উত্তাল মার্চের কিছু কবিতা

আরিফ আহমেদ

Sharing is caring!

এই সেই মার্চ
(বন্ধুবর হস্তরেখা বিশারদ মাহবুবে রাব্বানীকে উৎসর্গিত। যার বাবা এই মার্চ ৭১-এর একজন সৈনিক ছিলেন।)
IMG0028A

এই সেই মার্চ
উত্তাল জনতার শ্লোগান মুখরিত মার্চ!
এখনো স্মৃতিরা আটকে আছে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে,
কাটা পরা বৃক্ষরাজীর দীর্ঘশ্বাস আর
অপব্যয়ে ব্যাকুল প্রজ্জলিত মশালে।
এই সেই মার্চ
আবার পুনরুজ্জীবীত হোক ইতিহাস।।
সোনার বাংলা, রূপালী স্বদেশ
এখনো স্বপ্নই রয়ে গেছে,
এখনো নানান বেশে
ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রাজাকার, মানচিত্র জুড়ে
এখনো নাচছে স্বৈরাচার।
এই সেই মার্চ, দিনটি ছিল
বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার ।।

 

শ্যামলিমা
দেহ তাঁর শ্যামলিমার মনমুগ্ধ হাসি
চোখে দাঁড় বেয়ে যায় পদ্মার মাঝি
চুল ছুয়ে উড়ে যায় পাখীরা নিড়ে
সোম্য মুখে তাঁর বেদনা ঘোরে।
আমার পায়ে চলা প্রতিটা বাঁকে
তারই হাতছানি দেখি, সে-ই আমায় ডাকে।

বিভৎস সময়
প্রতিদিন বাড়ছে নিত্য পণ্যের দাম
যানজটে ঠেলছে শরীর, কাটছে সময়
আতংক-অস্থিরতায়, সরকার-রাজনীতি,
সেনা-পুলিশ অস্থির প্রতিদিন; বাড়ছে
রাহাজানি-হাইজ্যাক।

প্রতিদিন পত্রিকায় দুর্নীতিবাজদের কথা
অপমৃত্যু আর নির্যাতন সংবাদ বাড়ছেই —
দু‘দকের মামলায় প্রতিদিন আহত কেউটে
তবুও থেমে নেই দুর্নীতি।

প্রতিদিন বাজার থেকে ফিরছে খালি
ভিখারীর ঝুলি, তেল-পটল-আর
মাছ-মাংসের গাঁয়ে জ্বলছে আগুন,
নিরামিষ; জোটেনা বহুদিন।

ন্যায্য মূল্যের দোকান খুলে খাঁকী পোশাকী
লুটছে মুনাফা,
পাঁচ কেজি চাল আর হাফ কেজি তেল; সকাল-সন্ধ্যা
দীর্ঘ অপেক্ষা।
জনতার ভীড় তবু বাড়ছেই — প্রতিদিন।

ভালোবাসার আলোটুকু জ্বলে থাক
কতটুকু তুমি দিয়েছ কাকে
কতটুকু নিয়েছ?
ডবনিময়ে কী পেয়েছ?
করো না হিসেব।

দেয়া-নেয়ার পাল্লাটা
একদিকে ঝুলবেই, ঝুলে থাক।
তুমি ভালো থেকো বন্ধু
ভালোবাসার আলোটুকু জ্বলে থাক।

Print Friendly, PDF & Email

Sharing is caring!

About the author

ডিসেম্বর ৭১! কৃত্তনখোলার জলে সাঁতার কেটে বেড়ে ওঠা জীবন। ইছামতির তীরঘেষা ভালবাসা ছুঁয়ে যায় গঙ্গার আহ্বানে। সেই টানে কলকাতার বিরাটিতে তিনটি বছর। এদিকে পিতা প্রয়াত আলাউদ্দিন আহমেদ-এর উৎকণ্ঠা আর মা জিন্নাত আরা বেগম-এর চোখের জল, গঙ্গার সম্মোহনী কাটিয়ে তাই ফিরে আসা ঘরে। কিন্তু কৈশরী প্রেম আবার তাড়া করে, তের বছর বয়সে তের বার হারিয়ে যাওয়ার রেকর্ডে যেন বিদ্রোহী কবি নজরুলের অনুসরণ। জীবনানন্দ আর সুকান্তে প্রভাবিত যৌবন আটকে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পদার্পন মাত্রই। এখানে আধুনিক হবার চেষ্টায় বড় তারাতারি বদলে যায় জীবন। প্রতিবাদে দেবী আর নিগার নামের দুটি কাব্য সংকলন প্রশ্ন তোলে বিবেকবানের মনে। তার কবিতায়, উচ্চারণ শুদ্ধতা আর কবিত্বের আধুনিকায়নের দাবী তুলে তুলে নেন দীক্ষার ভার প্রয়াত নরেণ বিশ্বাস স্যার। স্যারের পরামর্শে প্রথম আলাপ কবি আসাদ চৌধুরী, মুহাম্মদ নুরুল হুদা এবং তৎকালিন ভাষাতত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রাজীব হুমায়ুন ডেকে পাঠান তাকে। অভিনেতা রাজনীতিবিদ আসাদুজ্জামান নূর, সাংকৃতজন আলী যাকের আর সারা যাকের-এর উৎসাহ উদ্দিপনায় শুরু হয় নতুন পথ চলা। ঢাকা সুবচন, থিয়েটার ইউনিট হয়ে মাযহারুল হক পিন্টুর সাথে নাট্যাভিনয় ইউনিভার্সেল থিয়েটারে। শংকর শাওজাল হাত ধরে শিখান মঞ্চনাটবের রিপোটিংটা। তারই সূত্র ধরে তৈরি হয় দৈনিক ভোরের কাগজের প্রথম মঞ্চপাতা। একইসমেয় দর্শন চাষা সরদার ফজলুল করিম- হাত ধরে নিযে চলেন জীবনদত্তের পাঠশালায়। বলেন- মানুষ হও দাদু ভাই, প্রকৃত মানুষ। সরদার ফজলুল করিমের এ উক্তি ছুঁয়ে যায় হৃদয়। সত্যিকারের মানুষ হবার চেষ্টায় তাই জাতীয় দৈনিক রুপালী, বাংলার বাণী, জনকণ্ঠ, ইত্তেফাক, মুক্তকণ্ঠের প্রদায়ক হয়ে এবং অবশেষে ভোরেরকাগজের প্রতিনিধি নিযুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়ান ৬৫টি জেলায়। ছুটে বেড়ান গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। ২০০২ সালে প্রথম চ্যানেল আই-্র সংবাদ বিভাগে স্থির হন বটে, তবে অস্থির চিত্ত এরপর ঘনবদল বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, আমাদের সময়, মানবজমিন ও দৈনিক যায়যায়দিন হয়ে এখন আবার বেকার। প্রথম আলো ও চ্যানেল আই আর অভিনেত্রী, নির্দেশক সারা যাকের এর প্রশ্রয়ে ও স্নেহ ছায়ায় আজও বিচরণ তার। একইসাথে চলছে সাহিত্য বাজার নামের পত্রিকা সম্পাদনার কাজ।