প্রতি বছরের মত এবারো ১লা ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু হয়েছে। এবার অমর একুশে গ্রন্থমেলার একটি ভিন্ন বৈশিষ্ট্য হল, বাংলা একাডেমি’র প্রাঙ্গন ছাড়িয়ে মেলা সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সম্প্রসারিত হয়েছে। সম্প্রসারিত বইমেলার কারণে এবার মেলায় স্পেস অনেক বেশি। কিন্তু মূল মেলা একাডেমি’র প্রাঙ্গনের বাইরে হওয়ায় কিছু নতুন ঝামেলাও তৈরি হয়েছে। আশা করি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মেলা পুরোপুরি জমে ওঠার আগেই বিষয়গুলোর সমাধান করবেন।
বইমেলার তিন পেরিয়ে গেলেও এখনো মেলার সম্প্রসারিত অংশে কোনো অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়নি। যা স্টলে কর্মরত প্রকাশকদের সহযোগী ও মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য একটা নতুন ভোগান্তির উদ্রেগ করেছে। কর্পোরেট বিজ্ঞাপন সন্ত্রাস দমন করার উদ্যোগ নেওয়ার পর মেলায় এখনো কিছু কিছু স্টলে ঠোকাঠুকি চলছে। তবে তা দু’একদিনের মধ্যেই শেষ হবে বলে ধরে নেওয়া যায়।
প্রতি বছরের মত এবারো বাংলা একাডেমি’র মূল মঞ্চের আলোচনা অনুষ্ঠান চরমভাবে ফ্লপ। বিখ্যাত আলোচকদের সামনের চেয়ারগুলো একেবারে ফাঁকা। সেখানে মেলায় আগত কিছু দর্শানার্থীদের বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। যাদের আলোচনা শোনায় কোনোই আগ্রহ ছিল না। অথচ সন্ধ্যায় একই মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সময় প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অমর একুশে বইমেলা’র সময়ে একাডেমি’র এই আলোচনার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবা উচিত। সাহিত্যের জ্ঞানগর্ব আলোচনায় এমন শ্রোতাশূন্য কতবার আর দেখতে হবে আমাদের জানা নেই।
বাংলা একাডেমি এবার স্টল বরাদ্দ দেবার ক্ষেত্রে প্রকাশকদের জন্য কিছু বিধিমালা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। অন্তত ২০টি নতুন বই প্রকাশ করার শর্ত সেখানে ছিল। প্রকাশকরা একাডেমি’র সেই শর্ত পূরণ করতে গিয়ে অনেক অলেখকদের বই প্রকাশে উৎসাহিত হয়েছেন। অনেক প্রকাশক এসব অলেখকদের থেকে টাকা নিয়েও বই প্রকাশ করছেন। যা প্রকৃত ও প্রতিশ্রুতিশীল লেখকদের জন্য বরাবরই একটি বিড়ম্বনা। আমাদের প্রকাশকদের তেমন এডিটিং সিস্টেম এখনো গড়ে ওঠেনি। প্রকাশকরা বইয়ের কনটেন্ট কি, তা যাছাই বাছাই না করেই টাকা নিয়ে এসব মুড়ি মুড়কি বের করছেন। যা মোটেও সুখকর নয়। অমর একুশে বইমেলায় বছরে চার-পাঁচ হাজার নতুন বইয়ের মধ্য থেকে ভালো বই খুঁজে পেতে প্রকৃত পাঠকদের তাই অনেক বেগ পেতে হয়। বরং প্রকাশকরা যদি পাণ্ডুলিপি যাচাই বাছাই করে অন্ত পাঁচশো ভালো বই প্রকাশ করেন, তাহলে একুশের চেতনাকে যেমন প্রকৃত সম্মান দেখানো হবে, তেমনি বইয়ের গুনগত মান এবং প্রকৃত লেখকদের জন্য সেটি একটি কার্যকর পদক্ষেপ হবে বলেই আমি মনে করি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একটি ভালো বইয়ের জন্যও একটি ভালো এডিটিং সাপোর্ট কাজ করে। সুন্দর এডিটিং করা একটি ভালো মানের বই প্রকৃত পাঠককে যেমন আনন্দিত করে, তেমনি একজন লেখকের সত্যিকারের অন্তরের খবর জানারও সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু অলেখকদের আর্বজনা প্রকৃত বইয়ের পরিবেশ নষ্ট করার পাশাপাশি পাঠকদের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণার সামিল বলেই আমার ধারণা।
এসব অলেখকরা আবার শুধু টাকা খরচ করে বই প্রকাশ করেই থামছে না, তারা বিখ্যাত মানুষজন আমন্ত্রণ করে, তাদের দিয়ে সেই মুড়ি-মুড়কির মোড়ক উন্মোচনও করছেন। সেই মোড়ক উন্মোচনের খবর আবার বেকার প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ধারণ করছে, প্রচার করছে, যা অমর একুশে বইমেলার ঐতিহ্যকে একটু হলেও বিভ্রান্ত করছে। আবার যারা নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করতে আসেন, তারা সেই লেখক সম্পর্কে একটি বাক্যও জানেন না। বা জানার চেষ্টাও করেন না। এমনকি বইয়ের ফ্লাপে যতটুকু পরিচয় জানা যায়, সেটুকুও তারা পাতা উল্টে দেখেন না। তারা এতোই বিখ্যাত যে, তাদের সেই পাতা উল্টানোরও সময় নাই। ফলে এই সব অব্যবস্থাপনার সুযোগে অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষ্যে প্রতি বছরই অলেখকদের প্রচুর আনাগোনা প্রকৃত লেখকদের জন্য একটি বিশাল বিড়াম্বনা তৈরি করছে। যা নিয়ে একাডেমি বা প্রকাশকদের কারোরই কোনো মাথা ব্যথা নেই।
প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বইমেলার নিউজ কভার করতে গিয়ে এমন সব বাড়াবাড়ি করছেন যে, মেলায় আগত দর্শনার্থীদের অনেকে বিড়ম্বনায় পড়ছেন। অনেক চ্যানেলকে দেখা গেছে মেলার মূল ফটকের সামনে স্যুটিং করতে। যা মেলায় আগত দর্শনার্থীদের সহজ যাতায়াতে এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। অনেকে টুলের উপর দাঁড়িয়ে স্যুটিং করছেন। অনেকে চেয়ারের উপর দাঁড়িয়ে স্যুটিং করছেন। এ কি রে বাবা? টেলিভিশন মিডিয়ার ব্যাপকহারে বৃদ্ধির কারণে এসব চ্যানেলগুলো কোনো ধরনের শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ ছাড়াই একদল ভাড়াটে কর্মীদের এভাবে ছেড়ে দেন। এরা অনেকে কীভাবে কথা বলতে হবে, কখন কার সঙ্গে কথা বলতে হবে, কি নিয়ে কথা বলতে হবে, এসব পাঠই জানে না। ফলে এক ধরনের উটকো বিড়ম্বনা তৈরি হয় এই মিডিয়া সন্ত্রাসের আগ্রাসী তাণ্ডবে। অমর একুশে বইমেলায় মিডিয়ার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা উচিত। আর সেই নীতিমালার চূড়ান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে একাডেমি ও মেলা কর্তৃপক্ষকে।
প্রতিবারের মত এবারো টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত বারোয়ারি জিনিস নিয়ে ইতোমধ্যেই দোকান সাজিয়ে বসেছে অনেকে। এটা বইমেলাকে চরমভাবে ডিসটার্ব করে। যা বন্ধের জন্য কর্তৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যথা নেই।
পাইরেসি বই নিয়ে অনেকে এই ফুটপথের রাস্তায় বসেছে। পাইরেসি বন্ধ করার জন্য একাডেমিকে আরো শক্তহাতে ভূমিকা নিতে হবে। নইলে বইমেলা চলাকালিন সময়ে এসব ফুটপথের বইয়ের দোকান মূল বইমেলার জন্য বড় ধরনের হুমকি বলেই আমি মনে করি। এতে প্রকাশকরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। যা মেনে নেওয়া যায় না।
প্রতিবারের মত এবারো একাডেমি মূল প্রাঙ্গনের ভেতরে অনেক এনজিওকে স্টল বরাদ্দ দিয়েছে। অমর একুশে বইমেলায় এনজিও কেন স্টল পাবে? এসব এনজিও বাংলাদেশে যত ধরনের দুর্নীতি আছে তা হায়ার করছে। বইমেলার সময় তারা সেসব দুর্নীতি আড়াল করার জন্য তাদের প্রকাশনা উইয়িং নিয়ে সাধারণের সামনে হাজির হচ্ছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষতি করছে এসব এনজিও। এরা শুধু নিজেদের আখের গোছাতে জানে। জনগণের নাম ভাঙিয়ে এরা বিদেশী ডোনারদের আফজাফ একটা বুঝ দিয়ে দিনে দিনে অনেক বড় হয়ে উছেঠে। অমর একুশে বইমেলায় এসব কুখ্যাত চোরদের কেন স্টল বরাদ্দ দেওয়া হবে?
আশা করি এসব অসঙ্গতি ছাড়িয়ে অমর একুশের বইমেলা, সবার প্রাণের মেলা একুশের চেতনায় আবারো আলো ছড়াবে। বই হোক সবার নিত্যসঙ্গি। বইমেলায় আসুন, বই কিনুন। প্রিয়জনকে বই উপহার দিন। আর অবশ্যই বাসায় গিয়ে নতুন বইটি মন দিয়ে পড়ুন। নইলে যারা বুকসেলফ ভরার জন্য বা স্টাটাস ঠিক রাখার জন্য বুকসেলফ ভরতি বই রাখেন, তাদের সেই কোনো কাজেই লাগবে না। বুকসেলফ ভরতি বই দিয়ে কারো স্টাটাস বোঝা যায় না। কয়টি বই আপনি পাঠ করলেন, তাই আপনার স্টাটাস বুঝতেই যথেষ্ট! সবাই ভালো থাকবেন।
বইমেলার তিন পেরিয়ে গেলেও এখনো মেলার সম্প্রসারিত অংশে কোনো অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়নি। যা স্টলে কর্মরত প্রকাশকদের সহযোগী ও মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য একটা নতুন ভোগান্তির উদ্রেগ করেছে। কর্পোরেট বিজ্ঞাপন সন্ত্রাস দমন করার উদ্যোগ নেওয়ার পর মেলায় এখনো কিছু কিছু স্টলে ঠোকাঠুকি চলছে। তবে তা দু’একদিনের মধ্যেই শেষ হবে বলে ধরে নেওয়া যায়।
প্রতি বছরের মত এবারো বাংলা একাডেমি’র মূল মঞ্চের আলোচনা অনুষ্ঠান চরমভাবে ফ্লপ। বিখ্যাত আলোচকদের সামনের চেয়ারগুলো একেবারে ফাঁকা। সেখানে মেলায় আগত কিছু দর্শানার্থীদের বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। যাদের আলোচনা শোনায় কোনোই আগ্রহ ছিল না। অথচ সন্ধ্যায় একই মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সময় প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অমর একুশে বইমেলা’র সময়ে একাডেমি’র এই আলোচনার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবা উচিত। সাহিত্যের জ্ঞানগর্ব আলোচনায় এমন শ্রোতাশূন্য কতবার আর দেখতে হবে আমাদের জানা নেই।
বাংলা একাডেমি এবার স্টল বরাদ্দ দেবার ক্ষেত্রে প্রকাশকদের জন্য কিছু বিধিমালা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। অন্তত ২০টি নতুন বই প্রকাশ করার শর্ত সেখানে ছিল। প্রকাশকরা একাডেমি’র সেই শর্ত পূরণ করতে গিয়ে অনেক অলেখকদের বই প্রকাশে উৎসাহিত হয়েছেন। অনেক প্রকাশক এসব অলেখকদের থেকে টাকা নিয়েও বই প্রকাশ করছেন। যা প্রকৃত ও প্রতিশ্রুতিশীল লেখকদের জন্য বরাবরই একটি বিড়ম্বনা। আমাদের প্রকাশকদের তেমন এডিটিং সিস্টেম এখনো গড়ে ওঠেনি। প্রকাশকরা বইয়ের কনটেন্ট কি, তা যাছাই বাছাই না করেই টাকা নিয়ে এসব মুড়ি মুড়কি বের করছেন। যা মোটেও সুখকর নয়। অমর একুশে বইমেলায় বছরে চার-পাঁচ হাজার নতুন বইয়ের মধ্য থেকে ভালো বই খুঁজে পেতে প্রকৃত পাঠকদের তাই অনেক বেগ পেতে হয়। বরং প্রকাশকরা যদি পাণ্ডুলিপি যাচাই বাছাই করে অন্ত পাঁচশো ভালো বই প্রকাশ করেন, তাহলে একুশের চেতনাকে যেমন প্রকৃত সম্মান দেখানো হবে, তেমনি বইয়ের গুনগত মান এবং প্রকৃত লেখকদের জন্য সেটি একটি কার্যকর পদক্ষেপ হবে বলেই আমি মনে করি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একটি ভালো বইয়ের জন্যও একটি ভালো এডিটিং সাপোর্ট কাজ করে। সুন্দর এডিটিং করা একটি ভালো মানের বই প্রকৃত পাঠককে যেমন আনন্দিত করে, তেমনি একজন লেখকের সত্যিকারের অন্তরের খবর জানারও সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু অলেখকদের আর্বজনা প্রকৃত বইয়ের পরিবেশ নষ্ট করার পাশাপাশি পাঠকদের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণার সামিল বলেই আমার ধারণা।
এসব অলেখকরা আবার শুধু টাকা খরচ করে বই প্রকাশ করেই থামছে না, তারা বিখ্যাত মানুষজন আমন্ত্রণ করে, তাদের দিয়ে সেই মুড়ি-মুড়কির মোড়ক উন্মোচনও করছেন। সেই মোড়ক উন্মোচনের খবর আবার বেকার প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ধারণ করছে, প্রচার করছে, যা অমর একুশে বইমেলার ঐতিহ্যকে একটু হলেও বিভ্রান্ত করছে। আবার যারা নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করতে আসেন, তারা সেই লেখক সম্পর্কে একটি বাক্যও জানেন না। বা জানার চেষ্টাও করেন না। এমনকি বইয়ের ফ্লাপে যতটুকু পরিচয় জানা যায়, সেটুকুও তারা পাতা উল্টে দেখেন না। তারা এতোই বিখ্যাত যে, তাদের সেই পাতা উল্টানোরও সময় নাই। ফলে এই সব অব্যবস্থাপনার সুযোগে অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষ্যে প্রতি বছরই অলেখকদের প্রচুর আনাগোনা প্রকৃত লেখকদের জন্য একটি বিশাল বিড়াম্বনা তৈরি করছে। যা নিয়ে একাডেমি বা প্রকাশকদের কারোরই কোনো মাথা ব্যথা নেই।
প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বইমেলার নিউজ কভার করতে গিয়ে এমন সব বাড়াবাড়ি করছেন যে, মেলায় আগত দর্শনার্থীদের অনেকে বিড়ম্বনায় পড়ছেন। অনেক চ্যানেলকে দেখা গেছে মেলার মূল ফটকের সামনে স্যুটিং করতে। যা মেলায় আগত দর্শনার্থীদের সহজ যাতায়াতে এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। অনেকে টুলের উপর দাঁড়িয়ে স্যুটিং করছেন। অনেকে চেয়ারের উপর দাঁড়িয়ে স্যুটিং করছেন। এ কি রে বাবা? টেলিভিশন মিডিয়ার ব্যাপকহারে বৃদ্ধির কারণে এসব চ্যানেলগুলো কোনো ধরনের শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ ছাড়াই একদল ভাড়াটে কর্মীদের এভাবে ছেড়ে দেন। এরা অনেকে কীভাবে কথা বলতে হবে, কখন কার সঙ্গে কথা বলতে হবে, কি নিয়ে কথা বলতে হবে, এসব পাঠই জানে না। ফলে এক ধরনের উটকো বিড়ম্বনা তৈরি হয় এই মিডিয়া সন্ত্রাসের আগ্রাসী তাণ্ডবে। অমর একুশে বইমেলায় মিডিয়ার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা উচিত। আর সেই নীতিমালার চূড়ান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে একাডেমি ও মেলা কর্তৃপক্ষকে।
প্রতিবারের মত এবারো টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত বারোয়ারি জিনিস নিয়ে ইতোমধ্যেই দোকান সাজিয়ে বসেছে অনেকে। এটা বইমেলাকে চরমভাবে ডিসটার্ব করে। যা বন্ধের জন্য কর্তৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যথা নেই।
পাইরেসি বই নিয়ে অনেকে এই ফুটপথের রাস্তায় বসেছে। পাইরেসি বন্ধ করার জন্য একাডেমিকে আরো শক্তহাতে ভূমিকা নিতে হবে। নইলে বইমেলা চলাকালিন সময়ে এসব ফুটপথের বইয়ের দোকান মূল বইমেলার জন্য বড় ধরনের হুমকি বলেই আমি মনে করি। এতে প্রকাশকরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। যা মেনে নেওয়া যায় না।
প্রতিবারের মত এবারো একাডেমি মূল প্রাঙ্গনের ভেতরে অনেক এনজিওকে স্টল বরাদ্দ দিয়েছে। অমর একুশে বইমেলায় এনজিও কেন স্টল পাবে? এসব এনজিও বাংলাদেশে যত ধরনের দুর্নীতি আছে তা হায়ার করছে। বইমেলার সময় তারা সেসব দুর্নীতি আড়াল করার জন্য তাদের প্রকাশনা উইয়িং নিয়ে সাধারণের সামনে হাজির হচ্ছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষতি করছে এসব এনজিও। এরা শুধু নিজেদের আখের গোছাতে জানে। জনগণের নাম ভাঙিয়ে এরা বিদেশী ডোনারদের আফজাফ একটা বুঝ দিয়ে দিনে দিনে অনেক বড় হয়ে উছেঠে। অমর একুশে বইমেলায় এসব কুখ্যাত চোরদের কেন স্টল বরাদ্দ দেওয়া হবে?
আশা করি এসব অসঙ্গতি ছাড়িয়ে অমর একুশের বইমেলা, সবার প্রাণের মেলা একুশের চেতনায় আবারো আলো ছড়াবে। বই হোক সবার নিত্যসঙ্গি। বইমেলায় আসুন, বই কিনুন। প্রিয়জনকে বই উপহার দিন। আর অবশ্যই বাসায় গিয়ে নতুন বইটি মন দিয়ে পড়ুন। নইলে যারা বুকসেলফ ভরার জন্য বা স্টাটাস ঠিক রাখার জন্য বুকসেলফ ভরতি বই রাখেন, তাদের সেই কোনো কাজেই লাগবে না। বুকসেলফ ভরতি বই দিয়ে কারো স্টাটাস বোঝা যায় না। কয়টি বই আপনি পাঠ করলেন, তাই আপনার স্টাটাস বুঝতেই যথেষ্ট! সবাই ভালো থাকবেন।
(লিখেছেন – রেজা ঘটক, প্রথম আলো ব্লগ থেকে)