রাজ শায়েরী ১
মনের এমনি দশা, শুধু কান্না পায় আজ চোখে
ঈশ্বরকে ডাকি, কিন্তু তুমি আছো বুক ভরা শোকে।
তোমার চোখের মধ্যে প্রতিশোধ, লজ্জা পাই আমি
তোমাকে না পেলে মৃত্যু চাই আমি আন্তর্যামী।
পানীয় জলের স্বাদে স্বপ্নে ভাবি তোমাকে আবার
সবকিছু চলেযাক, কাছ থেকে নেই সময় ভাবার।
আত্মবিশ্বাসের মাত্রা তৈরি করি পাহাড় সমান।
প্রকৃতির প্রভু ডেকে বলবেন, রেখেছি সম্মান।
প্রেমিক পুরুষ হয়ে ভাগ্য করি নতুন নির্মাণ
স্বপ্নের দুয়ারে এসে তুমি ভেঙ্গে হবে খানখান।
প্রেমের আগুন সব সময়েই জ্বলেনা দ্বিগুণ
কখনো জ্বলবে কষ্টে নিভু নিভু, হতে হবে খুন।
আমার আয়না শুধু ভরে আছে প্রেমিকার রুপে
ভালোবাসা যদি না পাই হে যাবো অন্ধ কূপে।
রাজ শায়েরী ২
আঘাত যতই দাও, ভালোবাসা একবার দিয়ো
চোখের উপরে চাঁদ ঘুমিয়েছে তুমি দেখে নিয়ো।
প্রেমের প্রেয়সী শোন, কাছে এসো, হয়ে যাও মিত্র
যৌবন থাকবে ভালো চুমু খাও হও যে পবিত্র।
প্রেমের ওপর জোর একেবারে চলেনা জাণোতো?
আধিপত্য নেই প্রেমে, মযদি করো হবেনা মানোতো?
যদি ভালোবাসা চাও তৈরী হও প্রেমিকার মতো
তুফান ঝড়ের মধ্যে হেঁটে যাও পেয়োনা যে ক্ষতো।
হ্রদয়ে আনন্দ আছে যদি তুমি খুঁজে নিতে পারো
আসুবিদা নেই একটুও, তুমি তার কাছে হারো।
করেছো আমার সর্বনাশ তুমি সব লোকে বলে
কেউতো জানেনা তবে তুমি হলে দুই চাকা চলে।
লাবণ্য সুন্দরী হয়ে গেঁথে আছো আমি যে অমিত
আমিতো চাইবো আমি হারি, তোমারই হোক জিৎ।
রাজ শায়েরী ৩
উদিত সূর্যের দিকে চোখ নেই ডুবে যাই আমি
চাঁদের আগুনে পুড়ে হয়ে যাই প্রেমের ঘরামী।
রাতের আলোতে দেখি মায়াময় অদৃশ্যের রুপ
গভীর জলের মধ্যে জোস্না চোখে জল টুপটুপ।
মেঘের বাড়িতে বৃষ্টি আসে যায় আমি চেয়ে থাকি
কষ্টের যাতনা রান্না হয় মনে বুকে ধরে রাখি।
বিপদের দিনে দুঃখ এসেছিলো গোপনে সেদিন
বন্ধুরাও হাসিমুখে কাঁদিয়েছে হয়েছে ব্বে -দীন।
মধ্যরাতে বৃষ্টি এলো মনেহলো কাঁদছে কে যেনো
আকাশের দুঃখ আছে কষ্ট পায় কাঁদবে বা কেনো?
যাবার সময় প্রেম বলেছিল ফিরে আসবে না
অনেক ভেসেছে জ্বলে, সস্তা হয়ে আর ভাসবেনা।
চারদিকে কালো মেঘ দূর হোক কবির প্রার্থনা
ছোবল দিওনা কালসাপ হয়ে বাড়িওনা ফণা।