২৭শে জানুয়ারি কণ্ঠশীলন অধ্যক্ষ শিক্ষাগুরু ওয়াহিদুল হকের প্রয়াণ দিবস। এ উপলক্ষে ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির (সেগুন বাগিচা, ঢাকা) সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে কণ্ঠশীলনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ওয়াহিদুল হক স্মরণে বিশেষ আলোচনা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান ‘চেতনা ধারায় এসো’। ওয়াহিদুল হকের ধারণকৃত রবীন্দ্রকবিতার আবৃত্তি দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী তানজীনা তমা। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কণ্ঠশীলন প্রশিক্ষক, নির্দেশক মীর বরকত। ওয়াহিদুল হকের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন প্রখ্যাত সাংবাদিক, বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী; বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া। আলোচকরা বক্তব্যে বলেন, জীবিতকালে ২৭ সংখ্যাটিকে ওয়াহিদুল হক খুব পছন্দ করতেন, বয়স গণনায় তিনি আনন্দের সঙ্গে বলতেন- ‘বয়সটাকে আমি ২৭শে রাখতে চাই’। আরও বলতেন ‘একজন মানুষের সেরা বয়সকাল হওয়া উচিৎ ২৭’। কত পথ-মতকে তিনি সাবলীল করেছেন, অর্জন করেছেন … …। আবৃত্তিও তাঁর আরেক ভালবাসার জগত বলে মেনেছিলেন। আবৃত্তি ও সংগীত নিয়ে তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। তাঁকে অনুসরণ করেই আমরা শুদ্ধ সংস্কৃতি পরিম-লে এগিয়ে যেতে পারি।
দ্বিতীয় পর্বে আবৃত্তি করেন দেশবরেণ্য আবৃত্তিশিল্পীরা। আবৃত্তিশিল্পীরা শিক্ষাগুরু ওয়াহিদুল হককে নিবেদন করে আবৃত্তি পরিবেশন করেন। আবৃত্তিশিল্পীরা হলেন, আশরাফুল আলম, ড.ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়, কাজী মদিনা, ডালিয়া আহমেদ, হাসান আরিফ, বেলায়েত হোসেন, শিমুল মুস্তাফা, রূপা চক্রবর্তী, মো. আহ্কামউল্লাহ, রফিকুল ইসলাম, রেজীনা ওয়ালী লীনা, মাসকুর এ সাত্তার কল্লোল, ইকবাল খোরশেদ, মাহিদুল ইসলাম, ড. শাহাদাৎ হোসেন নীপু, ফয়জূল্লাহ সাঈদ, ফয়জুল আলম পাপ্পু, সামছুদ্দোহা, নায়লা তারান্নুম কাকলি, তামান্না তিথি, ফখরুল ইসলাম তারা, মাসুম আজিজুল বাসার, মজুমদার বিপ্লব, রহমতুল্লাহ নোমান, জালাল উদ্দীন হীরা। এছাড়াও সংগীত পরিবেশন করেন কল্যাণ পরম্পরার শিশুশিল্পীরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কণ্ঠশীলন প্রশিক্ষক ও নির্দেশক গোলাম সারোয়ার। অনুষ্ঠানটির সমন্বয়ে ছিলেন মোস্তফা কামাল।