বিশেষ প্রতিবেদন
প্রায় ১ বছর পরে ঢাকায় এসেছেন মফস্বলের একজন প্রবীণ লেখক। গত বইমেলার সময় আজিজ সুপার মার্কেটের বইপত্র নামের দোকানে তিনি কিছু বই রেখে গিয়েছিলেন। বইগুলোর কী দশা, আগামী বইমেলায় তার একটা বই প্রকাশের দায়িত্ব যদি বইবাজারের কেউ গ্রহণ করেন-এ আশা নিয়ে রাজশাহী থেকে এসে গাবতলী বাসস্টান্ডে নেমেই সোজা চলে এসেছেন শাহবাগে। কারণ, তিনি বইবাজার বলতে আজিজ মার্কেটকেই চেনেন। তাছাড়া রাজধানীর এই যানজট ঠেলে বাংলাবাজার যাওয়া তার জন্য অনেক কষ্টের।
কিন্তু শাহবাগ এসে তিনি চমকে গেলেন, এ-কী কাণ্ড! কোথায় বইপত্র? সে স্থানে এখন পাঠক সমাবেশ-এর বর্ধিত অংশ। বাকী যে কয়েকঘর প্রকাশক ছিলেন সেখানে ঝুলছে কাপড়ের হ্যাঙার। পুরো আজিজ মার্কেটই এখন কাপড়ের মার্কেট। পাঠক সমাবেশে যেয়ে তিনি জানতে পারলেন-এখানের বই ব্যবসায়ীদের অনেকেই এখন চলে গেছেন কাঁটাবনে বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটের বিপরীতে কনকর্ড এ্যাম্পোরিয়াম এ। সেখানে জমে উঠেছে নতুন বই বাজার।
প্রবীণ লেখক একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন – হায়রে ব্যবসা। বই বেইচা নাম কামাইবা, যেই নাম হইবো, অমনি বই ফেইলা কাপড়ের বাজার বসাইবা।
প্রবীণ লেখকের এ কথায় টনক নড়ে অনেকেরই। আরে তাইতো! ১৯৯৬ সালে যখন আজিজ সাহেব এ মার্কেট গড়ে তোলেন তখন একটা অলিখিত চুক্তির মতোই নীচতলার বেশিরভাগ দোকানই ভাড়া দেয়া হয়েছিল বই ব্যাবসায়ীদের কাছে। পাঠক সমাবেশ ছিল প্রথম ভাড়াটে। ক্রমে নীচতলার প্রথম ও দ্বিতীয় সারি বইয়ের দোকানে পূর্ণ হয়ে ওঠে। লেখক-সাহিত্যিক-প্রকাশকদের মিলন মেলায় পরিণত হয় আজিজ সুপার মার্কেট। স্বাভাবিক কারণেই জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় উঠে আসে আজিজ সুপার মার্কেট-এর পরিচিতি। তশীলা, বিদিত, পড়ুয়া, শ্রাবণ, পলল এরকম প্রায় ৪০/৫০টি বইয়ের দোকানকে ঘিরে বড়-ছোট লেখকদের আড্ডাটাও জমে ওঠে। এদের সৃজনশীলতাকে কেন্দ্র করেই ভাগ হয়ে যায় বাংলা বাজারের প্রকাশক সমিতি। নতুন সমিতির নামকরণ হয় সৃজনশীল জ্ঞান ও পুস্তক প্রকাশক সমিতি। সভাপতি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিঃ এর সত্ত্বাধিকারী মহিউদ্দিন আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক আগামী প্রকাশনীর ওসমান গনি। পাঠক সমাবেশ, বইপত্র, শ্রাবণ ইত্যাদি আজিজ মার্কেট কেন্দ্রিক প্রকাশকরাই এ সমিতির অন্যতম সদস্য। লেখক-প্রকাশকদের এ আড্ডাকে কেন্দ্র করেই এখানে গড়ে ওঠে লিটলম্যাগ চত্বর। লিটল ম্যাগাজিন কর্ণারের লোক ছাড়াও লিটলম্যাগ সম্পাদকদের জন্য এ সব বই দোকানগুলো ছিল আশিবার্দ স্বরুপ। কিন্তু হঠাৎ করেই বদলে যেতে শুরু করে আজিজ মার্কেটের চিত্র। বইয়ের স্থানে ক্রমে ভিড় করতে শুরু করে পোশাকের দোকান। এমনকি বইকে সরিয়ে রেখে পোশাক নিয়ে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন সৃজনশীল প্রকাশনী সংস্থার মালিকরাও। কেউ কেউ পোশাকের দাপট সহ্য করতে না পেরে চলে যান কাঁটাবনের কনকর্ড এ্যম্পোরিয়াম মার্কেটে।
কিন্তু কেন এই পরিবর্তন? আজিজ সুপার মার্কেট-এর ২য় তলার প্রথম সারিতে ছিল ম্যাগনামওপাস নামের সৃজনশীল প্রকাশনী সংস্থাটি। সেটির অবস্থান এখন আন্ডারগ্রাউন্ডে। আগের স্থানে শোভা পাচ্ছে পোশাকের দোকান।
ম্যাগনামওপাস এর সত্ত্বাধিকারী সাংবাদিক আনোয়ার ফরিদী বলেন- হঠাৎ করেই গত ২০০৫ সাল থেকে পোশাক ব্যবসার প্রসার ঘটতে শুরু করে এই মার্কেটে। নিত্যউপহার নামের একটি প্রতিষ্ঠান সৃজনশীলতা ও দেশীয় ঐতিহ্যের নাম করে ক্রমে তার পোশাক বাজারের শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে দেয়। যা দেখে অনেকেরই ধারণা জম্মে- এখানে বুঝি পোশাকের বাণিজ্য বেশ জমে গেছে। তা দেখে দোকান মালিকরা দোকান ভাড়া ও জামানত বাড়াতে উৎসাহী হয়ে পড়েন। যেটা বই প্রকাশকদের জন্য প্রচণ্ড ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। প্রথমদিকে বিষয়টায় আমল দেয়নি কেউ। কারণ, হস্তশিল্পজাত পোশাকে কবিতা আর চিত্রকলার চমৎকার ব্যবহার সত্যিকারের সৃজনশীলতার কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল এবং এতে করে বই ব্যবসায়ী ও প্রকাশকদের ক্ষতি হবার কোনো সম্ভাবনাও ছিলনা। কিন্তু বই ব্যবসায়ী আর প্রকাশকদের মধ্যেও কিন্তু পার্থক্য আছে। প্রকাশক তারা, যারা নিজের গাঁটের পয়সায় অন্যের বই প্রকাশ করেন। আর ব্যবসায়ীরা অন্যের পয়সায় নির্ভর করে বিদেশের সাথে বই বাণিজ্য করেন। এখানে বই ব্যবসায়ী মাত্র দু’চার জন, তাদের নিজস্ব দোকান আছে। বাকীরা সবাই প্রকাশক এবং ভাড়াটে। কাপড়ের ব্যবসার প্রসার ঘটায় এ মার্কেটে দোকানের চাহিদা বেড়ে যায়, যে কারণে আগে কম জামানতে কম ভাড়ায় যে দোকানটি ভাড়া দেয়া হয়েছিল, এখন বেশি মুনাফার সুযোগে দোকান মালিক জামানত ও ভাড়া বাড়ানো, অন্যথায় দোকান ছেড়ে দেয়ার নোটিশ দিয়ে বেশিরভাগ সৃজনশীল প্রকাশককে, এককথায় তাড়িয়ে দিয়েছেন। আমি বলবো সৃজনশীলতার নামে মালিকপক্ষ এ মার্কেটে বই বাজারের ক্ষতি করলেন। একটি দোকান থেকে ৮টি দোকান হলে বিষয়টাতো চোখে পড়ার মতোই ব্যাপার। অন্য কাপড় ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে সেটাই ঘটেছে।
আজিজ মার্কেটে এসে নিয়মিত আড্ডা দিতেন এ সময়ের উল্লেখযোগ্য কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা। তিনি বলেন- এটাকে লেখক মার্কেট বললেই ভালো হত। আজিজ সাহেব নিজের নামে করেছেন, কিন্তু শুরু হয়েছিল তো একটি মাত্র দোকান নিয়ে, পাঠক সমাবেশ। এটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম, আমার বন্ধু আবুল হাসনাত আমাকে নিয়ে এসেছিল। পাঠক সমাবেশ ঘটার পরই দোকান সমাবেশ হতে শুরু করল। এই আজিজ সুপার মার্কেটকে এ কথা মনে রাখতেই হবে যে লেখক পাঠকের সমাবেশ দিয়েই এ মার্কেটের ভিত্তি তৈরি হয়েছে। সব মার্কেটেই পণ্য থাকে, পণ্যের পাশাপাশি একটা আভিজাত্য থাকে। আজিজ মার্কেটের আভিজাত্যই ছিল বই এবং লেখক পাঠকের আড্ডা। এটার মূল পরিচিতিই ছিল বই বাজার হিসেবে। আহমদ ছফার মত জ্ঞানী মনীষী থাকতেন এই বই বাজারে। তাকে ঘিরে খ্যাত-অখ্যাত সব লেখক সাহিত্যিক-কলামিস্টকেই এখানে আসতে হয়েছে। শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে আজিজ মার্কেট জড়িয়ে ছিল বলেই আজ এর এতটা পরিচিতি। এই যে পোশাকের প্রাদুর্ভাব এখন, এটা কীভাবে হলো? আমার জানা মতে, নিত্যউপহার নামের একটি দোকান এখানে প্রথম সৃজনশীলতাকে পূজি করে লোকজ ঐতিহ্যের নির্মাণের মাধ্যমে। হস্ত তৈরি পোষাকে, দেশীয় পোশাকের বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে কবিতা, পটের চিত্র ব্যবহার করে বিক্রির চেষ্টাটাও সৃজনশীলতারই প্রকাশ ছিল। অর্থাৎ এটাও শিল্পের কাজ। কিছুদিন পরই দৃশ্য বদলে যেতে শুরু করল। দোকান মালিকরা পণ্যের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে বইকে বাদ দিয়ে পণ্যকেই বেছে নিতে শুরু করেছেন। প্রকাশকদের কেউ কেউ দোকান ছেড়ে দিচ্ছেন, কেউ বই রেখে সেখানে পোশাকের বা ডিজাইনের বাণিজ্য চালু করেছেন। এর পিছনে অবশ্য আরও কারণ আছে, এই যে পাঠক সমাবেশ সে তো তার ব্যবসা ঠিকই করে যাচ্ছে। তার ব্যবসার ক্রমশ প্রসার ঘটছে। কারণ, তিনি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এখন কম্পোউটারাইজ পদ্ধতিতে ব্যবসার হিসেব নিকেশ পরিচালনা করছেন। বইয়ের ব্যবসা তো শুধু বই নিয়ে বসে থাকা নয়, লেখক-পাঠকের কাছে বইটা পৌঁছে দেয়া, তাদের মধ্যে একটা আন্তরিকতা তৈরি করে দেয়াটাও প্রকাশকের কাজ। এ কাজটা বীজুই একমাত্র সফলভাবে করতে পারছেন বলেই তিনি টিকে আছেন।
নিত্যউপহার পোশাকের দোকানের সত্বাধিকারী বাহার রহমান জানান – আমিতো আমার সৃজনশীলতা থেকে সরে আসিনি। আমার পোশাকের ব্যবসা প্রথম যা দিয়ে শুরু করেছিলাম, এখনো তা-ই আছে। বরং ডিজাইনের অনেক পরিবর্তন ঘটেছে, মান আরও উন্নত হয়েছে। আরও বেশি কবিতা, চিত্র শিল্পকে আমি ব্যবহার করতে পারছি। এখন সারা দেশেই এটার প্রসার ঘটেছে। যতটা না কাগজে তার চেয়ে অনেক বেশি আমার কাপড়ে কবিতার প্রকাশ হচ্ছে। আমার দেখাদেখি আরও অনেকেই কবিতা ও চিত্রকলাকে ব্যবহার করে পোশাক তৈরি করছেন। এ মার্কেটে এখন নিত্যউপহারের মোট ৮টি শো’রুম। প্রকাশকদের অভিযোগ থাকতেই পারে, এ বিষয়ে আসলে আমার কিছু বলার নেই। শুধু বলবো প্রকাশকরা যদি যুগোপযোগী না হন তাহলে তো তাদের ক্ষতি হবেই। একসময় এ মার্কেটটি বইবাজার হিসেবে পরিচিত ছিল এখন চেঞ্জ হবে এটাই স্বাভাবিক।
পাঠক সমাবেশ-এর সত্বাধিকারী সাহিদুল ইসলাম বিজু বলেন – দোকান মালিক যারা টাকা বাড়াতে চায়, তারা বই রেখে অন্য ব্যবসায় টাকা খাটাচ্ছেন, এখানে কাউকে তুলে দেয়া বা না দেয়ার কোনো বিষয় নেই। আসলে যার ভিত্তি আছে, যে সত্যিকারের ব্যবসায়ী সে-ই টিকে থাকবে, বাকীরা ঝড়ে ছিটকে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। তবে হ্যাঃ বই ও লেখকদের কারণেই এ মার্কেটের পরিচিতি তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
আজিজ সুপার মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আলমগীর বলেন – দু’চারজন প্রকাশক চলে গেছেন এটা সত্যি। তবে তারা পোশাক ব্যবসা শুরু হবার অনেক আগেই চলে গেছেন। এ মার্কেটে ৬০০ দোকান। বেশিরভাগই বন্ধ ছিল। এখন বন্ধ দোকানগুলো খুলেছে, বেশিরভাগ দোকান মালিক ব্যবসা হিসেবে পোশাক ব্যবসাকেই বেছে নিয়েছেন। এতে বই বাজারের কোনো ক্ষতি হচ্ছে বলে আমি মনে করিনা। একটি দোকান শ্রাবণ আগে বইয়ের দোকান ছিল, নীচতলার ২৮ নং দোকানটি। তিনি কেন বই সরিয়ে পোশাকের দোকান করেছেন তা আমি জানিনা। নতুন বইয়ের দোকান প্রথমা তো আছে, পাঠক সমাবেশ, পড়ুয়া, বিদিত এরা কেউ যায় নি। প্রথম ও দ্বিতীয় সারিতে যে বই দোকানগুলো ছিল সবই আছে। দ্বিতীয় তলার কয়েকজন চলে গেছে, সেটা দোকান মালিক নিজেই হয়তো ব্যবসা করতে এসেছেন। ভাড়াটেদের যদি মালিক তুলে দেয় বা মালিক নিজেই ব্যবসা পরিচালনা করে সেক্ষেত্রে সমিতি কখনো হস্তক্ষেপ করেনা বা কে কি ব্যবসা করবে এ ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই সমিতির নিজস্ব কোনো নিতিমালা নেই।
শ্রাবণ প্রকাশনীর সত্বাধিকারী রবিন আহসান বলেন, প্রথম যখন ২৮ নং দোকানটি ভাড়া নেই। তখন ভাড়া ছিল তিনহাজার এবং জামানত ৫০ হাজার টাকা। হঠাৎ করেই সেটা বেড়ে গেল। মালিক ভাড়া দাবি করছেন ৯ হাজার টাকা এবং জামানত বেড়ে দাঁড়াল ৩ লাখ টাকায়। বাধ্য হয়েই ওখান থেকে বই সরিয়ে নিয়ে গেলাম কনকর্ড এম্পোরিয়ামে। সেখানে নতুন বইয়ের মার্কেট গড়ে উঠছে এবং ভাড়াটাও বই প্রকাশকদের আয়ত্বের মধ্যে।
বইপত্র -এর সত্বাধিকারী অরুণ গাঙ্গুলী বলেন – আজিজ সুপার মার্কেটে হঠাৎ করেই দোকান ভাড়া বেড়ে গেল। পোশাকের ব্যবসার দাপটেই এটা হতে শুরু করল। যে কারণে আমরা কযেকজন চলে এলাম কনকর্ড এ্যম্পোরিয়াম মার্কেটে। আজিজ থেকে প্রথমে বইপত্র, শ্রাবণ, তশীলা এসে কনকর্ড মার্কেটে এসে নতুন বইবাজার গড়ে তোলার কাজ শুরু করে। এখন এখানে ২২টি প্রকাশনি হয়েছে। প্রত্যেকেই চেষ্টা করছে নতুন এই বই বাজার জমিয়ে তুলতে। যে কারণে, এখানে আমরা বর্ষার বইমেলার আয়োজন করেছিলাম, সে আয়োজন আমাদের সফল হয়েছে। মার্কেট কমিটির সভাপতি একজন অধ্যাপক হবার সুবাধে এখানে তাদের বইয়ের প্রতি একটা টান ল্য করেছি। মার্কেট কর্তপ চান এখানের সব দোকানই যেন প্রকাশনী হয় এবং ২য় বই বাজার হিসেবেই এ মার্কেটের পরিচিতি ঘটে।
কনকর্ড এ্যাপোরেলস দোকান মালিক সমিতির সভাপতি প্রফেসর জিয়াউদ্দীন আহমেদ– আজিজ সুপার মার্কেট-এর কয়েকজন বই ব্যবসায়ী ও প্রকাশক এসে ধরলেন, ওখানে তাদের সমস্যা হচ্ছে, আপনারা যদি গ্রাউণ্ডফোরটা শুধু বইয়ের জন্য ছেড়ে দেন তাহলে এটা বই বাজারে পরিণত হতে পারে। আমি একজন শিক। ক্যামেস্ট্রির টিচার হিসেবে অবসর নিয়েছি। বইয়ের প্রতি স্বাভাবিক দুর্বলতা থেকেই রাজী হয়ে গেলাম। এখানে গ্রাউণ্ডফোরে ৮৫টি দোকানঘর রয়েছে। এ পর্যন্ত ২২ জনের মত প্রকাশক এসেছেন। বর্ষার বইমেলাও করেছে শ্রাবণ নামে প্রকাশনীটি। বেশ জমেও ছিল। আমি বিশ্বাস করি মূল্যবোধের অবয় ঠেকাতে পারে একমাত্র বই। তাই বই বাজারের মাধ্যমে মার্কেট জমিয়ে পরে বই সরিয়ে অন্য পণ্যের বাজারের প্রসার ঘটানোর কোনো চিন্তাই আমাদের নেই। তবে উপরতলায় অন্য পণ্যের ব্যবস্থা রাখা আছে, নীচে পুরোটাই বইয়ের বাজার হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমি চাই বাংলাবাজারের পরে কনকর্ড এ্যম্পোরিয়াম হোক দ্বিতীয় বই বাজার।
(বি.দ্র- এ লেখাটি সাহিত্য বাজার ৩য় সংখ্যায় ২০০৮ সালে প্রকাশিত হয়েছে। সেটিই হুবহু তুলে ধরা। বর্তমানে সভপতি পরিবর্তন হলেও দোকান মালিক কেউ-ই পরিবর্তন হয়নি, তবে লাল, সাদা নীল, হলুদ, কৃষ্ণকলি, ইত্যাদি নামে কাপড়ের দোকান আরো বেড়েছে।)
হ্যাঁ, বিজু পাঠকের কাছে বই নিয়ে আসছেন। তাঁর প্রকাশনা থেকে বের হওয়া অনুবাদ বইয়ের দাম অরিজিনাল ইংরেজি বইয়ের চেয়েও বেশি হয়ে থাকে। এইভাবে আর কী! আর তাঁর ‘ভিত্তি’? হ্যাঁ আছেই তো!