বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানী ইউনেস্কোর আওতাধীন ‘বিশ্বসভ্যতার স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের (Intangible Cultural Heritage) প্রতিনিধিত্বমূলক তালিকা’য় স্থান পেয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে ইউনেস্কোর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত Intergovernment Committee for the Safeguarding of the Intangible Cultural Heritage -এর অষ্টম সম্মেলনে বাংলাদেশের জামদানিকে এ বিরল স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। সম্মেলনে বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রতিনিধি তাদের প্রস্তাবসহ অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাপ্ত ৩১টি প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন ৭টি প্রস্তাবকে চূড়ান্তভাবে বিবেচনা করা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশের ‘ঐতিহ্যবাহী জামদানি বুনন শিল্প’ শীর্ষক প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন লাভ করে এবং ইউনেস্কোর বিশ্বসভ্যতার স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
এ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন ইউনেস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, জামদানি বিশেষজ্ঞ ড. ফিরোজ মাহমুদ এবং বাংলা একাডেমির পরিচালক শাহিদা খাতুন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সুপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জামদানি শিল্পের ইতিহাস-ঐতিহ্য বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যাবলি বাংলা একাডেমির উদ্যোগে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্যারিসস্থ ইউনেস্কো প্রধান কার্যালয় প্রেরণ করা হয়। বাংলা একাডেমি ইতিমধ্যে বাংলাদেশের নকশিকাঁথা,
রিক্সা-পেইন্টিং, বৈশাখি উৎসব ইত্যাদি বিষয়ও বিশ্বের সাংস্কৃতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।