বড় হোক- ভালো হোক আরো
যীশুর ভালোবাসা
সকলের মাঝে আজ ঢালো।
হানাহানি, দূর্নীতি দূরে রেখে সব
ভাই ভাই আমরা সবাই
সৃষ্টিকর্তা আমাদের এক,
এই বিশ্বাসে-একই নিশ্বাসে
এসো বলি- মানুষের জয় হোক
জীবনের জয় হোক।।
ইশ্বর – আল্রাহ কিম্বা ভগবান
যে নামেই ডাকো তারে- তিনি যে মহান।
মানবের তরে-মানুষের সেবায়
যুগে যুগে মহামানব কিম্বা মহাদূত যত
মুনিঋষি-বাল্মীকী, মোহাম্মদ কিম্বা যীশু
এসেছেন পৃথিবীতে
মানুষেরই মঙ্গলে শুধু।
ইশ্বর-আল্লাহ-র ইশারায়।।
নদী আর সাগরের ভাগ নেই কোন
ওয়াটার-জল আর পানি যে নামেই ডাকো
উদাসী প্রকৃতির আর সবুজী বেষ্টনীর
কিম্বা বৃষ্টির জলের রংটাতে কি পার্থক্য করতে পারো?
পৃথিবীটা ভাগ করে ক্ষমতার মোহে
তবে কেন জাত-ধর্ম-বর্ণের এত লড়াই কর?
এই বড় দিনে এসো ক্ষমা চাই
হে স্রষ্টা আমাদের ক্ষমা কর।
যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন । দিনটি বিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব যা ‘বড়দিন’ নামে পরিচিত। বিশ্বব্যাপী খ্রিস্টানরা বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা, যথাযথ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টানরাও দিনটি উদযাপনের জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণীতে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। খ্রিস্টীয় যোগাযোগ কেন্দ্রের পরিচালক ফাদার জয়ন্ত এস গমেজ জানান, যিশু খ্রিস্টের জন্মতিথির ৯ দিন আগে থেকে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা শুরু হয়, যা ‘নগেনা’ নামে পরিচিত। এর চার সপ্তাহ আগে থেকে প্রতি রবিবার গির্জায় প্রদীপ প্রজ্বলন করে এ জন্মতিথির অপেক্ষা করা হয়। উৎসবটি নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নেওয়া নিরাপত্তাব্যবস্থায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, গির্জাগুলোয় যথেষ্ট পরিমাণে পুলিশ, আনসার ও র্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত অবরোধ থাকায় ধর্মীয় বড় উৎসব হিসেবে দূরদূরান্তের আত্মীয়স্বজন কিংবা গ্রামের বাড়িতে যাওয়া অনেকের জন্য সমস্যা হয়েছে। খ্রিস্ট শাস্ত্রমতে, এই দিনে জেরুজালেমের পশ্চিমতীরে বেথলেহেম শহরে মা মেরির কোল আলোকিত করে জন্ম নিয়েছিলেন যিশু খ্রিস্ট। পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার, মানব জাতির কল্যাণ কামনা এবং ভক্তদের সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে যিশু খ্রিস্ট জন্মেছিলেন বলে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন। গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে সেন্ট মেরিস ক্যাথিড্রাল গির্জা, তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জা ও খ্রিস্টানদের অন্যান্য উপাসনালয়ে দেখা যায় সাজ সাজ রব। গির্জা ও আশপাশে হরেক রংয়ের বাতি দিয়ে সজ্জিতকরণের কাজ শেষ হয়েছে দুই দিন আগেই। চলছিল শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। গতকাল রাত সাড়ে ৮টা থেকে বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর গির্জাগুলোয় বিশেষ প্রর্থনা শুরু হয়। অনেকের কাছে ধর্মীয় উপাসনালয়ে অংশ নেওয়া এ উৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাই সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গির্জাগুলোয় ভক্তদের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেক পরিবারেই বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ পারিবারিক ভোজসভা আয়োজিত হয়। প্রতিবারের মতো এবারও গির্জা ও রাজধানীর বড় বড় হোটেলে আলোকসজ্জা, বিশ্বশান্তির জন্য প্রার্থনা, ক্রিসমাস ট্রি সজ্জিতকরণ, ক্রিসমাস সংগীত পরিবেশন, বড়দিনের কেক কাটা ও ছোটদের মধ্যে সান্তাক্লজের উপহার বিতরণসহ নানা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। (বাংলাদেশ প্রতিদিন থেকে গৃহিত)