দরিয়া পাড়ের দরদে আমরা যাচ্ছিলাম
মাহফুজ রিপন
ধানসিঁড়ির পাড় দিয়ে আমরা যাচ্ছিলাম।
শিমুল ফোটা ভোরে, আমরা যাচ্ছিলাম।
দরিয়া পাড়ের দরদে-
আমরা যাচ্ছিলাম ।
সারি সারি নিম আর বয়রা তলার পাশ দিয়ে-
আমরা যাচ্ছিলাম।
আমরা যাচ্ছিলাম।
মনিষা মেঘের ডাকে, আমরা যাচ্ছিলাম।
আজ- বৃত্তের বাইরে সময়, তাই-
আমরা যাচ্ছিলাম।
আমরা যাচ্ছিলাম।
দোভাষীর শব্দ যুগোল দোহার জ্বালায়।
ঘন বন এর মাঝ দিয়ে, নিধুয়া পথ দিয়ে
তোমার আশায় আমরা যাচ্ছিলাম।
জাদুবাঁশিরটানে আমরা যাচ্ছিলাম।
তোমাকে পাব সাঁই!
একবুক আশায়, আরর্শিনগরে আমরা যাচ্ছিলাম।
মৃত্যুঘ্রান
মাহফুজ রিপন
নদীতে মিশে যায় ¯œানের জল। বৃক্ষ মায়ায় কাঁদে নিথর শরীর। উড়ালদেয় নীলকন্ঠ বাউল জীবনের বীক্ষনে। অসিম তৃষ্ণায় জড়ো হয় অন্তিম সময়। সে নিজে কাঁদে; আকাশকে কাঁদায়। শিখন্ডি নগরে ডুবে যায় সাঁঝের বেলা। হিম হয়ে আসে পদ্মবিলের জল। পাঁচ-দোহার আসন পেতে বসে- আসে না পরাণ সাঁই; বাজেনা সাধের দোতারা। সুরের মায়ায় অন্ধব্রতচারী হারিয়েছে পথ, ডাকিনি সময় জড়ো হয় যমদূত এর মত। ধাবমান মৃত্যু ফিরে যায় মাটির ঘরে।
সুর- ঈশ্বর
মাহফুজ রিপন
হঠাৎ গুলির শব্দ। উড়ে গেলো একুশটি জালালী কবুতর। দোহারকষ্টে আগুনের ঘুম ভাঙ্গে। কামাখ্যার গারদ ভেঙ্গে হেঁয়ালি সময়, জড়ো হয় প্রতিশোধের নেশায়। পায়রার হাহাকারে আকাশ ভারী হয়- যাদুকরের সুখের ঘুম তখনও ভাঙ্গে না। নদীরা নাম কীর্তন করে, দক্ষিণা দেবী পদ্মাসনে বসে। বাতাসে ওড়ে কষ্টের পালক। রাত আসে রাত চলে যায়, হারিযে যায় ত্রিকাল। অন্তিম যাত্রালোকে- যাদুঘুম বিদায় নেয়। ফিরে আসে কপোত যাদুর ডানায়। হাজার বছর নির্জন শূণ্যতায়Ñ আবারও গুলির শব্দ শোনা যায় ! সুরও ঈশ্বরের ডাকে বৃষ্টি নামেÑ মিলিয়ে যায় শোক ফিরে আসে প্রেম।