খ্যাতনামা আবৃত্তি সংগঠন কণ্ঠশীলনের কার্যক্রম নিয়ে সম্প্রতী পত্রপত্রিকায় বেশ রসালো সংবাদ পরিবেশন চলছে। চলছে রিহার্সালে বাধা প্রদানসহ হামলা মামলার হুমকী। একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানকে টুকরো টুকরো করার এই গভীর ষড়যন্ত্রে আমরা সাংবাদিকতার সাথে যারা যুক্ত, তারাও কি জড়িয়ে পড়বো। থিয়েটার ভেঙ্গেছে, নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় ভেঙ্গেছে, খেলাঘর ভেঙ্গেছে, বাকি আছে উদীচী, ছায়ানট আর কণ্ঠশীলন। এরাও কি তবে এই ভাঙ্গনের খেলায় মাতবে? আমরা ভাঙ্গন চাইনা। চাই সত্যের উম্মোচন ও ক্ষমা। তাই পাঠকের কাছে ছেড়ে দিলাম এই প্রয়াত ওয়াহিদুল হকের এই সংগঠনটিকে রক্ষার ভার।)
কণ্ঠশীলনের কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করলেন সভাপতি (প্রথম আলো বিজ্ঞাপন)
সাহিত্যের বাচিক চর্চা প্রতিষ্ঠান কণ্ঠশীলনের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন:
বেশ কিছুদিন ধরেই কণ্ঠশীলনে যে অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে, তাতে আমি খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েছি। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও গঠনতন্ত্রের বিধান অমান্য করে আমাকে এড়িয়ে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা অগণতান্ত্রিক এবং অন্যায়। একটি মহলের কাছে পুরো প্রতিষ্ঠানটি জিম্মি হয়ে আছে। কণ্ঠশীলন বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রফেসর সন্জীদা খাতুনের বক্তব্যের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত।
আমার সঙ্গে কোনো কথা না বলেই কণ্ঠশীলনকে লাভজনক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিল দলটির ছয় সদস্য গোলাম সারোয়ার, রইসুল ইসলাম, মীর বরকত, আহমাদুল হাসান, মোস্তফা কামাল ও নমিতা আক্তার মুক্তি। শুধু তা-ই নয়, কণ্ঠশীলন অনেক দিন ধরেই পরিচালিত হচ্ছে নানা অনিয়মে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করা, নিয়মিত অডিট না করা, নিয়মিত বিরতিতে প্রতিষ্ঠানের যোগ্য সদস্যদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বের করে দেওয়া—এগুলো হলো অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারের কিছু দৃষ্টান্ত।
আমরা কয়েক মাস ধরে সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে কয়েকটি বৈঠক করেছি। কিন্তু তাদের (যাঁরা লিমিটেড কোম্পানি করেছেন এবং তাঁদের অনুসারীরা) পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি। অবশেষে ৫ সেপ্টেম্বর আমি সভা ডাকি, তাতেও তারা উপস্থিত হওয়ার কথা বলেও পরে জানায় সভায় আসবে না।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমি প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে গঠনতন্ত্রে দেওয়া ক্ষমতাবলে আগামীকাল ৮ সেপ্টেম্বর (আজ) থেকে কণ্ঠশীলনের সব কার্যক্রম; বিশেষত স্কুল, মহড়া, ব্যাংক লেনদেন, সাংগঠনিক বৈঠক, অনুষ্ঠানাদি সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করছি। অচিরেই একটি অন্তর্বর্তী কমিটি গঠনের মাধ্যমে কণ্ঠশীলনের কার্যক্রম উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হবে। বিজ্ঞপ্তি
(এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি দিয়েই দ্বন্ধের শুরু। সত্য কি তা খুঁজে বের করা সংবাদপত্রের প্রধান কাজ। তাই সৎ ও বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ সেবক চাই।)
কণ্ঠশীলনের কার্যক্রম স্থগিত করলেন সভাপতি শিল্পী … – বাংলাপ্রেস
সমাজ-সংস্কৃতি ডেস্ক, বাংলাদেশ প্রেস || বাংলাদেশ প্রেসে গত ৭ সেপ্টেম্বর “কণ্ঠশীলনের কার্যক্রম স্থগিত করলেন সভাপতি শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছিল “দেশের ঐতিহ্যবাহী আবৃত্তি সংগঠন ‘কণ্ঠশীলন’। এই ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের কয়েকজন সদস্যের স্বেচ্ছাচারিতা, অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়মের কারণে সংগঠনটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। কণ্ঠশীলনের সকল কার্যক্রম; বিশেষত স্কুল, মহড়া, ব্যাংক লেনদেন, সাংগঠনিক বৈঠক, অনুষ্ঠানাদি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।”
(মূলত কণ্ঠশীলন সম্পর্কে সভাপতি শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী বিবৃতির আলোকে প্রকাশিত সংবাদটি লিখিত হয়ছিল।)
অভিযুক্তদের বক্তব্য
কণ্ঠশীলন সম্পর্কে
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ প্রসঙ্গে
৭ই সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখ প্রকাশিত সংবাদ শিরোনাম – ‘
কণ্ঠশীলনের কার্যক্রম স্থগিত করলেন সভাপতি শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী
’- এর পরিপ্রেক্ষিতে কণ্ঠশীলনের সকল প্রাথমিক সদস্যগণ, সকল সাধারণ সদস্যগণ, ২জন ব্যতীত সকল কার্যকরী পরিষদের সদস্যগণ, নিয়মিত প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণ ও প্রশিক্ষকবৃন্দের অভিমত অবগতির জন্যে কণ্ঠশীলনের সকল শিক্ষার্থী, দেশে-বিদেশে অবস্থান করা কণ্ঠশীলনের সকল শুভানুধ্যায়ীদের কাছে প্রাসঙ্গিকভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করা হলো। দীর্ঘদিন শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী কণ্ঠশীলনের সভাপতি ছিলেন।
ফলে সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁর এ মতো বিপরীত বিবৃতি তাঁর কাঁধে বর্তায়। কণ্ঠশীলনের লাভজনক প্রতিষ্ঠানের বিষয়টি সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। কণ্ঠশীলন লিমিটেড-এর নামে কোনো ব্যাংক হিসাব, ট্রেড লাইসেন্স, সভা বা অন্য কোনো ধরনের কার্যক্রম কোনো সময়ই ছিলো না। তৎকালীন পর্ষদ এবং সাধারণ সভার অবগতিতে সে-সময়ের একটি সাংগঠনিক সমস্যার সমাধানকল্পে সাময়িকভাবে একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর গ্রহণ করা হয়েছিলো মাত্র, এবং পর্ষদের অনুমোদনেই তা আইনানুগ পদ্ধতিতে বাতিল করা হয়েছে। যার সকল কাগজ-পত্র প্রাক্তন সভাপতি শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীকে প্রদান করা হয়েছে।
অনিয়মের বিষয়ে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মধ্যে প্রাক্তন সহ-সভাপতি আহমাদুল হাসান হাসনু ব্যতীত কেউ এই মেয়াদের কার্যকর পরিষদ সদস্য নয়।
ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেনে তাঁদের জড়িত হবার কোন সুযোগ ছিলো না। যথাযথভাবে উল্লেখিত অনিয়মের উত্তর দিতে পারবেন এই সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি অথবা প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু সকলের জানামতে এখানে কোন অনিয়ম হয়নি।
দুই পক্ষের বৈঠকের বিষয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি -তা ঠিক নয়। গত ২৪/০৮/২০১৪ তারিখে প্রাক্তন সভাপতি শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর বাসায় কণ্ঠশীলনের কার্যকরী পরিষদ সদস্যগণ ও সাধারণ সদস্যগণ মিলে ১৫ সদস্যের একটি দলের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। সেখানে নিচের বিষয়গুলির সঙ্গে তিনি একমত হন:
১. সাধারণ সভার তারিখ নির্ধারণ ও সভা আহবানের অনুমোদন।
২. পুরোনো কোন সদস্য কাজে যুক্ত হতে চাইলে নিয়মমাফিক, ধারাবাহিক কাজের মধ্য দিয়ে সংগঠনের দায়িত্ব গ্রহণ করা।
৩. সম্মিলিত সভায় কণ্ঠশীলনের সকল সক্রিয় সদস্য উপস্থিত থাকতে পারবে এবং সকলেই স্বাধীনভাবে মতামত ব্যক্ত করতে পারবে।
০৫/০৯/২০১৪ তারিখের সভার পূর্বেই আমরা জানতে পারি যে, একটি পূর্ব প্রণিত কমিটি ঐ সভায় উপস্থাপন করা হবে, যদিও সেটি সাধারণ সভা হিসেব গণ্য হবে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে কণ্ঠশীলন কার্যালয়ে প্রায় ৬৬জন সদস্যের উপস্থিতিতে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ০৫/০৯/২০১৪ তারিখের সভায় না যাওয়ার। তারপরের সংবাদ সকলের জানা।
কণ্ঠশীলন দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে, সকল অপ-সংস্কৃতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে বরাবর যুক্ত ছিল, আছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সকল নিয়ম মেনেই দীর্ঘদিন ধরে কণ্ঠশীলন পরিচালিত হয়ে আসছে। বাংলা ভাষা তথা সাহিত্যের বাচিক চর্চার সকল দিকে সংগঠনকে এক মানসম্পন্ন স্থানে অধিষ্ঠিত করে এর সকল সদস্য মিলেমিশে। যাদের নামে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তারা প্রত্যেকেই ওয়াহিদুল হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে সংগঠনের আরম্ভ থেকে এর শিক্ষা কার্যক্রম সুনামের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। গোলাম সারোয়ার এবং মীর বরকত শুধু কণ্ঠশীলনেই নয়, দেশে-বিদেশে আবৃত্তি, নাটক ও সাহিত্যের বাচিক প্রসারে অবদান রেখে চলেছেন, যা সর্বজনবিদিত।
শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী সবসময়ই আমাদের শ্রদ্ধাভাজন। অনুজদের পথ চলায় তাঁর পরামর্শ সব সময় কাম্য। একসাথে পথ চলায় দুই মত কিংবা একাধিক মত হওয়া স্বাভাবিক তা আমরা অগ্রজদের আহবানে সারিয়ে তুলতে পারি। এই ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের মান রক্ষা করতে আমরাও চাই। প্রত্যাশা করি এই বিবৃতির মাধ্যমে সকল বিষয় পরিষ্কার হবে।
স্বাক্ষরিত
কণ্ঠশীলনের
৬৬ জন সাধারণ সদস্য ও প্রাথমিক সদস্যবৃন্দ।
দৈনিক প্রথম আলোতে আরো একটি বিজ্ঞপ্তি
বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সন্জীদা খাতুন যা বলেছেন –
বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সন্জীদা খাতুন কণ্ঠশীলনের কয়েকজন কর্মকর্তার ক্রিয়াকর্ম নিয়ে তাঁর মতামত ও অবস্থান ব্যাখ্যা করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন: কণ্ঠশীলন/সাহিত্যের বাচিক চর্চা ও প্রসার প্রতিষ্ঠানে আমি কখনো কখনো বহিরাগত অবৈতনিক গুরু হিসেবে ক্লাস নিলেও প্রতিষ্ঠানের সদস্য হইনি। প্রতিষ্ঠাতা ওয়াহিদুল হকের মৃত্যুর পরে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা নানা বিষয়ে আমার উপদেশ নিতে এসেছেন।
কয়েক মাস আগে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বাদে কণ্ঠশীলনের কিছু কর্মকর্তা আমার কাছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে এলেন। পরে অন্য পক্ষও এল, যার মধ্যে প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদকও আছেন। সাধারণ সম্পাদক আমাকে জানালেন, প্রতিষ্ঠানের ছয়জন সদস্য ‘কোম্পানি অ্যাক্ট, ১৯৯৪’-এর অধীনে ‘কণ্ঠশীলন লিমিটেড’ নামে একটি লাভজনক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এই লিমিটেড কোম্পানির চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার, ম্যানেজিং ডিরেক্টর রইসুল ইসলাম এবং চারজন পরিচালক হলেন মীর বরকত, আহমাদুল হাসান, মোস্তফা কামাল ও নমিতা আক্তার মুক্তি। অর্থাৎ কণ্ঠশীলনের এই ছয়জন, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরীকেও না জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিয়েছেন। আমি তাঁদের কাছে প্রবল আপত্তি জানানোয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার তিন বছর পর ইদানীং বিলুপ্ত করার আদেশ পাওয়া গেছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী কণ্ঠশীলনের অস্বস্তিকর ঘটনাগুলো সম্পর্কে আমাকে জানিয়ে এর একটি সুরাহা করার জন্য আমার সহায়তা চাইলেন। এরপর বেশ কয়েকজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও আমার কাছে এলেন। এ বিষয়ে তাঁরা আমার সহায়তা কামনা করলেন। এই অবস্থায় শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী আর আমি সমঝোতার উপায় নিয়ে বার কয়েক বৈঠক করি।
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকেলে সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী মীমাংসার জন্য যে সভা ডেকেছিলেন, সে সভায় এই পক্ষটি (যাঁরা লিমিটেড কোম্পানি করেছিলেন) উপস্থিত থাকবে বলেও শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থাকবে না জানায়। তবে সভাপতির আহ্বান মান্য করে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও জ্যেষ্ঠ সদস্যদের অনেকে সভায় উপস্থিত হন।
এই পরিস্থিতিতে আমি বিবৃতি দিয়ে জানাতে চাই, অতঃপর বর্তমান কণ্ঠশীলনের (যাঁরা লিমিটেড কোম্পানি করেছিলেন এবং তাঁদের সব অনুসারী) সঙ্গে আমি কোনোভাবেই যুক্ত থাকব না। কারণ—
এক. কণ্ঠশীলনে একদল সুবিধাভোগী শিক্ষকের জন্য অন্য কারও ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও কাউকে ক্লাস দেওয়া হয় না। উল্লেখ্য, শিক্ষকদের জন্য পারিশ্রমিকের ব্যবস্থাও আছে।
দুই. সম্মানিত ব্যক্তিদের পরামর্শ অগ্রাহ্য করে মান্যজনের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের খেপিয়ে তোলা হচ্ছে।
বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাজের প্রতি আমার আস্থা আছে। আশা করি, তাঁরা প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবেন। বিজ্ঞপ্তি।
আবৃত্তিশিল্পী মীর বরকত যা বলেন –
সাহিত্যের বাচিক চর্চা ও প্রসার প্রতিষ্ঠান কণ্ঠশীলন ১৯৮৪ সাল থেকে ত্রিশ বছর যাবৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি শিক্ষাক্রম পরিচালনা করে আসছে। পাশাপাশি বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করে আবৃত্তি, শ্রুতিনাটক, মঞ্চনাটক ইত্যাদি বহুবর্ণিল শিল্পমাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। ওয়াহিদুল হক, নরেন বিশ্বাস, শামসুর রাহমান, পটুয়া কামরুল হাসান, শওকত আলী প্রমূখ খ্যাতিমান শিল্পী-সাহিত্যিকের হাতে গড়া এই সংগঠনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং শিল্পী ও কর্মীদের বিরুদ্ধে বিরূপ ও অশোভন প্রচারণা চালিয়ে ঐহিত্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত ও বন্ধ ঘোষণার অশুভ পরিকল্পনায় লিপ্ত রয়েছেন ঈর্ষান্বিত দু-একজন সদস্য। তারা আমাদের অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের নিকট বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা বলে তাদের ভাবমূর্তিকে ব্যবহার এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা অপব্যবহারের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। চাতুর্যপূর্ণ কুৎসা রটনা এবং সংস্কৃতিকর্মীদের উপর নিপীড়ন চালনার যে পথ তারা গ্রহণ করেছেন তাতে এটি আমাদের সংস্কৃতির জন্য একটি অশনিসংকেত। মানবিক সৌন্দর্য পরিস্ফূটনের পথ পরিহার করে অসুন্দরের চর্চায় রত ব্যক্তি শ্রদ্ধেয় ওয়াহিদুল হকের নিকট হতে প্রকৃত শিক্ষা লাভ করেন নি। রুচিহীন কর্মকাণ্ডে মেতে উঠে তারা কেবল ওয়াহিদুল হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের অসম্মানই করছেন না, কণ্ঠশীলনকেও অমর্যাদাকর সংগঠনে পরিণত করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমি সংস্কৃতিমান মানুষের কাছে আবেদন জানাই, তারা যেন এ ধরনের অন্ধকারের শক্তিকে প্রতিহত করেন ও আলোর সন্ধানে রত মানুষের পাশে দাঁড়ান। আমরা সকলে মিলে বরাবরের মতো সুন্দরের পথে হেঁটে যেতে চাই।
এরপর সকাল ১০টায় কণ্ঠশীলনের নিয়মিত বৈঠকে কর্মীরা সমবেত হলে পুনরায় পুলিশ এসে উদ্যান ত্যাগ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে, অন্যথায় পিটিয়ে উদ্যান থেকে বের করে আইনের হাতে সোপর্দ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির একাধিক কর্মী।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রইসুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে এবং আমরা নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তবে আজ পুলিশের বাধায় আমরা হতবাক হয়েছি।’
এদিকে শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শীর্ষ নিউজকে জানান, ‘আজ যারা সোহরাওয়ার্দীতে সভা করছিল তারা মূল দল থেকে বহিষ্কৃত তারা আর ‘কণ্ঠশীলন’ নাম ব্যবহার করে কোথাও কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারবে না।’
এদিকে শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে এরূপ পুলিশি হয়রানিতে কণ্ঠশীলন কর্মীসহ অন্যান্য আবৃত্তি সংগঠনের কর্মীরা তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
শীর্ষ নিউজ ডটকম/সুজন/একেএ
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ – See more at: http://64districts.sheershanews.com/2014/09/12/51242#sthash.dHIjxz7d.dpuf
এরপর সকাল ১০টায় কণ্ঠশীলনের নিয়মিত বৈঠকে কর্মীরা সমবেত হলে পুনরায় পুলিশ এসে উদ্যান ত্যাগ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে, অন্যথায় পিটিয়ে উদ্যান থেকে বের করে আইনের হাতে সোপর্দ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির একাধিক কর্মী।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রইসুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে এবং আমরা নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তবে আজ পুলিশের বাধায় আমরা হতবাক হয়েছি।’
এদিকে শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শীর্ষ নিউজকে জানান, ‘আজ যারা সোহরাওয়ার্দীতে সভা করছিল তারা মূল দল থেকে বহিষ্কৃত তারা আর ‘কণ্ঠশীলন’ নাম ব্যবহার করে কোথাও কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারবে না।’
এদিকে শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে এরূপ পুলিশি হয়রানিতে কণ্ঠশীলন কর্মীসহ অন্যান্য আবৃত্তি সংগঠনের কর্মীরা তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
শীর্ষ নিউজ ডটকম/সুজন/একেএ
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ – See more at: http://64districts.sheershanews.com/2014/09/12/51242#sthash.dHIjxz7d.dpuf