জুতো, পোশাক, শিশু খেলনা, হস্তশিল্প, এগ্রো ফুডস ইত্যাদি নিজস্ব তৈরি নানান উপকরণ নিয়ে মেলা চলছে বরিশাল সিটি করপোরেশন আওতাধীন কাউনিয়া এলাকার উত্তরপ্রান্তের বিসিক শিল্পনগরীতে। মড়ক খোলা নামে খ্যাত স্থানটিতে গত ১০ নভেম্বর বিসিক উদ্দোক্তা মেলা ২১ নামে এ শিল্পোৎসবের উদ্বোধন করেছিলেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার। ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাসব্যাপী এই উদ্দোক্তা মেলার আয়োজন ছিলো নিষ্প্রভ মলিন।
শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন একটি মেলার আয়োজন যেন জানতেই পারেনি নগরবাসী। যদিও আশেপাশের এলাকায় মাইকিং হয়েছিল। তবে একটু দূরের রুয়ারপোল বা শায়েস্তাবাদ ইউপির মানুষের অনেকেই জানেনা এই মেলার কথা। আর চরকাউয়া ও দপদপিয়া এলাকায় এখনো পৌঁছেনি এ মেলার খবর।
আবার বিসিক এলাকা কাউনিয়ার শ্মশান রোডের মহিবুল জানান, এখানে গিয়ে কি করবো, কিছুই নেই দেখার মতো।
কেন সার্কাস আছে তো? এ প্রশ্নের উত্তরে মহিবুল বলেন, শুধু সার্কাস দেখতে কি ওখানে গেলে পোছাবে? কেনার মতো পছন্দনীয় কিছু তো থাকতে হবে। জিন্স, কেডস ইত্যাদি এখনো ফ্যাশন। আধুনিক উপকরণ বা পুরুষদের প্রয়োজনীয় কিছুই নেই এ মেলায়। মেয়েদের কিছু তৈরি পোশাক আছে বটে তা আবার দামচড়া।
সরজমিন বিসিক মেলায় এসে বোঝা গেল কেন এ মেলার প্রচারণা কম বা প্রচারণা হলেও জনগণের এখানে সম্পৃক্ত হওয়ার অনেক সমস্যা এবং প্রথম ও প্রধান সমস্যা যোগাযোগ ব্যবস্থা। ভাঙাচুরো, খানাখন্দভরা সড়কে ও শ্মশান এলাকায় সন্ধ্যার পর আসাযাওয়া আরো কঠিন বলে মনে করেন মেলায় আসা নবগ্রাম রোডের কয়েকজন দর্শনার্থী। তারপর আছে বখাটেদের উৎপাত।
যতদূর জানা যায়, বরিশালে বিসিক শিল্পনগর প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয় ১৯৬১ সালে। প্রায় ১৩১ একর জমির ওই শিল্পনগরে ঐ সময়ে প্লটের সংখ্যা ছিলো ৪৪৬টি। এর মধ্যে ৩৭৮টি প্লট বরাদ্দ দিতে পেরেছিলো বিসিক। বরাদ্দ করা প্লটে শিল্প ইউনিট সংখ্যা ছিলো ১৭৩টি ও যার মধ্যে ৭২টি উৎপাদনে ছিলো।
পরবর্তীতে জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করে ২৩০ একর জমিতে দেশের সবচেয়ে বড় বিসিক শিল্পনগরী হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা এখনো আটকে আছে সিটি করপোরেশনের সাথে প্রশাসনিক জনিত সংকটে। বর্তমানে এখানে ১৩৮টি ছোট-বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোর সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা, নীচু জমি ভরাট ইত্যাদি অব্যবস্থাপনায়। আর রয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতা।
যার প্রমাণ পাওয়া যায় বিসিকের উপমহাব্যবস্থাপক জালিস মাহমুদ এর বক্তব্যে। গত বছর এক সাক্ষাৎকারে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ৩৭ একর নিচু জমি ভরাট করার জন্য বালু ফেলার ৩৬ লাখ টাকার ড্রেজার (খননযন্ত্র) ও পাইপ সিটি করপোরেশনের লোকজন নিয়ে যাওয়ায় জমি ভরাট বন্ধ হয়ে গেছে। সামনের দিকের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করলে করপোরেশন থেকে দাবি তোলা হয়, বিসিককে ৪ ফুট জমি ছেড়ে প্রাচীর নির্মাণ করতে হবে। তারা চিঠি দিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো।
তিনি আরো বলেন, বহিরাগতরা একের পর এক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকদের ওপর হামলা করছে। এর প্রতিবাদে গতবছর ২৪ অক্টোবর ব্যবসায়ীরা নগরীতে মানববন্ধনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু হামলার সঙ্গে জড়িতরাই উল্টো ভাড়াটে লোকজন দিয়ে পাল্টা মানববন্ধন করে বিসিকের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। এতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন পণ্ড হয়ে যায়।
জালিস জানান, বিসিকের উন্নয়নের জন্য ২০১৮ সালে ৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। সড়ক, নালা ও সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ এবং নিচু জমি ভরাট করতে পারলে ৩০টি প্লট করে উদ্যোক্তাদের বরাদ্দ দেয়া যেত। এতে কমপক্ষে ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো বলে জানা যায়।
বরিশাল ভ্রমণে এসে যদি কেউ প্রশ্ন করেন এ জেলায় বড় শিল্প কারখানা কী আছে?
জবাবে দুটি নাম বলতে পারেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একটি অপসোনিনের ওষুধ কারখানা, অন্যটি খান সন্সের সিমেন্ট মিল। এর বাইরে যাঁরা একটু বেশি খোঁজ রাখেন, তাঁরা বলবেন, এমইপি, ইন্দোবাংলা, বিসিক শিল্পনগরের ফরচুন সুজ ও জেআইবি এগ্রো ফুডস নামের রপ্তানিমুখী দুটো কারখানার কথা উল্লেখ করতে পারেন। এর বাইরে বরিশালে উল্লেখযোগ্য বৃহৎ কোনো শিল্প নেই। শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে এভাবেই কথা বলেন বরিশালের সুশীল সমাজের প্রতিনিধি অধ্যক্ষ ফরিদুর আলম জাহাঙ্গীর তালুকদার।
তিনি বলেন, শিল্পের দিক দিয়ে বরিশাল অন্য বিভাগগুলোর চেয়ে পিছিয়ে। বরিশালে গ্যাস নেই। বিদ্যুতের ঘাটতিও প্রবল। উদ্যোক্তা, সস্তা শ্রম ও জমি থাকার পরও এই জেলায় শিল্পে বিনিয়োগ হয়নি।
আর সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক তপংকর চক্রবর্তী বলেন, বরিশাল বিভাগে শিল্প গড়ার দিকে সরকারও কখনো নজর দেয়নি। যদি দিতেন তাহলে এতোদিনে এ শহরে গ্যাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত হতো। দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) হয়েছে। নতুন করে অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে, কিন্তু বরিশালে কিছুই হচ্ছে না। এমনকি বরিশালে যে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) শিল্পনগর আছে, সেটিও অবহেলিত। যদিও বর্তমান জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার খুব মনোযোগ দিয়েছেন বিসিককে শক্তিশালী করতে কিন্তু গ্যাস বিদ্যুৎ নিশ্চিত না হলে তিনি কতটা কি করতে পারবেন তা প্রশ্ন বিদ্ধ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৩ সালের অর্থনৈতিক শুমারিতে দেখা যায়, বরিশাল বিভাগে ৪৫ হাজার ৭৩৫টি উৎপাদনশীল অর্থনৈতিক ইউনিট আছে, যা সিলেট ছাড়া বাকি বিভাগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম। তবে সিলেট বিভাগে গ্যাস থাকায় সেখানে অনেক বড় বড় শিল্প হয়েছে। সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) বরিশাল জেলা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় বড় ও মাঝারি শিল্প আছে ১৫টি। ক্ষুদ্র শিল্প আছে ১ হাজার ৯৫৫টি। কুটির শিল্প আছে ৯ হাজার ৭১৯টি।
বরিশালে যে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা চালানো যায়, তা প্রমাণ করেছে ফরচুন সুজ। ২০১২ সালে বরিশালের বিসিক শিল্পনগরে প্রতিষ্ঠিত এই কারখানায় প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এতে তৈরি জুতা রপ্তানি হয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। সম্প্রতি ফরচুন সুজের কারখানা ঘুরে এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই কারখানার কাঁচামাল সবই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। আবার চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই জুতা ইউরোপে যায়। তাঁরা মূলত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্পোর্টসওয়্যার তৈরি করেন। ফরচুনের কর্মকর্তারা বলেন, পায়রা বন্দর চালু হলে তাঁদের কাঁচামাল আমদানি ও পণ্য রপ্তানিতে সময় কম লাগবে।
একইসময় ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করে জেআইবি এগ্রো ফুডস ইতিমধ্যেই সারাদেশে বাণিজ্যিক ভাবে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বাজারজাত করে সুনাম অর্জন করেছে। রংপুর, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জসহ ঢাকার বাজারে জেআইবি এগ্রো ফুডস এর খাদ্য পণ্যের ব্যপক চাহিদা বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইব্রাহিম খান।
তিনি বিসিক উদ্দোক্তা মালিক সমিতির বর্তমান সেক্রেটারিও।
ইব্রাহিম খান বলেন, শুনেছি খুব শীঘ্রই সড়কের কাজ শুরু করবে বরিশাল সিটি করপোরেশন। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দারের একান্ত চেষ্টায় নীচু এলাকা বালু ভরাট সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ৭৫টি প্রতিষ্ঠান চলমান আছে, বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং বিসিকের নিজস্ব বিদ্যুতায়ন ব্যবস্থা এখন শুধু উদ্বোধন অপেক্ষায় আছে বলে জানালেন মালিক সমিতির এই নেতা।
তবে বিসিক শিল্পনগরী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক প্লট এখনো খালি পড়ে আছে। অনেকগুলোতে পুরোনো শিল্পকারখানা বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। ড্রেনেজ ব্যবস্থা এখনো অগোছালো।
বরিশালের সাংবাদিকদের বেশিরভাগ অংশের সাথে কথা বলে জানা যায়, পায়রা সেতুর উদ্বোধন ও পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হলেই বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ভাগ্য বদলে যাবে। বাণিজ্যিক নগরীর সম্ভাবনায় গ্যাসই একমাত্র বাধা এখন।
বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী মিরাজ মাহমুদ বলেন, বরিশালের আশপাশের জেলা শহরগুলোর তেমন উন্নতি হয়নি। ফলে এই অঞ্চলের বাজারও ছোট। তবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এখন বাড়ছে। ভবিষ্যতে দক্ষিণাঞ্চলে যত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হবে, তার কেন্দ্র হবে বরিশাল। এ জন্য গ্যাসের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বরিশালে ১০০ জনের বেশি ব্যবসায়ী আছেন, যাঁরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় শত কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছেন। এখানে গ্যাস এলে তারাই তখন বরিশালে বিনিয়োগ করবেন। এতে করে রাজধানী কেন্দ্রিক চাপও অনেক কমে যাবে।
জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার এর বক্তব্য নিতে তার প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুব্রত বিশ্বাস এর স্মরণয়পন্ন হলে তিনি জানান, ডিসি স্যারের বাবা অসুস্থ থাকায় তিনি এই মূহুর্তে বরিশালে নেই। কথাপ্রসঙ্গে সুব্রত বিশ্বাস বরিশালের বিসিকের সম্ভাবনা তুলে ধরে বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় বিসিক শিল্পনগরী এলাকা এখন বরিশাল। জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার স্যার আসার পর থেকে বরিশাল বিসিককে শক্তিশালী করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। আগামীতে বরিশাল হবে একটি বাণিজ্যিক নগরী। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিজ জেলায়, নিজ বিভাগে আরো বেশি বিনিয়োগ করার পরামর্শ এই কর্মকর্তার।
তিনি আরো বলেন, বরিশালে গ্যাস সরবরাহের উৎস হতে পারে ভোলা। বরিশাল থেকে ভোলার দূরত্ব ৩০ কিলোমিটারের মতো। তবে শুধু গ্যাসের দিকে তাকিয়ে না থেকে কৃষি, হস্তশিল্প বা গ্যাসের প্রয়োজন হবেনা এমন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
এদিকে বরিশালের ব্যবসায়ীরা বলেন, ভোলার রাজনীতিবিদেরা সেখানকার গ্যাস বরিশালে দিতে চান না। ফলে গ্যাসের অভাবে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা অসম্ভব।
বরিশাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিআই) সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, পায়রা বন্দর চালু হলে এই অঞ্চলে পণ্যের কাঁচামাল পরিবহন সহজ হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণ শেষ হলে বরিশালে পণ্য তৈরি করে তা দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পাঠানোর সমস্যাও আর থাকবেনা। এতে বরিশালে বিনিয়োগ বাড়বে। সাইদুর রহমান বলেন, ‘ভোলায় প্রচুর গ্যাস পাওয়া গেছে। সেখান থেকে তা বরিশালে আনা গেলে এই অঞ্চলে প্রচুর বিনিয়োগ হবে। আমরা এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সুনজর চাই।’ তিনি বলেন, ভোলায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা অন্যান্য জেলায় দেওয়া গেলে গ্যাস কেন নয়?
বরিশাল ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের উপমহাব্যবস্থাপক জালিস মাহমুদ জানান, করোনাকালীন ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোক্তাদের টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে বরিশাল বিসিককে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। যা ইতোমধ্যে ৩৮ জন উদ্যোক্তার মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার আয়োজন এবং অনলাইন মার্কেটিংয়ের জন্য নিজস্ব প্লাটফর্ম তৈরি করছেন তারা। এ গ্রুপটি মূলত বিভাগের ক্ষুদ্র, মাইক্রো ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তাদের নিজেদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শনী বিক্রয়ের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।
প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কর্মসংস্থান ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত ‘বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ’ কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেকার যুবদের ঋণ সহযোগিতা প্রদান করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও কর্মসংস্থান ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সমঝোতা স্মারকের আওতায় কর্মোদ্যোগ হিসেবে বিসিক হতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবদের (১৮-৩৫ বছর বয়সী) স্বল্পসুদে (৯ শতাংশ সরল সুদে) ২০ হাজার টাকা হতে শুরু করে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ প্রদান করা হচ্ছে।