রকিব হাসানের কিশোর থ্রিলার অবলম্বণে ধারাবাহিক নাটক
তিন গোয়েন্দা
তিনজন মেধাবী কিশোর। মুসা, রবিন. কিশোর। একজন আমেরিকান বাঙ্গালী একজন আফ্রো বাঙ্গালী একজন স্কটিশ বাঙ্গালী। একই সঙ্গে বড় হয়েছে ওরা আমেরিকায়। বাঙ্গালী কিশোর দলনেতা অর্থাৎ গোয়েন্দা প্রধান। প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন। গোয়েন্দা সহকারি মুসা আমান আফ্রো বাঙ্গালী। মার্শাল আর্ট ও কম্পিউটার এক্সপার্ট। খাদ্যরসিক। আর ইউরো বাঙ্গালী রবিন মিলফোর্ড বইপোকা। হিসাবকিতাবে পাকা। পাহাড়ে চড়া তার সখ। কিশোর বয়সে বাপ মা হারা। চাচাই তার সব। চাচা একজন ব্যবসায়ী। মুসার বাবা সাংবাদিক আর রবিনের বাবা একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক। তারা আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসেছে স্ব-পরিবারে। তিন পরিবারেরই পারিবারিক সম্পর্কটা খুব আন্তরিক। ওদের বসবাস এখন ঢাকা শহরে। তিন বন্ধুই অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়। এবং সেই সূত্র ধরেই তারা ঘটনার সমাধান খুঁজতে গিয়ে একসময় হয়ে উঠেছে গোয়েন্দা। তিন গোয়েন্দা। আমেরিকাতে থাকতেই রহস্যময় কর্মকান্ডের সমাধানে দক্ষ এই তিন বন্ধু গোয়েন্দা হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। ঢাকায় এসে প্রথম দিকে পড়াশোনা ছাড়া কাজ না থাকায় খারাপ লাগলেও জটিল সব রহস্যের সমাধানে ওরা ফিরে আসে তাদের স্বরূপে। শুরু হয় দূর্দান্ত অ্যাডভেঞ্চার। একের পর এক শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনার মুখোমুখি তিন গোয়েন্দা।
রকিব হাসানের এই জনপ্রিয় কিশোর থ্রিলার সিরিজটির নাট্যরূপ ও কাহিনী বিন্যাস করেছেন বিশিষ্ট নাট্যকার মাজহারুল হক পিন্টু পরিচালনা আবুল হোসেন খোকন। তিন গোয়েন্দার প্রধান তিনটি চরিত্রের জন্য সম্প্রতি অডিশন হয়ে গেল মাছরাঙা টেলিভিশনে। প্রায় পাঁচ
হাজার আগ্রহী কিশোরের ভেতর থেকে মাসব্যাপি আয়োজিত অডিশনের ভেতর দিয়ে বেছে নেয়া হয়েছে তিন প্রধান চরিত্র কিশোর, মুসা আর রবিনকে। এতে বিচারক হিসেবে অংশ নেন কচি খন্দকার, অশোক বেপারী, ম.আ সালাম, ড. খন্দকার তাজমি নূর, নাজনীন হাসান চুমকি, মাজহারুল হক পিন্টু, আবুল হোসেন খোকন।