২৫ নভেম্বর, বিশ্বজুড়ে এ দিনটিতে পালিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকায় নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনায় বিশ্ব মানবাধিকার সম্মেলন দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়। জাতিসংঘ দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর। বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস উদ্যাপন কমিটি ১৯৯৭ সাল থেকে এই দিবস ও পক্ষ পালন করছে।
গত ২১ নভেম্বর, শুক্রবার জুম্মার নামাজের খুতবায় মীরপুর ৬ নং সেকশনের বায়তুল আমান জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা সাঈদ আহমদ এই দিবস এবং ইসলাম ধর্মে নারীর সম্মান ও মর্যাদা বিষয়ে আলোচনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মুসলমান দেশের মুসলিম মানুষেরা মাত্র ৩০/৫০ অথবা 200 বছর আগের বিষয় নিয়ে পৃথক দিবস পালন করে, অথচ তারা কেউ ভেবে দেখেনা যে তাদের ধর্ম ইসলাম সেই ১৪৩৩ বছর আগে এ বিষয়ের সুন্দর সমাধান তৈরি করে রেখেছে। ইসলাম ধর্মের নিয়মনীতি মেনে চলছেন যে নারী, তিনি নির্যাতন তো দূরের কথা বরং প্রতি পদে তার জন্য রয়েছে সম্মান ও মর্যাদা। তার আশেপাশের মানুষেরাই শুধু নয়, সযং সৃষ্টিকর্তার কাছেও তিনি সম্মনিত হবেন।
মাওলানা সাঈদ বলেন, ইসলাম ধর্মে নারীর নির্যাতন হওয়ারই কোনো সুযোগ নেই, তাই প্রতিরোধেরও কোনো প্রশ্ন আসেনা।
এসময় তিনি তৎকালীন সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্ভাচেভ এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, যে গর্ভাচেভ তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নারীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আমরা নারীদের ঘর থেকে বের করে এনেছি। এতে অর্থনৈতিক উন্নতি হলেও সামাজিক ও পারিবারিক ক্ষতি হয়েছে। তাই আমি পুনরায় নারীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য বাধ্য করতে চাই। কারণ ঘরে শান্তি না থাকলে কোনো উন্নতিই লাভজনক নয়।
মাওলানা সাঈদ আহমদ জুম্মার খুতবায় বিশ্ব নারী দিবস এবং শ্রম দিবস বিষয়েও কতা বলেন। এ সব দিবসকে জাতিসংঘ প্রোমোট করছে শুধু মাত্র ইসলামকে খাটো করার প্রবণতা নিয়ে। আর জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রণ করছে বিশ্ব মোড়ল আমেরিকা।
অনেক ভালো লাগলো ।