রুবাইয়াৎ আহমেদ–এর দু’টি বই ‘হিড়িম্বা’ ও তারেক মাসুদ
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৪ তে প্রকাশিত হয়েছে রুবাইয়াৎ আহমেদ-এর ‘হিড়িম্বা’। নব্যপাঁচালি আঙ্গিকে রচিত এই নাটকটি মহাভারতের একটি ক্ষুদ্র আখ্যাননির্ভর।
বাঙালির হাজার বছরের সাংস্কৃতিক যে অভিযাত্রা পাঁচালি সেই অভিযাত্রার অত্যুজ্জ্বল নিদর্শন। আধুনিক কালপর্বে তাই নব্যপাঁচালি অভিধায় চিহ্নিত। আমি সেই ধারাতেই নির্মাণ করেছি ‘হিড়িম্বা’, যেখানে মানুষের সঙ্গে তারই কল্পনায় নির্মিত রাক্ষস গোত্রের নৈতিক প্রশ্নের বিরোধ উদ্ভাসিত হয়েছে শিল্পের দ্যোতনায়।
ভাষাচিত্র প্রকাশনী (৩৭৯-৩৮০ নম্বর স্টল) থেকে প্রকাশিত গ্রন্থটি উৎসর্গ হয়েছে লেককের মাতামহী কাজী আছিয়া আক্তার খাতুন ও গুরুপতœী বেগমজাদী মেহেরুন্নেসাকে। নান্দনিক প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী সব্যসাচী হাজরা। সাড়ে ৩ ফর্মার বইটির গায়ের দাম ১৩৫ টাকা।
তারেক মাসুদের জীবন ও কর্মভিত্তিক গবেষণা গ্রন্থ ‘তারেক মাসুদ’। প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের স্টলে (৫০৭ নম্বর, বাংলা একাডেমির ভেতরে) পাওয়া যাচ্ছে। প্রচ্ছদ: মাসুক হেলাল। গায়ের দাম: ২০০ টাকা। বিরলপ্রজ চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদকে জানতে আগ্রহীদের জন্য এটি প্রাথমিক সূত্র হিসেবে কাজে লাগতে পারে। তারেক মাসুদকে নিয়ে সীমিত পরিসরে এটিই প্রথম পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ।
আসাদুল ইসলামের ৪র্থ কাব্যগ্রন্থ
ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত হয়েছে আসাদুল ইসলামের ৪র্থ কাব্যগ্রন্থ ধবধবে আঁধারের ধ্রুপদী নদী।
মানুষ স্বভাবতই আলোর প্রত্যাশী, আঁধারকে মনে রাখতে চায় না, আঁধারকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চায়। কিন্তু আঁধার আছে, থাকবে, আমরা চাই বা না চাই। আমাদের চেনা আঁধার হলো অদ্ভুত আঁধার, ভূতুরে আঁধার। এই চেনা আঁধারের বাইরে অচেনা আঁধারের নাম ধবধবে আঁধার। রহস্যময় ধবধবে আঁধার নেমে এসে গলে যায় নদীর জলে। নদী তো নিরবধি, ধ্রুপদী। আমাদের মনের মধ্যে বয়ে যায় ধবধবে আঁধারের ধ্রুপদী নদী।