‘ভুল ধরুন-আয় করুন’ শীর্ষক শ্লোগানে তরুণ প্রজন্মের পাঠককে বই পড়ার প্রতি আরো বেশি আগ্রহী করে তুলতে নতুন পদ্ধতী প্রচলনের আহ্বান জানিয়েছে সাহিত্য, সাংস্কৃতি ও রাজনীতির পত্রিকা সাহিত্য বাজার। গত ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশক সমিতি এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় নির্বাহী সম্পাদক সালাম খোকন এবং প্রতিবেদক রাশেদ খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
সালাম খোকন বলেন, পাঠ্যবই ও ইতিহাস ঐতিহ্য গ্রন্থসহ বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত গল্প, কবিতা ও উপন্যাস -এ ইদানিং অনেক মুদ্রন ভুল লক্ষ্য করা গেছে। যা সৃজনশীল পাঠক সৃষ্টির প্রধান অন্তরায়। সম্প্রতী অনন্যা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত চ্যানেল আইয়ের ফরিদুর রেজা সাগরের বেশ কিছু বই, অনিন্দ্য থেকে প্রকাশিত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের ছোটদের কিছু গল্প (পৃষ্ঠা-১৫)তে মুদ্রন সংক্রান্ত ভুল গুলো পাঠক নষ্ট করতে যথেষ্ট। এতে লেখকের ভাবমূর্তিও খুন্ন হচ্ছে। তাই চ্যানেল আইয়ের নির্বাহী প্রযোজক আমীরুল ইসলাম, আগামী প্রকাশনীর ওসমান গনি এবং পাঠক সমাবেশ-এর শাহীদুল ইসলাম বীজুর সাথে আলোচনা শেষে সাহিত্য বাজার সম্পাদক আরিফ আহমেদ এই ‘ভুল ধরুন-আয় করুন’ পদ্ধতী প্রচলনের আহ্বান জানান।
এতে পাঠকরাই একটি বইয়ের মুদ্রণগত ভুল ধরিয়ে দিবেন এবং প্রতিটি চিহ্নিত ভুলের জন্য ঐ পাঠককে ৫ টাকা দিতে বাধ্য থাকবে বইটির প্রকাশনী সংস্থাটি বা প্রকাশক। একইসাথে মুদ্রন ভুল সম্বলিত বইটির পরিবর্তে নির্ভূল নতুন বই প্রদান করবে প্রকাশক। একটি বইয়ে যদি ১০টি ভুল ধরা পড়ে তাহলে এভাবে ৫০ টাকা বা ২০টিতে ১০০ টাকা দিতে বাধ্য থাকবে প্রকাশনী ও প্রকাশক। এ নিয়ম শুধুমাত্র বাধাইকৃত পুস্তেকের জন্য প্রযোজ্য হবে। কোনো পত্রিকা বা বুলেটিনের জন্য নয়।
আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার ওসমান গনি বলেন, একুশের বইমেলার সময় রাস্তায় বা এ মূহুর্তে নীলখেত এর ফুটপাতে যে সব কম মূল্যের বই বিক্রি হচ্ছে, সেখানে এরকম অসংখ্য ভুল দেখা যায়। যা পাঠক নষ্ট করছে। এ পদ্ধতীর প্রচলন হলে নীলখেতী প্রকাশনীর ১২টা বেজে যাবে। এটা অত্যন্ত চমৎকার পরিকল্পনা। ‘ভুল ধরুন-আয় করুন’-এটা ছাত্রদের আয়েরও একটা পথ হচ্ছে।
পাঠক সমাবেশের সত্ত্বাধিকারী মাহীদুল ইসলাম বীজু বলেন, এটা অত্যন্ত চমৎকার একটি প্রস্তাব। এতে করে রাতারাতি গজিয়ে ওঠা প্রকাশনীগুলোর দৌরত্ম কমবে এবং পাইরেসীও বন্ধ হবে। সরকারীভাবে এ প্রস্তাবণাটি গ্রহণ করা হলে প্রকাশকদের আরো বেশি উপকার হবে।