এই সেই মার্চ
(বন্ধুবর হস্তরেখা বিশারদ মাহবুবে রাব্বানীকে উৎসর্গিত। যার বাবা এই মার্চ ৭১-এর একজন সৈনিক ছিলেন।)
এই সেই মার্চ
উত্তাল জনতার শ্লোগান মুখরিত মার্চ!
এখনো স্মৃতিরা আটকে আছে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে,
কাটা পরা বৃক্ষরাজীর দীর্ঘশ্বাস আর
অপব্যয়ে ব্যাকুল প্রজ্জলিত মশালে।
এই সেই মার্চ
আবার পুনরুজ্জীবীত হোক ইতিহাস।।
সোনার বাংলা, রূপালী স্বদেশ
এখনো স্বপ্নই রয়ে গেছে,
এখনো নানান বেশে
ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রাজাকার, মানচিত্র জুড়ে
এখনো নাচছে স্বৈরাচার।
এই সেই মার্চ, দিনটি ছিল
বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার ।।
শ্যামলিমা
দেহ তাঁর শ্যামলিমার মনমুগ্ধ হাসি
চোখে দাঁড় বেয়ে যায় পদ্মার মাঝি
চুল ছুয়ে উড়ে যায় পাখীরা নিড়ে
সোম্য মুখে তাঁর বেদনা ঘোরে।
আমার পায়ে চলা প্রতিটা বাঁকে
তারই হাতছানি দেখি, সে-ই আমায় ডাকে।
বিভৎস সময়
প্রতিদিন বাড়ছে নিত্য পণ্যের দাম
যানজটে ঠেলছে শরীর, কাটছে সময়
আতংক-অস্থিরতায়, সরকার-রাজনীতি,
সেনা-পুলিশ অস্থির প্রতিদিন; বাড়ছে
রাহাজানি-হাইজ্যাক।
প্রতিদিন পত্রিকায় দুর্নীতিবাজদের কথা
অপমৃত্যু আর নির্যাতন সংবাদ বাড়ছেই —
দু‘দকের মামলায় প্রতিদিন আহত কেউটে
তবুও থেমে নেই দুর্নীতি।
প্রতিদিন বাজার থেকে ফিরছে খালি
ভিখারীর ঝুলি, তেল-পটল-আর
মাছ-মাংসের গাঁয়ে জ্বলছে আগুন,
নিরামিষ; জোটেনা বহুদিন।
ন্যায্য মূল্যের দোকান খুলে খাঁকী পোশাকী
লুটছে মুনাফা,
পাঁচ কেজি চাল আর হাফ কেজি তেল; সকাল-সন্ধ্যা
দীর্ঘ অপেক্ষা।
জনতার ভীড় তবু বাড়ছেই — প্রতিদিন।
ভালোবাসার আলোটুকু জ্বলে থাক
কতটুকু তুমি দিয়েছ কাকে
কতটুকু নিয়েছ?
ডবনিময়ে কী পেয়েছ?
করো না হিসেব।
দেয়া-নেয়ার পাল্লাটা
একদিকে ঝুলবেই, ঝুলে থাক।
তুমি ভালো থেকো বন্ধু
ভালোবাসার আলোটুকু জ্বলে থাক।