নাট্যনির্দেশক ও অভিনেতা আতাউর রহমান বলেছেন, মনের মালিন্যতা, ক্ষুদ্রতা আর সংকীর্ণতা দূর করতে পারলে তবেই বাকশিল্পী অধ্যাপক নরেন বিশ্বাস কিম্বা নাট্যাভিনেতা খালেদ খানের অনুসরণ সম্ভব হবে। তাদের আদর্শকে টিকিয়ে রাখতে হলে সাংস্কৃতিকজনদের আরো অনেক বেশি উদার হতে হবে। গত ১৬ই নভেম্বর ২০১৪ রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় স্টুডিও থিয়েটার হল, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকায় সাহিত্যের বাচিক চর্চা ও প্রসার প্রতিষ্ঠান কণ্ঠশীলন প্রশিক্ষক বাক্শিল্পী অধ্যাপক নরেন বিশ্বাস -এর জন্ম দিবসে নরেন বিশ্বাস স্মরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কণ্ঠশীলন আয়োজিত এ স্মরণ উৎসবে নরেন বিশ্বাস পদক প্রদানের ঘোষণা ছিল এবং এবারের এই পদক পেয়েছেন প্রয়াত বাকচারু অভিনেতা খালেদ খান। পদকটি গ্রহণ করার জন্য উপস্থিত ছিলেন যুবরাজ খ্যাত খালেদ খানের সহধর্মিনী খ্যাতনামা সংগীত শিল্পী মিতা হক। কিন্তু আচমকা এই পদক প্রদানে নরেন বিশ্বাস পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা প্রদান করা হয়েছে, তাই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে পদক প্রদান স্থগিত রাখলেন আয়োজকরা।
নরেন বিশ্বাসের ধারণকৃত আবৃত্তি দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হল। নরেন বিশ্বাসের প্রতিকৃতিতে সকল আবৃত্তি ও নাট্য সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত থেকে অধ্যাপক নরেন বিশ্বাস ও সুখ্যাত অভিনেতা খালেদ খান যুবরাজের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্ট নাট্যনির্দেশক, মঞ্চসারথি আতাউর রহমান। আরও আলোচনা করেন বিশিষ্ট নাট্যজন গাজী রাকায়েত, কণ্ঠশীলন প্রশিক্ষক, নির্দেশক মীর বরকত, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবৃত্তিশিল্পী রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কণ্ঠশীলন সভাপতি আহমাদুল হাসান হাসনু এবং পরিচালনা করেন গোলাম সারোয়ার। এ ছাড়াও প্রতি বছর খালেদ খানের জন্মদিনে মঞ্চনাটকে অবদান রাখার জন্য একজন বিশিষ্ট নাট্যজনকে ‘খালেদ খান’-পদক দেওয়ার প্রবর্তন করে কণ্ঠশীলন। এই ঘোষণাটি দেন বিশিষ্ট নাট্যনির্দেশক, মঞ্চসারথি আতাউর রহমান।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে প্রথিতযশা আবৃত্তিশিল্পীরা একক আবৃত্তি করেন। আবৃত্তিশিল্পীরা হলেন আশরাফুল আলম, বেলায়েত হোসেন, শহিদুল ইসলাম নাজু, শিমুল মুস্তাফা, ইকবাল খোরশেদ জাফর, রেজিনা ওয়ালী লীনা, মাশকুর-এ-সাত্তার কল্লোল, শিমুল মুস্তাফা, শাহাদৎ হোসেন নীপু, নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি, ফয়জুল আলম পাপপু, তামান্না তিথি, ফয়জুল্লাহ সাঈদ, মাহিদুল ইসলাম, মাসুদুজ্জামান, মজুমদার বিপ্লব, সুপ্রভা সেবতি ও আজিজুল বাসার মাসুম।