এবার বইমেলায় কথা সাহিত্যিক নাসরীন জাহান এর তিনটি মৌলিক বই এসেছে ও আসছে। সারারাত শিশিরের কান্না,গল্পের বই।
সিসেমের দ্বিতীয় দরজা, পরাবাস্তব উপন্যাস। এ দুটোর প্রকাশক,অন্যপ্রকাশ।
নাসরীন জাহান বলেন, এ বছর আমার জীবনের প্রথম কবিতার বই বেরোলো, এসেছি সূর্যাস্ত থেকে। এটি বের করেছে পাঞ্জেরী।
পাঞ্জেরী আমার উপন্যাস ত্রয়ীও করেছে।
সেখানে আছে উড়ুক্কু, ক্রুশকাঠে কন্যা, দূর পৃথিবীর গন্ধে, এই তিনটি উপন্যাস।
সময় প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে দুটো বই।
মোহিনী মুম্বাই
বইটি যখন প্রথম প্রকাশিত হয় তখন যারা ছয় বছরের শিশু, তারা এখন বিশ বছরের তরুণ। সুতরাং এই নতুন পাঠক প্রজন্মের জন্য বইটির অারেকটি পরিমার্জিত সংস্করণ বের করা হয়তো দরকার ছিল। ২০০০ সালের প্রথম থেকে পরবর্তী পঁাচ বছর ধরে দৈনিক প্রথম আলোতে ‘মুম্বাইর চিঠি’ শিরোনামের কলামটির নির্বাচিত কিছু এপিসোড সংকলিত হয়েছে এই বইতে।
সুদূরের অদূর দুয়ার
মিয়ানমার, শ্রীলংকা, হংকং এবং অস্ট্রেলিয়া সহ চারটি দেশের ভ্রমণবৃত্তান্ত রয়েছে বইটির মোট বারোটি অধ্যায়ে। অস্ট্রেলিয়ার স্বর্ণখনি থেকে শুরু করে ঘরের কাছের রেঙ্গুন কিংবা শ্রীলংকার ভ্রমণ কেন্দ্রগুলোর অতি পরিচিত স্থানটিকেও নিতান্ত অপরিচিত মনে হতে পারে এখানে।
কবি ও গায়ক হাসান মাহমুদ এর বই
চোখের মতো চিহ্নগুলোর প্রাথমিক পর্ব: প্রচ্ছদটি আজই হাতে পেলাম। বিকেলে মাসুক ভাই বল্লেন, হাসান– আরেকটু সময় দাও। একটু কাজ বাকি। আমি সানন্দে রাজি হয়ে গেলাম। বই প্রকাশ নিয়ে আমার অতীব উচ্ছ্বাস কখনোই ছিল না। আজও নেই।
মাসুক ভাই সেই অগ্রজ, সেই সুহৃদ— আমার এই ছোট্ট জীবনের সমূদয় শিল্পবোধ আর চৈতন্যের দ্বিতীয় ক্যাপ্টেন। এখানে বিলম্ব খুবই নস্যি..
কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু এর প্রবন্ধের বইটি আজ বের হলো
‘উনিশ-বিশ শতকের নারী লেখক ও আত্মশক্তির বিকাশ’ নামের নতুন প্রবন্ধের বইটি ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯’-তে এখন পাওয়া যাচ্ছে–
য়ারোয়া বুক কর্নার, স্টল নম্বর ৩৮৩, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
”এই গ্রন্থে বাঙালি নারীর সংগ্রাম-অধিকার-জাগরণ এবং বাংলা সাহিত্যে তাঁদের ভূমিকার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে নারীর মর্যাদাকে সংহত ও উজ্জ্বল করেছেন–লেখক, যার প্রতিফলন রয়েছে এই গ্রন্থের প্রবন্ধসমূহে। নারীর চেতনাগত বির্বতনের বিভিন্ন দিগন্ত পাঠকের অনুভবে অনুরণিত হবে–বিস্মৃতির অতল থেকে টেনে আনা আবিষ্কারমূলক ব্যঞ্জনায়।
এই গ্রন্থে নারীর আত্ববিকাশের ভিত্তিমূলে কীভাবে শিক্ষা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিভিন্ন সামাজিক অভিঘাত ও সাহিত্যধারা সম্পর্কিত হয়েছে–সেইসব ধারাবাহিকতা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি উনিশ শতক থেকে বিশ শতকের বহু নারী লেখক এই গ্রন্থে তাঁদের সৃজনশীলতায় দেদীপ্যমান হয়ে উঠেছেন–তাঁদের অলোকসামান্য ভূমিকায়–এঁদের অনেকে ছিলেন উপেক্ষিত, অনালোচিত ও অনাবিষ্কৃত।
বাংলাদেশের নারী সমাজের আত্ববিকাশ, সংগ্রাম ও মর্যাদার প্রেরণাসঞ্চারী বিভিন্ন উপাদান এই গ্রন্থের বিভিন্ন লেখায় খুঁজে পাবেন উত্তর প্রজন্মের নারীরা, প্রেষণা পাবেন নারী লেখকগণও। এই গ্রন্থে অনেক নারীর শৃঙ্খল মুক্তির মহিমাময় জীবনের বোধভাষ্যি পাওয়া যাবে, যা থেকে থেকে আত্বরক্ষা ও আত্ববিকাশের অনির্বাণ আলো নিয়ে নিঃসঙ্গতা ও বিষন্নতা কাটিয়ে সম্মুখবর্তী হতে পারবেন এ-প্রজন্মের নারীরা। বিপুল তথ্য, তত্ত্ব ও বিশ্লেষণ নির্ভর এই গ্রন্থটি কৌতূহলী পাঠক ও ছাত্র-শিক্ষক-গবেষকের কাছে সমাদৃত হবে, এমন প্রত্যাশা আমাদের।”
উনিশ-বিশ শতকের নারী লেখক ও আত্মশক্তির বিকাশ
গোলাম কিবরিয়া পিনু
প্রকাশক : য়ারোয়া বুক কর্নার
প্রচ্ছদ : চারু পিনটু