সাড়া
আমার প্রাণে জাগলো যখন ঢেউ
তোমার কোলে নিভু নিভু তারা
যখন আমি ছিলাম দিশাহারা
তোমার মতো দেখলো না আর কেউ ।
আমার হলে জাগতে তুমি রাত
হতে আমার উড়াল মেঘের নাও
ফাগুন বনে মিলিয়ে নিতে হাত
ও বিলাসী কার ঘরে ঠাঁই নাও
গোঁয়ার ভিষণ আমার হাওয়াই পাল
ছিন্ন করে মোহের জটাজাল
তুমি যখন ধনিক ঘরের দাসি
একাই থাকি – আমি আদিম চাষি ।
কীটনাশক
অজান্তে সরবত ভেবে গিলে ফেলা হয়েছে
এখন প্রাণ বাঁচাতে বমি করে উগরে দিতে হবে
আমরা কী আসলে কীটনাশক ?
যে পোকানাশক হিসেবে ফসলের প্রয়োজনেই মাঝে মধ্যে
ব্যবহার করা চলে কিন্তু উৎপন্ন শস্যের সাথে রাখা বোকামি
কিংবা পাপ !
কিছু ঘর বালিয়াড়ি
বালুকায় মুখ রেখে পাখি
বালিবালি জল ঢালে পাখি
শুধুই যুক্তস্নান যেনো
বালুকার প্রেমে পড়ে গিয়ে
বালিয়াড়ি ঘর তোলে – কেউ
ভিষণের বুকে ঝড় তোলে ।
আদিষ্ট অধ্যায়
ধরো
বলতেই স্পর্শে নিলাম আবৃত কুসুম,লকলকে জিভ
তার অনাবাদি গোপন সমুহ
ছাড়ো
বলতেই-গোত্র দুলাল
কৌম কানুন ছেড়ে ,দলবল ট্রাইব ছেড়ে
তীক্ষ্ম হার্পূণ রেখে-পিছে রেখে মাংসাসি মন
শূণ্য আছি – দলছাড়া
আর কত নষ্ট তিলকে,রক্তে-মাংসে, বিধি ও বিষাদে –
কেড়ে নিবে গোপন সুন্দর
কতশত উছল বরাবর পূর্ণ হবে সমুদ্র চেতনা !
দ্যাখো-মনের মুলকে যাপিনি তো রাত-সবহারা…
আক্রান্ত রংয়ের মূর্ছণা
ছুঁয়ে দেখি তরল ও স্তন
ছুঁয়ে দেখি সঙ্গসাধ-প্রবল পতন
ছুঁয়ে দেখি জল ও অনল
ছুঁয়ে দেখি রাতের আরাম যত সন্তের পাপ-পুণ্যে মেশা
ছুঁয়ে দেখি আঙুর-অধর
ছুঁয়ে দেখি বনিতার শ্রান্তি লাগা এই ঘোরঘুম
ছুঁয়ে দেখি মাংসের স্বাদ
ছুঁয়ে দেখি রুমির ঘূর্ণিতাল – মুদ্রাবিলাস
ছুঁয়ে দেখি পুষ্পরাগ – বাতাসের ঘ্রাণ, অনার্য স্বরে স্বরে
ছুঁয়ে দেখি খ্যাপাদের লাশ
ছুঁয়ে দেখি মাতমের স্বর
ছুঁয়ে দেখি শিশুদের সুগোল আনন
ছুঁয়ে দেখি প্রাচীন পাথর
ছুঁয়ে দেখি দ্রাাজল,শৈলস্বর,ফুলেরার মাস
ছুঁয়ে দেখি চাষির শরীর
ছুঁয়ে দেখি নমিতার নুয়ে পড়া মুখে টোলপড়া হাসি
ছুঁয়ে দেখি পিতার পাঁজর
ছুঁয়ে দেখি হৃদগ্রাহী – প্রাজ্ঞস্বর প্রভুর কালাম
ছুঁয়ে দেখি মানুষের মন
ছুঁয়ে দেখি শিখর,শিকস্তি,সিন্ধুনাদ,জলের স্তনন
ছুঁয়ে দেখি মজনুর প্রেম,রক্তপাত
ছুঁয়ে দেখি নিজমুখ – আক্রান্ত রংয়ের মূর্ছণা ।।
শেষ রাতের পালা
ধীরে ধীরে শান্ত হয় অফুরান্ত খরা
ঘুমের তরল স্নানে শুদ্ধ হলে রাগ
ধাবনের ভার ছুটে
মেলে ধরে নিশিথগন্ধা …
ফুলেরা ভোর ভালবাসে
আলোতে ঢেলে দিও শ্বাস
বাতাস ছড়াবে গান
নদীর নরম চালে আরো ছুটে মাঘের নিঃশ্বাস
হীম আর হীম
রাশি রাশি স্বপ্নমিছিল এসে কেটে দিলো সবটা সেলাই
রাতের অল্প বাকী – জাগতে যদি ওহোরে সানাই…
মাথাটা পাওয়া গ্যাছে
সৌম্য সালেক
না,তিনদিন ধরে চেষ্টার ত্রুটি রাখিনি
ভিতর বাহির এ’ঘর ও’ঘর গ্রাম-মহল−া-রাষ্ট্র
যেহেতু গেল শতক ধরে দৃষ্টিকে অবসর দেয়া হয়েছে
সুতরাং অন্তরচু সংক্রান্ত উর্ধŸতন সংলাপ এখানে অকার্যকর
শেষমেশ হাল ছেড়ে যখন বিছনায় যাবো
একি, মানতেই পারছে না অবিশ্বস্ত চোখেরা
কিন্তু একগোছা ভ্রু তুলতে গিয়ে যখন ককিয়ে উঠলাম
তখন রাতের আক্রমনে আলো
আর তীক্ষ্ম ক্যাকটাসে বিঁধে আছে মাথাটা
টপটপ রক্ত পড়ছে…