২৭শে জানুয়ারি ২০১৬ বুধবার সন্ধ্যায় স্মৃতিচারণ, গান ও আবৃত্তির মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রগবেষক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ওয়াহিদুল হকের ৯ম মৃত্যুবার্ষিক উদযাপন করেছে আবৃত্তি ও নাটকের সংগঠন কণ্ঠশীলন।
২২২ নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে ওয়াহিদুল হকের কর্ম ও জীবনের উপর আলোকপাত করেন কণ্ঠশীলন সভাপতি প্রকৌশলী আহমাদুল হাসান, প্রশিক্ষক মীর বরকত ও গোলাম সারোয়ার। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন প্রশিক্ষক নরোত্তম হালদার।
রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে মঞ্চে আসেন শিল্পী শ্রেয়সী শ্রেয়া। তিনি পরিবেশন করেন ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’ গানটি। এরপর ওয়াহিদুল হকের জীবন ও কর্মের উপর আলোকপাত করতে গিয়ে বক্তারা বলেন, ওয়াহিদুল হক ছোট বড় সকলের সাথে মিশতেন এবং সকলকে সম্মান করতেন। তার ভক্ত ছিল না এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে। তার সমস্ত কর্মজীবনে বাঙালি সংস্কৃতির আলো ফুটেছিলো। সকল সাংস্কৃতিক আন্দোলনেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি মানুষের ভেতরে সঙ্গীতের অনুরনন তুলেছিলেন। ওয়াহিদুল হকের আদর্শে পথ চললে জীবনের পথগুলো অনেক বেশি সুন্দর হবে। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, দেশের সবধরনের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে ওয়াহিদুল হক ছিলেন এক নিরন্তর যোদ্ধা। ওয়াহিদুল হককে অনুসরণ করলে আমরা অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক হতে পারবো এবং মানুষের জন্য কাজ করতে পারবো। তিনি দেশের নামকরা পত্রিকায় কাজ করেছেন। শেষ জীবনে তিনি কলাম লিখতেন। এমন কোন বিষয় ছিল না যে বিষয়ের উপর তিনি লিখতে পারতেন না। শব্দের উৎপত্তি ও ব্যবহার তিনি অভিধান না দেখেই বলে দিতে পারতেন। অসাধারণ সুন্দর মানসিকতার মানুষ হয়েও তিনি সাধারণ জীবনযাপন করতেন।
স্মৃতিচারণের মাঝে মাঝে গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন নাদিমুল ইসলাম, লিটন বারুরী, ইলা রহমান, সুব্রত সাহা ও রাওয়ানা মার্জিয়া।