কথা ছিলো ৪ জুলাই রবিবার সকাল থেকে বরিশাল নগরীর অলিগলিতে RAB টহল দেবে। কিন্তু নগরীর নথুল্লবাদ থেকে রূপাতলী, সাগরদী মোড় থেকে মেডিকেল হয়ে পোর্টরোড কোথাও খুব একটা নজরদারি চোখে পড়েনি বেলা ১২টা পর্যন্ত। তবে সাগরদী পুলের আগে পুলিশের একটা কঠিন চেকিং ছিলো, তাও দু’জন বহনকারী হেলমেটহীন মোটরসাইকেল ছুটে পালিয়ে যায় পুলিশের ডাক উপেক্ষা করে। আর এখানেই অনন্য নজীর তৈরি করেন উপপুলিশ কমিশনার। সবার জন্য আইন সমান – কথাটির যথার্থ মর্যাদা দিলেন বরিশাল পুলিশ। কঠিন লকডাউনের চেকপোস্টে রক্ষা পায়নি এএসআইয়ের মোটরসাইকেল। যৌক্তিক কারণ ছাড়া বের হওয়া, হেলমেট ব্যবহার না করাসহ মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তার বিরুদ্ধে মামলা ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। লকডাউনের চতুর্থ দিন ৪ জুলাই রোববার বেলা ১১টার দিকে নগরীর আমতলার মোড়ে চলমান চেকপোস্টে পুলিশ পরিচয় দিয়েও রক্ষা পাননি এক ব্যক্তি। এমনকি তার মোটরসাইকেলটিও জব্দ করেছে বরিশাল পুলিশ।
জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে নগরীর আমতলার মোড়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনারের (ট্রাফিক) উপস্থিতিতে নিয়মিত চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম চলছিল। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে হেলমেটবিহীন দুই ব্যক্তি সেখানে হাজির হন। চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা লকডাউনের মধ্যে তাদের ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চান। তবে যৌক্তিক কোনো কারণ দেখাতে পারেনি তারা।
অন্যদিনের তুলনায় জনসমাগম রাস্তায় বেশি দেখা গেলেও মাস্ক ছিলো প্রতিটি লোকের মুখে। শের ই বাংলা মেডিকেলের সামনে রোগী ও স্বজনদের স্বাভাবিক ভিড় ছিল কিছুটা। সোজা পথে দুয়েকটি অটোরিকশার চলাচল চোখে পড়ে । এখানে রোগীর স্বজনদের দিকে তাকিয়ে ৯টি খাবার হোটেল খুলে দিয়েছেন প্রশাসন।যা সত্যি উদারতা বরিমাল প্রশাসনের।
এদিকে কীর্তনখোলা ডিসিঘাটেও আজ বেশ ব্যস্ততা চোখে পড়ছে, অহেতুক আনাগোনা মানুষের। স্প্রীটবোট ও ট্রলার মাঝেমধ্যেই ছুটে চলছে। স্প্রীটবোটের ঘাটে যাত্রীর অপেক্ষাও ছিলো।
তবে এতোটা পথে কোথাও Rab এর কোনো নজরদারি চোখে পড়েনি। ছিলো শুধু পুলিশের টহল নদীঘাটে। তবে বিজিবি ও সেনাবাহিনীর কঠিন টহলের সংবাদ ছিলো শহরের বাইরে বাবুগঞ্জ ও বানরিপাড়া এলাকায়।
আমাদের খাদ্য দিন
কীর্তনখোলা পাড়ের এই মানুষগুলো নাজমা, জামাল ও অন্যরা চা দোকান করে জীবীকা চালায়। রাতে এখানে বন্দরের মালামাল খালাস করা হয়। কুলি মজুরদের জন্য চা দোকান খুলে বসে এরা আয় হয় তিন চারশত টাকা। কখনো কখনো দিনেও জমে ওঠে বরিশালের নদীঘাটের চা দোকান।
লকডাউনে সব বন্ধ। রাতের ঘাট বন্ধ। দিনেও লোকসমাগম নেই তেমন। দিনে আর চা দোকান খুলতে পারেন না এরা। ফাঁকফোকরে একটু খুললেই পুলিশ এসে ভেঙে দেয়। জরিমানা করে। গত তিনদিন অনেক কষ্টে খাবার জোটে কপালে। আজ কড়াকড়ি খাবারের দোকানে তাই অনিশ্চিত দুপুর ও রাতের খাবার। এরা জানেনা এখন কি খাবে? জানেনা ৩৩৩ নম্বরের কথা। সরকারের খাদ্য সহয়তা কীভাবে পেতে হয় তাও জানেনা এরা?
আমাদের খাদ্য দিন, ৭ দিন কেন ৩০ দিন ঘরে বসে থাকবো – বলে জানান এই মানুষগুলো।