা,
অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবুল কাশেম-শিক্ষা,
নূরুল ইসলাম পাটোয়ারী-সাংবাদিকতা,
এস.এম.আহমেদ হুমায়ুন- সাংবাদিকতা,
কানাইলাল শীল (মরণোত্তর)-যন্ত্রসঙ্গীত,
ফরিদা পারভীন-সঙ্গীত ও
সৈয়দ মঈনুল হোসেন-শিল্পকলা (স্থাপত্য)।
১৯৮৮ সাল :
বন্দে আলী মিয়া (মরণোত্তর)-সাহিত্য,
ড. আশরাফ সিদ্দিকী-সাহিত্য,
ফজল শাহাবুদ্দীন-সাহিত্য,
আনোয়ার হোসেন-নাটক ও
সুধীন দাস-সঙ্গীত।
১৯৮৯ সাল :
শাহেদ আলী-সাহিত্য,
রাজিয়া মজিদ-সাহিত্য,
ড. মাহমুদ শাহ কোরেশী-শিক্ষা,
মুহাম্মদ আসফ-উদ-দৌলা রেজা (মরণোত্তর)-সাংবাদিকতা,
এ.কে.এম. শহীদুল হক (মরণোত্তর)-সাংবাদিকতা,
আবদুর রাজ্জাক-চারুশিল্প ও
অমলেন্দু বিশ্বাস (মরণোত্তর)-নাট্যাভিনয়।
১৯৯০ সাল :
শওকত আলী-সাহিত্য,
আবদুল গণি হাজারী (মরণোত্তর)-সাংবাদিকতা,
প্রফেসর লুৎফুল হায়দার চৌধুরী (মরণোত্তর)-শিক্ষা,
দেবদাস চক্রবর্তী-চারুশিল্প,
রাজিয়া খানম (ঝুনু)-শিল্পকলা (নৃত্য),
খোদা বক্স সাঁই (মরণোত্তর)-কণ্ঠসঙ্গীত।
১৯৯১ সাল :
ড. আহমদ শরীফ-সাহিত্য,
প্রফেসর কবীর চৌধুরী-সাহিত্য,
অধ্যাপক সালাহউদ্দীন আহমদ-শিক্ষা,
অধ্যাপক এ.এম.হারুন-অর-রশীদ-শিক্ষা,
ফয়েজ আহমদ-সাংবাদিকতা,
ড. সনজীদা খাতুন-সঙ্গীত,
মোহাম্মদ আমিনুল হক-নাট্যকলা ও
কাজী আবদুল বাসেত-চারুকলা।
১৯৯২ সাল :
অধ্যাপক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ-সাহিত্য,
অধ্যাপক মোবাশ্বের আলী-সাহিত্য,
অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ-শিক্ষা,
খান মোহাম্মদ সালেক-শিক্ষা,
গিয়াস কামাল চৌধুরী-সাংবাদিকতা,
আতাউস সামাদ-সাংবাদিকতা,
শাহনাজ রহমতউল্লাহ-সঙ্গীত,
আমজাদ হোসেন-নাটক ও
হাশেম খান-চারুকলা।
১৯৯৩ সাল :
মনির উদ্দীন ইউসুফ (মরণোত্তর)-সাহিত্য,
রাবেয়া বেগম-সাহিত্য,
শহীদ মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (মরণোত্তর)-শিক্ষা,
মোহাম্মদ আসাফউদ্দৌলা-সঙ্গীত,
ওস্তাদ ফজলুল হক-সঙ্গীত,
দিলারা জামান-নাট্যাভিনয়,
রফিকুন্নবী-চারুকলা ও
জুয়েল আইচ-যাদুশিল্প।
১৯৯৪ সাল :
সরদার জয়েনউদদীন (মরণোত্তর)-সাহিত্য,
হূমায়ূন আহমেদ-সাহিত্য,
আলী মনসুর-নাট্যকলা,
আবু তাহের-চারুকলা,
নীনা হামিদ-কণ্ঠসঙ্গীত,
শাহাদাত হোসেন খান-যন্ত্রসঙ্গীত,
প্রফেসর মোহাম্মদ নোমান-শিক্ষা ও
হাসানুজ্জামান খান-সাংবাদিকতা।
১৯৯৫ সাল :
আহমদ রফিক-সাহিত্য,
রাহাত খান-সাহিত্য,
রওশন জামিল-নৃত্যকলা,
মোস্তফা জামান আব্বাসী-সঙ্গীত,
রথীন্দ্রনাথ রায়-সঙ্গীত,
ড. আবদুল করিম-শিক্ষা,
ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ-শিক্ষা,
শহীদ নিজামুদ্দিন আহমেদ (মরণোত্তর)-সাংবাদিকতা ও
শাইখ সিরাজ-সাংবাদিকতা।
১৯৯৬ সাল :
হাসনাত আবদুল হাই-সাহিত্য,
রাহাত খান-সাহিত্য,
এ.কে.এম. ফিরোজ আলম (ফিরোজ সাঁই) (মরণোত্তর)-সঙ্গীত,
অধ্যাপক মুহম্মদ আবদুল হাই (মরণোত্তর)-শিক্ষা,
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী-শিক্ষা,
মোহাম্মদ কামরুজ্জামান-সাংবাদিকতা ও
ড. মোহাম্মদ শাহজাহান-শিক্ষা।
১৯৯৭ সাল :
আবু ইসহাক-সাহিত্য,
নভেরা আহমেদ-ভাস্কর্য,
নিতুন কুণ্ডু-ভাস্কর্য,
দেবু ভট্টাচার্য (মরণোত্তর)-সঙ্গীত,
রুনু বিশ্বাস (মরণোত্তর)-নৃত্য,
ড. রাজিয়া খান-শিক্ষা,
ড. সিরাজুল হক-শিক্ষা,
শবনম মুশতারী-সঙ্গীত,
সন্তোষ গুপ্ত-সাংবাদিকতা,
মোনাজাত উদ্দিন (মরণোত্তর)-সাংবাদিকতা ও
মমতাজ উদদীন আহমদ-নাটক।
১৯৯৮ সাল :
রণেশ দাশগুপ্ত (মরণোত্তর)-সাহিত্য,
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (মরণোত্তর)-সাহিত্য,
রোকনুজ্জামান খান (দাদাভাই)-সাংবাদিকতা,
আবুল কাসেম সন্দ্বীপ (মরণোত্তর)-সাংবাদিকতা,
ফেরদৌসী মজুমদার-নাটক,
মাহবুবা বেগম-সঙ্গীত।
১৯৯৯ সাল :
হাসান আজিজুল হক-সাহিত্য,
সৈয়দ হাসান ইমাম-চলচ্চিত্র,
সুভাষ দত্ত-চলচ্চিত্র,
আলী যাকের-নাটক,
মনিরুল ইসলাম-চারুকলা,
হুসনা বানু খানম-সঙ্গীত,
ফকির আলমগীর-সঙ্গীত,
এ.বি.এম. মুসা-সাংবাদিকতা,
কে.জি. মুস্তফা-সাংবাদিকতা ও
আলতামাস আহমেদ (মরণোত্তর)-নৃত্য।
২০০০ সাল :
শহীদ আবুল বরকত (মরণোত্তর)-ভাষা আন্দোলন,
শহীদ আবদুল জাব্বার (মরণোত্তর)-ভাষা আন্দোলন,
শহীদ আবদুস সালাম (মরণোত্তর)-ভাষা আন্দোলন,
শহীদ রফিকউদ্দিন আহমদ (মরণোত্তর)-ভাষা আন্দোলন,
শহীদ সফিউর রহমান (মরণোত্তর)-ভাষা আন্দোলন,
আবু নছর মো. গাজীউল হক-ভাষা আন্দোলন,
মহিউদ্দিন আহমদ (মরণোত্তর)-সমাজ ও রাজনীতি,
ড. নীলিমা ইব্রাহীম-শিক্ষা,
জামাল নজরুল ইসলাম-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি,
এখলাস উদ্দিন আহমদ-সাহিত্য,
জাহিদুর রহিম (মরণোত্তর)-সঙ্গীত,
খালিদ হোসেন-সঙ্গীত,
সৈয়দ আবদুল হাদী-সঙ্গীত,
আবদুল্লাহ আল মামুন-নাটক,
শামীম সিকদার-ভাস্কর্য।
২০০১ সাল :
আবদুল মতিন-ভাষা সংগ্রাম,
দ্য মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ লাভার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড-২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ,
অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম-শিক্ষা,
শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী-শিক্ষা,
মহাদেব সাহা-সাহিত্য,
জিয়া হায়দার-সাহিত্য,
নির্মলেন্দু গুণ-সাহিত্য,
গোলাম মুস্তফা-চলচ্চিত্র,
আতাউর রহমান-নাটক,
কবিয়াল ফণী বড়ুয়া-সঙ্গীত,
শাহ আবদুল করিম-লোকসঙ্গীত,
বিনয় বাঁশী জলদাস-যন্ত্রসঙ্গীত।
২০০২ সাল :
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী (মরণোত্তর)-ভাষা সংগ্রাম,
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (মরণোত্তর)- সাহিত্য ও ভাষা আন্দোলন,
ড. সুফিয়া আহমেদ-সাংস্কৃতিক বিকাশ ও ভাষা সংগ্রাম,
কবিয়াল রমেশ শীল (মরণোত্তর)-গণসঙ্গীত,
সিরাজুর রহমান-সাংবাদিকতা,
সাদেক খান-ভাষা আন্দোলন ও চলচ্চিত্র,
গাজী মাজহারুল আনোয়ার-সঙ্গীত,
ডা. মন্জুর হোসেন (মরণোত্তর)-ভাষা সংগ্রাম,
এডভোকেট কাজী গোলাম মাহবুব-ভাষা সংগ্রাম,
অধ্যাপক শরীফ হোসেন-শিক্ষা,
অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ (মরণোত্তর)-শিক্ষা,
আবদুল জব্বার খান (মরেণোত্তর)-চলচ্চিত্র,
আহমদ ছফা (মরণোত্তর)-সাহিত্য,
প্রতিভা মুৎসুদ্দি-শিক্ষা।
২০০৩ সাল :
অধ্যাপক মুহম্মদ শামস-উল-হক-শিক্ষা,
মুহাম্মদ একরামুল হক (মরণোত্তর)-শিক্ষা,
জেবুন্নেসা রহমান (মরণোত্তর)-শিক্ষা,
জোবেদা খানম (মরণোত্তর)-শিক্ষা,
আবদুল মান্নান সৈয়দ-গবেষণা,
আল মুজাহিদী-সাহিত্য,
আঞ্জুমান আরা বেগম-সঙ্গীত,
লোকমান হোসেন ফকির (মরণোত্তর)-সঙ্গীত,
খান আতাউর রহমান (মরণোত্তর) চলচ্চিত্র,
আবদুল হামিদ-ক্রীড়া সাংবাদিকতা,
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন মোস্তান-সাংবাদিকতা,
ইউনেস্কো-বাংলা ভাষাকে বিশ্বের মাঝে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে তুলে ধরার জন্য।
২০০৪ সাল :
ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঞা-শিক্ষা,
ড. ওয়াকিল আহমদ-গবেষণা,
ফরিদা হোসেন-সাহিত্য,
নীলুফার ইয়াসমীন (মরণোত্তর)-সঙ্গীত,
মনিরুজ্জামান মনির-সঙ্গীত,
মুস্তফা মনোয়ার-চারুকলা,
নবাব ফয়জুন্নেসা (মরণোত্তর)-সমাজসেবা,
ডা. জোবায়দা হান্নান-সমাজসেবা,
এ.জেড.এম.এনায়েত উল্লাহ খান-সাংবাদিকতা ও
চাষী নজরুল ইসলাম-চলচ্চিত্র।
২০০৫ সাল :
মো. সাইফুর রহমান-ভাষা সংগ্রাম,
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন-ভাষা সংগ্রাম,
সৈয়দ মুজতবা আলী (মরণোত্তর)-সাহিত্য,
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ-শিক্ষা,
অধ্যাপক ইকবাল মাহমুদ-শিক্ষা,
জুবাইদা গুলশান আরা-সাহিত্য,
মহাসঙ্ঘনায়ক শ্রীমৎ বিশুদ্ধানন্দ মহাথের (মরণোত্তর)-সমাজসেবা, অধ্যাপক আসহাব উদ্দিন আহমদ (মরণোত্তর)-সাহিত্য,
আবু সালেহ-সাহিত্য,
বশির আহমেদ-সঙ্গীত,
শ্রী চিত্তরঞ্জন সাহা-শিক্ষা,
মোহাম্মদ আবদুল গফুর-ভাষা সংগ্রাম,
আবু সাত্তার মোহাম্মদ শাহ জামান আপেল মাহমুদ-সঙ্গীত ও
মো. মাশির হোসেন-সাংবাদিকতা।
২০০৬ সাল :
অধ্যাপক জসীম উদ্দিন আহমদ-শিক্ষা,
ড. সুকোমল বড়ুয়া-শিক্ষা,
অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম-শিক্ষা,
অধ্যাপক এম. আসাদুজ্জামান-শিক্ষা,
ড. আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ-সাহিত্য,
অধ্যাপক মো. নূরুল ইসলাম (মরণোত্তর)-সাহিত্য,
হামিদুজ্জামান খান-ভাস্কর্য,
রওশন আরা মুস্তাফিজ-সঙ্গীত,
আনোয়ার উদ্দিন খান (মরণোত্তর)-সঙ্গীত,
ফাতেমা-তুজ-জোহরা-সঙ্গীত,
গাজীউল হাসান খান-সাংবাদিকতা,
শাহাদত চৌধুরী (মরণোত্তর)-সাংবাদিকতা,
আফতাব আহমদ-আলোকচিত্র।
২০০৭ সাল :
বিচারপতি মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান-সাহিত্য,
মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ-সাহিত্য,
আনোয়ার পারভেজ-সঙ্গীত,
এম.এ. বেগ-চারুকলা (আলোকচিত্র) ও
ড. সেলিম আল দীন-নাটক।
২০০৮ সাল :
ড. নাজমা চৌধুরী-গবেষণা,
খোন্দকার নূরুল আলম-সঙ্গীত,
ওয়াহিদুল হক-সঙ্গীত,
শ্যামসুন্দর বৈষ্ণব-সঙ্গীত,
শেফালী ঘোষ-সঙ্গীত,
প্রফেসর ড. মোজাফফর আহমদ-শিক্ষা,
খালেক নেওয়াজ খান-ভাষাসৈনিক,
অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী-সমাজসেবা,
কবি দিলওয়ার খান-সাহিত্য।
২০০৯ সাল :
ড. বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর-শিক্ষা,
ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন-গবেষণা,
মাহবুবুল আলম চৌধুরী-ভাষা আন্দোলন,
আশরাফুজ্জামান খান-সাংবাদিকতা,
বিলকিস নাসির উদ্দিন-সঙ্গীত,
মানিক চন্দ্র সাহা (মরণোত্তর)-সাংবাদিকতা,
হুমায়ূন কবীর বালু (মরণোত্তর)-সাংবাদিকতা,
সেলিনা হোসেন-সাহিত্য,
শামসুজ্জামান খান-গবেষণা,
ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ-দারিদ্র্য বিমোচন,
মোহাম্মদ রফি খান (ডা. এম.আর. খান) সমাজসেবা,
মনসুর উল করিম-চারুকলা,
রামেন্দু মজুমদার-নাট্যকলা।
২০১০ সাল :
ডা. গোলাম মাওলা (মরণোত্তর)-ভাষাসংগ্রাম,
মোহাম্মদ রফিক-সাহিত্য,
সাঈদ আহমদ-সাহিত্য (নাট্যকার),
হেলেনা খান-সাহিত্য,
ড. মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুন (মুনতাসীর মামুন)-গবেষণা,
এএসএইচকে সাদেক (মরণোত্তর)-সামাজিক ব্যক্তিত্ব,
সংঘরাজ জ্যোতিপাল মহাথের (মরণোত্তর)- সামাজিক ব্যক্তিত্ব,
একেএম হানিফ (হানিফ সংকেত)-সামাজিক ব্যক্তিত্ব,
পার্থ প্রতিম মজুমদার-শিল্পী (মুকাভিনয়),
নাসির উদ্দীন ইউসুফ-শিল্পী (নাট্যকলা),
এ কে এম আবদুর রউফ (মরণোত্তর)-শিল্পী (চিত্রশিল্পী),
ইমদাদ হোসেন-শিল্পী (চিত্রশিল্পী),
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল-শিল্পী (সুরকার),
লায়লা হাসান-শিল্পী (নৃত্য),
মোহাম্মদ আলম (মরণোত্তর)-ফটো-সাংবাদিক।
২০১১সাল :
ভাষা সৈনিক শওকত আলী (ভাষা আন্দোলন-মরণোত্তর),
মোশারেফ উদ্দিন আহমদ (ভাষা আন্দোলন-মরণোত্তর),
ওস্তাদ আখতার সাদমানী (শিল্পকলা-মরণোত্তর),
আবদুল হক চৌধুরী (গবেষণা-মরণোত্তর),
আমানুল হক (ভাষা আন্দোলন),
বাউল করিম শাহ (শিল্পকলা),
জোৎস্না বিশ্বাস (শিল্পকলা),
মিসেস নূরজাহান বেগম (সাংবাদিকতা),
আলহাজ্ব মো. আবুল হাশেম (সমাজসেবা),
মো. হারেস উদ্দিন (পলান সরকার) (সমাজসেবা),
মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন (সমাজসেবা),
শহীদ কাদরী (ভাষা ও সাহিত্য) এবং
আবদুল হক (ভাষা ও সাহিত্য)।
২০১২
২০১২ সালে পনেরজনকে পদক দেয়া হয়।
মমতাজ বেগম (ভাষা আন্দোলন), মোবিনুল আজিম (শিল্পকলা), তারেক মাসুদ (শিল্পকলা), ড. ইনামুল হক (শিল্পকলা), মামুনুর রশীদ (শিল্পকলা), অধ্যাপক করুণাময় , স্বামী(শিল্পকলা), এহেতশাম হায়দার চৌধুরী (সাংবাদিকতা), আশফাক মুনীর চৌধুরী (মিশুক মুনীর) (সাংবাদিকতা), হাবিবুর রহমান মিলন (শিক্ষা), অধ্যাপক অজয় কুমার রায় (শিক্ষা), ড. মনসুরুল আলম খান (শিক্ষা), ড. এ কে নাজমুল করিম (শিক্ষা),অধ্যাপক বরেন চক্রবর্তী (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি), শ্রীমৎ শুদ্ধানন্দ মহাথের (সমাজসেবা), ড. হুমায়ুন আজাদ (ভাষা ও সাহিত্যে)।
২০১৩
২০১৩ সালে ১২ ব্যক্তি এবং এক প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদক দেয়া হয়।
এম এ ওয়াদুদ (ভাষা আন্দোলন), অধ্যাপক অজিত কুমার গুহ (ভাষা আন্দোলন),অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান (ভাষা আন্দোলন), তোফাজ্জল হোসেন (ভাষা আন্দোলন), এনামুল হক মোস্তফা শহীদ (মুক্তিযুদ্ধ), নূরজাহান মুরশিদ (সমাজসেবা), স্যামসন এইচ চৌধুরী (সমাজসেবা), রফিক আজাদ (ভাষা ও সাহিত্য), আসাদ চৌধুরী (ভাষা ও সাহিত্য), কাদেরী কিবরিয়া (শিল্পকলা), জামালউদ্দিন হোসেন (শিল্পকলা), চারণ কবি বিজয় কৃষ্ণ অধিকারী (বিজয় সরকার) (শিল্পকলা), বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী (শিল্পকলা)।
কৃতজ্ঞতায় : ইউকিপিডিয়িা ও সামহোয়ারইন ব্লগ