(আসন্ন বাজেটে শিক্ষা ও সংস্কৃতি = সুশিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্ধ চেয়ে ৩১ মে শনিবার বিকালে সাহিত্য বাজারের সেমিনার)
আসন্ন বাজেটে ‘পদ্মা সেতু নয়, শিক্ষা ও সংস্কৃতি খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ চাই’ দাবিতে আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করতে যাচ্ছে সাহিত্যের সংবাদপত্র খ্যাত সাহিত্য বাজার পত্রিকাটি। ৩১ মে ২০১৪ শনিবার বিকাল ৫টায় কবি সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার, (নীচতলার সেমিনার কক্ষ) শাহাবাগ ঢাকাতে ময়মনসিংহ ঘোষণা এবং আমাদের সংস্কৃতি চর্চা শীর্ষক এ আলোচনা সভার উদ্বোধন করবেন কবি কামাল চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস।
গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়জীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ইতোমধ্যে উপস্থিত থাকার সম্মতি দিয়েছেন ভাষা সৈনিক ও কবি ড. এনামুল হক, ময়মনসিংহ জেলা সম্মিলিত সংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আমীর আহম্মদ চৌধুরী রতন, খ্যাতনামা আবৃত্তিকার কামরুল হাসান মঞ্জু, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিকার হাসান আরিফ, কবি নাসির আহমেদ, কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং কথাসাহিত্যিক নাসরীন জাহান।
জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি আসলাম সানীর পরিচালনা বা সঞ্চালনায় এতে আলোচক হিসেবে থাকবেন কবি এ এফ আকরাম হোসেন, সংস্কৃতজন ও চলচিত্র নির্মাতা জাঁনেসার ওসমান, দৈনিক যায়যায়দিনের সাহিত্য সম্পাদক কথাসাহিত্যিক সালাম সালেহ উদ্দিন, অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর, গল্পকার মনি হায়দার, দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক আশীষ উর রহমান শুভ, ডেইলী স্টার-এর শিল্প ও সাহিত্য সমালোচক তকির হোসেইন, নাট্যজন পাপিয়া সেলিম, মুন্সি আবু হারুন টিটো এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান।
আবৃত্তি করবেন ছড়াকার ও আবৃত্তিশিল্পী দীপংকর চক্রবর্তী, অলোক বসু, মাহিদুল ইসলাম মাহী, রেজিনা ওয়ালী লীনা, ফয়জুল আলম পাপ্পু, বিপ্লব মজুমদার, ইশরার ইসরাইল মনীষা প্রমূখ।
কবিতা পাঠে অংশ নেবেন কবি অরুপ তালুকদার, কবি বদরুল হায়দার, কবি ও সংগীত শিল্পী হাসান মাহমুদ, কবি রওশন ঝুনু, স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া, ক্যামেলিয়া আহমেদ, বোরহানউদ্দিন আহমেদ, তারেক মাহমুদ, আলপনা বেগম সহ আরো অনেকে।
কেন এই সেমিনার বা আলোচনা সভার আয়োজন?
এ বিষয়ে সাহিত্য বাজার সম্পাদক আরিফ আহমেদ বলেন, শিক্ষা + সংস্কৃতি = সুশিক্ষা এই বিশ্বাসে সাহিত্য বাজার এর প্রথম শ্লোগান ছিল – যে দেশের সাহিত্য সম্মৃদ্ধ নয়, সে দেশের সংস্কৃতি সম্মৃদ্ধ হতে পারে না। আর সংস্কৃতি সম্মৃদ্ধ না হলে সে দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতি কখনোই সম্মৃদ্ধ হবে না। যার প্রমাণ পাওয়া যায়, আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক বৈষম্য এবং দুর্বল প্রশাসনিক অবকাঠামোতে। প্রশাসনসহ সব ক্ষেত্রে মানুষেরা এখন চরম দুর্নীতি পরায়ন। এমনকি দুর্নীতি দমন কমিশনও এখানে আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। মানুষ এখন ক্রমশ রবোটে পরিণত হতে যাচ্ছে। অন্যায়ের প্রতিবাদতো দূরের কথা, নিজের উপর অন্যায়টাকেও সে এখন মুখ বুঝে সহ্য করতে শুরু করেছে, কারণ সে নিজেও অন্যায়কারী। আর য নিজে অন্যায় করে সে কখনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারে না। এটাই স্বাভাবিক। এতে করে আগামি প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে মেরুদন্ডহীন এবং দুর্নীতিপ্রবণ। একমাত্র সুশিক্ষাই পারে এ জাতিকে রক্ষা করতে। আমি শুধু পাঠ্যশিক্ষার কথা বলছিনা, পাঠ্যশিক্ষা কাউকেই সুশিক্ষা দেয় না, বর্তমানেতো একদমই নয়, সাহিত্য, সংস্কৃতির মিশ্রনে যে শিক্ষা সেটাই সুশিক্ষা। তাই জাতিকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হলে সাহিত্য বাজারের ময়মনসিংহ ঘোষণার প্রতি দৃষ্টিপাত করা খুবই জরুরী। এ ঘোষণাটি ময়মনসিংহে বসে তৈরি হয়েছে তাই এটির নামকরণ ময়মনসিংহ ঘোষণা হয়েছে, আদতে এটি সার্বজনিন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য প্রয়োজনীয় একটি ঘোষণা। এতে কোনো ভুল থাকলে বা কোনো সংযোজন ও বিয়োজন করতে হলে এই সেমিনারে উপস্থিত সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ ও সূধিজন এ বিষয়ে পরামর্শ দেবেন, এখানে আছেন সাংস্কৃতিক সমালোচক সাংবাদিক আশীষ উর রহমান শুভ ও তকির হোসেইন আমরা অবশ্যই তাদেও পরামর্শ মনোযোগে শুনবো। অবশেষে এটি পূর্ণাঙ্গ রুপে আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাসের হাতে তুলে দেব। আর এ জন্যই আজকের এই আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আযোজন।
আরিফ আহমেদ আরো বলেন, কেউ কি বলতে পারেন, কবে এ দেশের বাজেটে শিাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে? আর সংস্কৃতি খাত যেন বরাবরই ভিার খাত। কেন? চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ বাজেট পদ্মাসেতু বলা হয়েছে। পদ্মাসেতু খুবই জরুরী, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই, তাইবলে শিার চেয়ে জরুরী নয়। জাতি শিতি হলে দৈবভাবেই পদ্মাসেতু তেরি হয়ে যাবে।