এই নীল মনিহার, এই সর্ণালী দিন
তোমায় দিয়ে গেলাম, শুধু মনে রেখ।
দ্বীপ জ্বালা রাত জানি আসবে আবার
কেটে যাবে জীবনের সকল আধার।
কিম্বা
আমায় ডেকোনা ফেরানো যাবে না
ফেরারী পাখীরা কুলায় ফেরেনা।
বিবাগী এ মন নিয়ে জন্ম আমার
যায় না বাধা আমাকে
কোনো পিছু টানের মায়ায়।।
হ্যাপী টাচ ব্যান্ডের এই অসাধারণ গানের মাঝেই আজো বেঁচে আছেন হ্যাপী আখন্দ। বড় ভাই লাকী আখন্দ-এর কণ্ঠে আজো এ গানের ঝলক চোখে জল ঝরিয়ে যায় হিসেবী শ্রোতার। লাকী আখন্দ যখন গেয়ে ওঠেন –
আবার এলো যে সন্ধ্যা, শুধু দু’জনে… চলনা ঘুরে আসি অজানাতে… গানটি, তখন তার চোখ শুধু হ্যাপীকে নয়, খুঁজে বেরায় আরো একজন গীটারিস্টকে। যে ছিল হ্যাপীটাচের লিড প্রাণ। যার টুং টাং গীটারের শব্দে প্রাণ পেত নীল মনিহার বা লাকী আখন্দ এর অন্যসব গানগুলো। তিনি এস এম খালেদ।
লাকী আখন্দ এর ভাষায়, খালেদ এর লিড ও বেইজ ছিল আমাদের প্রাণ। তা না হলে আমাদের কণ্ঠ মার খেয়ে যেত। ওর মত করে কেউ এতটা নিখুতভাবে পলাতক আমি বা নীল মনিহারের মিউজিক এডজাস্ট করতে পারতো না।
এস এম খালেদ বলেন, দীর্ঘ ৭ বছর হ্যাপীটাচের সাথে ছিলাম। ওটাই আমার জীবনের সেরা সময় ছিল। লাকী ভাই অনেক কিছু শিখিয়েছেন, দেখিয়েছেন। তার কাছেই আমার সেরা শিক্ষাকাল কেটেছে। এরপর বিভিন্ন কারণে হ্যাপীটাচ টেকেনি, তবে আমাদের যোগাযোগ আজো অটুট আছে। জীবীকার প্রয়োজনে ব্যান্ডের অনেকে অনেক দূরে সরে গেলেও পরস্পর বন্ধন ছিন্ন হয়নি।
মীরপুর ১১ নম্বরের বাংলা স্কুলের বিপরীতে এক চা দোকানে হঠাৎ-ই দেখা এসএম খালেদ এর সাথে। সঙ্গে আছেন হ্যাপীটাচের ড্রামিস্ট স্বপন, বর্তমানের আলোচিত গীটারিস্ট শান্ত ও জেমস ভক্ত গীটারিস্ট ও ড্রামিস্ট জেমস বাবু নামের দুইজন বন্ধু।
কুশল বিনিময়ের শেষে জমে ওঠে আড্ডা। অনেকটা স্মৃতি সাতার শেষে জানতে চাইলাম খালেদ ভাই, বর্তমানে আপনি কি করছেন?
মৃদু হাসলেন অভিমানের সাগরে ডুবে থাকা খালেদ। সে হাসিতে অনেকটা অবজ্ঞা ঝওে পরছে, জোনো উল্টো জানতে চাইছেন, আমার এতোটা কাছে থেকেও কোনো খোঁজ রাখনা আমার আর আজ জানতে চাইছো আমি কি করছি?
কিন্তু মুখে বললেন, আগে বল তুমি কি গান শোনো?
সরল সোজা স্বীকারোক্তি দিলাম – না খালেদ ভাই, আমি ইদানিং কোনো গান ই শুনিনা। গান লিখিও না।
গান শোনো না, এটা ঠিক, তবে লেখনা এটা মনে হচ্ছে সত্য বলনি। কারণ প্রমিথিউস এর বিপ্লব তোমার একটা কবিতায় সুর দিয়েছে ও গানটি বাজারে এসেছে –
“ বিধাতা বিরুপ হলে ক্ষমা পাওয়া যায় যে
পাপ আর পূণ্যিতে কাটাকাটি হয় যে
তুমি বিরুপ হলে প্রিয়া প্রাণ রাখা যায় যে
এান ভাঙ্গাতে, মন রাঙ্গাতে
সারা যনম যায় যে…।”
খুব সম্প্রতী চট্টগ্রামের মেয়ে মুক্তা মজুমদার (বর্তমানে ভারতে সেটেল) তোমার একটি গানে সুর দিয়েছে – ঠিক কি না বল?
আমি লজ্জা পেলাম, আমার খোঁজ তিনি রাখলেও তাঁর কোনো খোজই আমি রাখিনি। অথচ কিশোর বয়সে তিনিই আমাদেও তিনবন্ধুকে গীটার শেখাতেন। সবার থেকে বেতন নিলেও আামাকে শেখাতেন বিনাপয়সায়। আমার লেখার হাত দেখে তিনি আমাকে টেনে নিয়ে যান লাকী আখন্দ এর কাছে। আর আমাকে দেখেই চমকে ওঠেন লাকী আখন্দ। নিজের সখের একোস্টিভ গীটারটি আমাকে দান করেন, এই বলে যে, এই গীটারটিতে হ্যাপীর ঁেছায়া আছে। তুই দেখতে অনেকটা হ্যাপীর মত, এটা তুই-ই নিয়ে যা। আমি কবি, কবিতা, গল্প ভালো লিখি, কিন্তু গানের প্রতি আমার আগ্রহ ছিল অনেকটা জোর করা বা ধার করা। তাই মিউজিক আমাকে দিয়ে হয়নি।
লজ্জানত চোখেই খালেদ ভাইকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে অবশেষে যেটুকু জানতে পারলাম তাই তুলে ধরছি পাঠকের কাছে।
ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ শাহি, আবদুল হাদি, ফাতেমাতুজ্জোহরা প্রমুখদেও সাথে কাজ কওে এখন অনেক অভিজ্ঞ খালেদ ভাই সম্প্রতী প্রতিবিম্ব জিরো পয়েন্ট এর মিউজিক পরিচালনা করে যথেষ্ট খ্যাতি ও সুনাম অর্জন করেছেন। খুব শীগ্রই পরবর্তী এ্যালবাম বাজাওে আসবে বলে জানালেন তিনি।
১৯৬৮ সালে করাচীতে জন্ম নিলেও শরীফ মোহাম্মদ খালেদের পৈত্বিক নিবাস কিন্তু চাঁদপুরে। হ্যাপীটাচ বন্ধ হবার পরে ফিডব্যাক খ্যাত জনপ্রিয় শিল্পী মাকসুদের নিষিদ্ধ এ্যালবামের কয়েকটি গানে সুর ও মিউজিক করেন তিনি। এর মধ্যে সুজানা ও বৈশাখী গানটি অনেকেরই হৃদয়ে স্থান দখল করেছে।
ভালো গল্পের সিনেমায় কাজ করার ইচ্ছে ছিল প্রথম থেকেই। সুযোগটা এলো শহিদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ইমপ্রেস টেলিফিম এর ব্যাণাওে নির্মিত ছবি ‘বাংলা’ নামের চলচ্চিত্রে। আহমদ ছফার ওংকার উপন্যাস অবলম্বনে বাংলা নামের এ ছবিতে দুটি গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেন এসএম খালেদ।
‘এ সিঁদুরে সন্ধ্যা’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ফাতেমাতুজ্জোহরা আর ‘কথারো ভিতরে কথা থাকে’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন সামিনা নবী।
এর কিছুদিন পরই ইমপ্রেস টেলিফিম এর আরেকটি ‘ভালোবাসার সাদাকালো’ নামের চলচ্চিত্রে ৬টি গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব পেলেন খালেদ ভাই। ৪টি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ফাতেমাতুজ্জোহরা ও ২টিতে সুবীরনন্দী। এসএম খালেদ বলেন, এই চলচ্চিত্রের সঙ্গীত আয়োজনের দায়িত্ব প্রাপ্তিটা আমার জন্য মাইলফলক । কারণ, প্রতিবছর ফেব্রুয়ারিতে মহান ভাষা দিবসের চলচ্ছিত্র উপলক্ষে এটিএন ও চ্যানেল আই এখন পর্যন্ত এ চলচ্ছিত্রটি পরিবেশন করে আসছে।
বর্তমানে কবি আলমাহমুদ এর উপন্যাস নিষিদ্ধা নারী অবলম্বনে নির্মানাধীন চলচ্চিত্রে তিনটি গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে এস এম খালেদের। চলচ্চিত্রটির সঙ্গীতায়োজন প্রায় শেষের পথে। এতে কন্ঠ দিয়েছেন এন্ডু কিশোর ও কিরণ চন্দ্র।
বন্ধুবর আরিফ আহমেদ সম্পাদিত সাহিত্য বাজারের সাথে আজই পরিচিত হলাম। সাহিত্যরসে পূর্ণ পত্রিকাটির সরলতা আকর্ষণীয়। ‘একজন সঙ্গীত পরিচালকের গল্প’ থেকে প্রকৃত সঙ্গীত পরিচালক এস এম খালেদ সম্পর্কে জানতে পারলাম। লেখকের স্মৃতিচারণ থেকে জনপ্রিয় ব্যান্ড হ্যাপীটাচ সম্পরকেও জানা গেলো। ৭০ -এর দশকে ভারতীও সঙ্গীতের সাথে পাশ্চাত্যের সঙ্গীতের সংমিশ্রণের যে ফিউশন ধারা প্রতিষ্ঠার কাজ হয়েছিল, সেই ধারার সাথে বাংলাদেশের স্রোতাদের পরিচয় করার ক্ষেত্রে হ্যাপীটাচ এবং এর সদস্যদের অবদান অনস্বীকার্য। সাহিত্য বাজারকে শুভেচ্ছা, আর হাজারও পত্রিকার ভিড়ে সাহিত্য বাজার স্বতন্ত্র পরিচিতি পাক, সেই আশা রইলো।
Khaled is my childhood friend.We have grown together with the natural bounty imMirpur. He has creative bent of mind. He focussed on arts and culture where creativity is very important. I remember his paintings depicting nature of Bangladesh. He also proved his talent in music. I have enjoyed the film ‘Bangla’ a number of times. In this film, Khaled played his masterpiece role as composer and music director. Due to his contribution,the film became lively and created widespread appeal to many corners of Bangladesh where patriotic people try to keep their morale high. The music of two songs is very appealing, attractive and provide food for thoughts. I am happy to know that the appeal of the music has gone beyong our national boundary. World no. 1 guitarist Steve Vai enjoyed the music. Famous actress Kabori Sarwar during mohorot of the film ‘Bangla’ commented that the music composed by Khaled is unbelievable and very much needed at this time of our cultural progression. We are really proud of his dedication and consequently his achievement. We hope that he will come up with more high level music.
খুবই ভালো লাগলো। সিল্পকেভাল না বাসলে শিল্পী হওয়া যায় না।
ভালো লাগলো আপনার শিল্পবোধ দেখে
I agree with everyone here
I first met khaled wtih Tomohar Islam, a musician who is sadly no longer with us now. Khaled sued to come to my house in Sylhet and also visit me at my inlaws at Pallabi in the late 1980’s.
From the beginning I found him extremely musical. He was someone who had an ear for catchy tunes.. He played guitar and his knowledge of the instrument is extensive.
Apart from being a good guitarist Khaled is a good composer and had composed a number of good songs over the past few years.
Khaled also taught guitar at the Academy of Liberal Arts & Sciences in Dhaka for two years starting in 2007 .
Khaled has his whole future ahead..good luck, dosto…Harold Rasheed, Sylhet Successful Composer & Music Director in Bangladesh.
I wish every success in your life