এ এ ডিউক : চ্যানেল আই এর ঈদ ধারাবাহিক রাজশাহীর রসগোল্লার বিষয় বস্তু ছোটোদের জন্য খুবই চমৎকার ছিল। কিন্তু পরিচালনা গত দুর্বলতায় এটি নাম অনুযায়ী ততটা জনপ্রিয়তা পেল না। ছোটোকাকু সিরিজ। নামটায় যে রোমান্টিকতা ও দুর্দান্ত গতির উপস্থিতি, সেটা এর নির্মাণ শৈলিতে একেবারেই অনুপস্থিত।
সবকিচুতেই জোর করে মুক্তিযুদ্ধ আর রাজাকার প্রবেশ করানো কতটা জরুরী সেটাও লেখকের ভেবে দেখা উচিত। রসগোল্লা সিরিজের সোমবার প্রচারিত পর্বে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের যে চিত্র, যে ক্ষমা চাওয়া বিষয় দেখানো হল। পুরো বিষয়টি শিশুদের কাছে কতটা পরিস্কার তা পরিচারক নিজেই আকেবার দেখে, ভেবে বলুন।
এতটা গতিহীনতার ধারাবাহিকতা কি ছোটদের আকর্ষণ ধরে রাখতে পারে? যেখানে আমারে শিশু কিশোররা টম এন্ড জেরীর দ্রুত গতিতে অভ্যস্ত, যেখানে কিশোর গোয়েন্দা কাহিনীও তাদের টানছেনা, ফেলুদাও এখন পুরাতন হয়ে গেছে। সেখানে এতটা ধীর গতির, সংলাপ প্রক্ষেপনে আনাড়ি অভিনেতাদের ব্যবহার কতটা সময় টেলিভিশনের সামনে ধরে রাখবে শিশুদের?
অভিনেতা নির্মাতা আফজাল হোসেন এবং দুই কিশোর অভিনেতার অভিনয় মান নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তারা যথেষ্ট ভাল করছেন। কিন্তু অন্যদের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে কিম্বা লেখকের অতিমাত্রায় শ্রদ্ধা দেখাতে গিয়ে তারাও ঢিলেমিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। এতে করে গল্পকার ফরিদুর রেজা সাগরও কি ছোটো হচ্ছেন না?
হয়ত বলবেন, সবটা না দেখে, মাত্র দু একটা দৃশ্য দেখে এমন মন্তব্য কেন? না ভাই বা বন্দুরা, এ মন্তব্য আমার নয়। আমার ভাইয়ের ছেলে-মেয়েদের। ছোটোকাকু সিরিজ দেখ বলে তাদের খুব গর্ব করে বলার পর তারা যখন বলল, ফালতু। তখন নিজেই বসে দেখলাম সোবার প্রচারিত পর্বটি। যা দেখে এ কথাগুলো বলতে বাধ্য হলাম।