এই বইমেলায় বের হলো মুজিব ইরম প্রণীত কবিতার বই কবিবংশ। প্রকাশক: ধ্রুবপদ প্রকাশনী, রুমী মার্কেট, ৬৮-৬৯ প্যারীদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা। বইমেলায় ধ্রুবপদ-এর স্টল নং ৩৬৬-৬৭। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী চারু পিন্টু৷ ৪ ফর্মার এই গ্রন্থে ১টি ভূমিকা সহ মোট ৪৯টি কবিতা রয়েছে।
মুজিব ইরম-এর জন্ম মৌলভীবাজার জেলার নালিহুরী গ্রামে, পারিবারিক সূত্র মতে ১৯৬৯, সনদ পত্রে ১৯৭১। নব্বই দশকের আলোচিত এবং সনাক্তযোগ্য এই কবির এ-পর্যন্ত প্রকাশিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ: মুজিব ইরম ভনে শোনে কাব্যবান ১৯৯৬, ইরমকথা ১৯৯৯, ইরমকথার পরের কথা ২০০১, ইতা আমি লিখে রাখি ২০০৫, উত্তরবিরহচরিত ২০০৬, সাং নালিহুরী ২০০৭, শ্রী ২০০৮, আদিপুস্তক ২০১০, লালবই ২০১১, নির্ণয় ন জানি ২০১২। এছাড়া প্রকাশিত হয়েছে শিশুসাহিত্য: এক যে ছিলো শীত ও অন্যান্য গপ ১৯৯৯। উপন্যাস/আউটবই: বারকি ২০০৩, মায়াপির ২০০৪, বাগিচাবাজার ২০০৫। সম্প্রতি ধ্রুবপদ থেকে বেরিয়েছে মুজিব ইরম প্রণীত কবিতাসংগ্রহ: ইরমসংহিতা ২০১৩, এবং বাংলা একাডেমী থেকে নির্বাচিত কবিতার বই: ভাইবে মুজিব ইরম বলে ২০১৩ ।
মুজিব ইরম তার ১ম বইয়ের জন্য পেয়েছেন বাংলা একাডেমী তরুণ লেখক প্রকল্প পুরস্কার ১৯৯৬, এবং বাংলা কবিতায় সার্বিক অবদানের জন্য পেয়েছেন সংহতি সাহিত্য পদক ২০০৯।
‘কেনো কবিবংশ’? জানতে চাইলে মুজিব ইরম বলেন: ‘প্রায় ৩ দশক কবিতার সাথে ঘর-সংসার করে কোনো এক মধ্যরাতে মনে হলো রক্ত সম্পর্ক, ধর্ম সম্পর্ক, ভৌগোলিক সম্পর্ক ত্যাগ করে কবেই যেনো হয়ে উঠেছি এক নতুন বংশের লোক, কবিবংশের লোক। আমরা যারা শিল্পের কুহকী টানে এক ঘোরের ভিতর একটা জীবন খরচ করেছি, করছি, এবং করবো, তারা সবাই যেনো একই সম্পর্কে সম্পর্কিত। আমাদের আর কোনো ধর্মবর্ণগোত্র নেই, আর কোনো পরিচয় নেই। আমরা তো এক অলৌকিক বংশের লোক, কবিবংশের লোক।’
আমরা মুজিব ইরম প্রণীত এই নতুন বইটির সাফল্য কামনা করি। কবিবংশের জয় হোক।