মহান বিজয় দিবসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাংলাদেশের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার শের-ই বাংলা নগর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ২৭ হাজার ১১৭ জনের সমন্বয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাতীয় পতাকা তৈরি করে এ সাফল্য ছিনিয়ে এনেছে তারা। তবে এ বিষয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কমিটির অনুমোদিত পর্যবেক্ষক থেকে কোনো মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। পরিপূর্ণ ফলাফল পেতেে আরো দুটি দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানালেন রবির ভাইস প্রেসিডেন্ট কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড মিডিয়া রিলেশন্স সৈয়দ তালাত কামাল।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য, স্কুল শিশু ও সাধারণ মানুষের সমন্বয়ে প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী বিজয়ের এ দিনটিতে পূর্ববর্তী পাকিস্তানের রেকর্ড ভাঙতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই ছিল তরুণ ও আগ্রহী পেশাজীবী। এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য শুধু মহাসমারোহে এবারের বিজয় দিবস উদযাপন নয় বরং বিশ্বের সামনে বাংলাদেশের মানুষের আত্মশক্তি ও ঐক্য তুলে ধরার একটি অনন্য প্রয়াস। সেচ্ছাসেবীদের অংশগ্রহণে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডটি কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। তারা একটি করে প্ল্যাকার্ড ধরে রচনা করে বাংলাদেশের এই নতুন ইতিহাস।
অনুষ্ঠানে রবির চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমাদের জাতীয় পতাকা নিয়ে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক তৈরির পদক্ষেপ নিয়েছে রবি, আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ১৬ ডিসেম্বরই হতে পারে এ উদযাপনের উপযুক্ত দিন। আজ থেকে ৪২ বছর আগে এই দিনটিতে আমরা বিজয় অর্জন করেছি.. এরপর থেকে ঠিক এমনি করে বিশ্বের সামনে আমরা আমাদের ঐক্য ও শক্তি তুলে ধরছি।’
বাংলাদেশের পদক্ষেপটি দেখার জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কমিটির একজন অনুমোদিত পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন। তিনি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য প্রমাণ হিসাবে সংশ্লিষ্ট তথ্য ও ছবি গিনেস ওয়ার্র্ল্ড রেকর্ড কমিটির কাছে তুলে ধরবেন। চূড়ান্ত অনুমোদনের পর বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব পতাকা তৈরির দাবিদার হিসাবে গিনেস রেকর্ড বুকে লেখা থাকবে বাংলাদেশের নাম।
উল্লেখ্য : এর আগে ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর লাহোরে জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব ইয়ুথ ফেস্টিভাল উপলক্ষ্যে ২৪ হাজার ২০০ লোকের অংশগ্রহণে সবচেয়ে বড় জাতীয় পতাকা তৈরি করা হয়েছিল। তারা তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডটি একত্রে উপরে তুলে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার রূপ দিয়েছিলেন।