পটুয়াখালী সাহিত্যের আলোকিত মুখঃ মাসুদ আলম বাবুল
ঝড়ো হাওয়ায় উড়ায়ওনা
তোমার উত্তরীয়;
প্রিয়,
ঐ হৃদয়ের প্রেমের হাওয়া
একটু না হয় দিও।
একটু ভালো বেসো না হয়
নিও ভালোবাসা,
তোমার চোখে গেঁথে রেখো
আমার স্বপ্ন আশা।
শুধু কবিতা নয়, গল্পে উপন্যাসে ও প্রবন্ধ রয়েছে তার সমান দখল। তার লেখা নিদিরা উপন্যাস ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছে দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে তিনি এখন সমান জনপ্রিয়। যদিও পটুয়াখালী সদরের অনেক সাহিত্যিক এটা মানতে নারাজ যে তিনি পটুয়াখালীর লোক। যেকারণে, এবারের সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য মধুসূদন পদক ২০২০ পাওয়ার পরও জেলাকমিটির সাহিত্যের অঙ্গনে তাকে নিয়ে খুব একটা আলোচনা শোনা যায়নি।
সাহিত্যিক অধ্যক্ষ মাসুদ আলম বাবুল বলেন, এখানের সাংস্কৃতিক কর্মীদেও মধ্যে একতার অভাব প্রচ-। এরা কলকাতার বা ভারতের নামি লেখক বা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে নিজেদের মানুষ বলে দাবি করতে পারেন, কিন্তু নিজেদের মাঝে বেড়ে ওঠা লেখক বা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে এই জেলার নয় বলে অবজ্ঞা করতে দ্বিধা করেনা।
এখানে উল্লেখ্য গত জানুয়ারীতে অনুষ্ঠিত মধুমেলার চতুর্থ দিনে গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ ও উপন্যাস ক্যাটাগরিতে পটুয়াখালী হাজী আক্কেল আলী হাওলাদার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কবি কথাসাহিত্যিক মাসুদ আলম বাবুল তার রচিত ‘নিদিরা’ উপন্যাসের জন্য মধুসূদন পদক ২০২০ গ্রহণ করেন।
একনজরে
মাসুদ আলম বাবুল (কবি ও কথা সাহিত্যিক) জন্মঃ ৩১ ডিসেম্বর ১৯৬৯, বরগুনা জেলাধীন বেতাগী উপজেলার দক্ষিন হোসনাবাদ গ্রামে।পিতাঃ মরহুম ডাঃ আছমত আলী মাতাঃ মৃত সাহা ভানু
পেশাঃ শিক্ষকতা বর্তমানে পটুয়াখালী শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হাজী আক্কেল আলী হাওলাদার কলেজে অধ্যক্ষ পদে কর্মরত।
বেসরকারি সাহায্য সংস্থা পল্লী-নগর উন্নয়ন সংস্থা – রাডো এবং বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদে অবস্থিত ডা.আছমত আলী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা।
পাঠশালা বয়স থেকেই লেখালেখির শুরু।প্রকাশিত গ্রন্থসমূহঃ- কাব্যগ্রন্থ: দুঃসহ দিন কাটেনা, অসমাপ্ত যীশু, বাউলের মন, বাতিঘর ও প্রাণের পিরান ছড়া: নাই গল্পগ্রন্থ: নিরন্তর উপন্যাস: নিষিদ্ধ নিয়ম, নিদিরা ও বিষখালির বাঁকে প্রকাশিতব্য: কাব্যগ্রন্থ – মোমেনা, ভোরগুলো কুয়াশাময়, সনেটগুচ্ছ;গল্প- মাদুলি;ছড়া- সাপে-নেউলে;উপন্যাস- লেচু মিয়ার ঘর, আক্কাস আলীর জবানবন্দি।