তাহলে এই যান্ত্রিক শহরে এখনো কবিতার আড্ডা বসে? এখনো কবিরা জড়ো হয়ে আড্ডার ছলে শীতের পিঠা খেতে খেতে স্বরচিত কবিতা পড়ে এই ঢাকা শহরে। জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স কক্ষে কবিতা শুনতে এসে একজন মুগ্ধ শ্রোতার বিস্মিত প্রশ্ন ছিল কবি মুহম্মদ নুরুল হুদার কবিতা শুনে। কবি আল মুজাহিদীর সাথে কবি নুরুল হুদা তখন মজা করছিলেন মঞ্চে দাঁড়িয়ে কবিতা পড়ার ফাঁকে।
গণ্যমাধ্যম সংস্থা ঘাসফুল-এর সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী কবিতা পাঠের এ আয়োজনে সব্যসাচী কবি সৈয়দ শামসুল হকের সভাপতিত্বে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে কবি সোহরাব হাসান। কবি ফজল শাহাবুদ্দিন’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বক্তব্য দেন কথাসাহিত্যিক আতা সরকার। এ সময় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন কবি-লেখক ও দর্শকশ্রোতা।
উৎসবে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন মাহবুব তালুকদার, রফিক আজাদ, রবিউল হুসাইন, হেলাল হাফিজ, হাবিবুল্লাহ সিরাজী, কাজী রোজী, মাশুক চৌধুরী, শিহাব সরকার, জাফরুল আহসান, ইকবাল আজিজ, আলমগীর রেজা চৌধুরী, জাহাঙ্গীর ফিরোজ, হাসান হাফিজ, দিলারা হাফিজ, আলম তালুকদার, গোলাম কিবরিয়া পিনু, কামাল চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন, দারা মাহমুদ, ফরিদ কবির, মিনার মনসুর, বিলু কবির, সেলিম মাহমুদ, সরকার মাসুদ, সৌরভ জাহাঙ্গীর, সাজ্জাদ আরেফিন, চঞ্চল আশরাফ, রকিবুল হাসান, শেলী নাজ, সাখাওয়াত টিপু, জুনান নাশিত ও রনজু রাইমসহ আরো অনেকে।
উৎসবটি সাহিত্য গবেষক মরহুম ড. গোলাম কাদিরকে নিবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য – ঘাসফুল প্রায় নিয়মিতভাবেই কবিতা বা ছড়া পাঠের আয়োজন করে আসছে গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে।