তার কথা মনে পড়ে
আঁড়ে আঁড়ে বারে বারে
যত চাই ভুলিবারে
ততো মনে জ্বালা ধরে ।
কোথায় সে, কেমন আছে
কাকে সে ভালোবাসে
জানা নাই কিছুই তার
শুধু জানি মুখখানি
ভাসা ভাসা জেগে আছে
স্মরণে আমার ।
সপ্তক্ষীরের জন্য কবিতা
সাথী হতে চেয়ে তোমার
বাতাস ভারী দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি
খান-খান; ভাঙ্গে হৃদয়ের বাজার
নয়নে তোমার কেমনে পড়ি ?
একাকী সময় ভাবনা বিহ্বল…
সপ্তক্ষীরে দুয়ারে তোমার…
প্রলেপ আঁকি
নিত্য রাতি ।
আত্মসুখে মগ্ন থাকি
তোমার জন্য
ব্যস্ত কথার কাব্য লিখে
আমি ধন্য ।
সপ্তক্ষীরা তোমার জন্য
আজো আমার ব্যাকুলতা যত ।
দাদুর স্মরণে ( ১১২ বছর বয়সে চলে গেলেন আমাদের দাদু)
এখানে আমার দাদার কবর
শত বছর আগের স্মৃতি
দুই নয়নে ভিজিয়ে মাটি
দাদিকেও আজ করলাম তাঁর সাথী ।
শুইয়ে দিলাম যতন করে
দাদার পাশে দাদীটারে
দেখা হবে দু’জনার
৫০টি বছর পরে ।
‘দাদুভাই’ বলে আদর করে
ডাকবে না কেউ আর
হাতটি ধরে জড়িয়ে বুকে
আঁচল দিয়ে মুখটি মুছে
নিজের হাতের পিঠা পায়েস
মুখে তুলে খাইয়ে দিতে
রইলো না কেউ আর ।
দাদু তুমি অচল ছিলে
তবুও যে মাথার উপর
বটের ছায়া
ছিলে চিরকাল
দাদু আমার চলে গেল ১১ এপ্রিল ২০১৫
রাত ৮টার শনিবার
মালিবাগ ঢাকা থেকে এ্যম্বুলেন্সে বরিশাল
লাশ এলো সকালে; কবর হলো দুপুর বেলা রবিবার।
মুঠোবার্তা
—————-
মুঠোফোনে পাঠালাম এই মুঠোবার্তা
জাগো বিবেকবান
সত্যবাদী যুবা যারা আছো,
ছাত্র-শিক্ষক নীতিবান
যদি কেউ আজো থাকো…
জাগো দেশবাসী
জাগো ভালো থাকারা প্রত্যাশীরা
নিজ হাতে তুলে নাও এই সত্তা
শাসনভার আর হানাদারের হাতে নয়
চাইনা বিবেকবর্জিত কোনো নেতা
রুখে দাঁড়াও সত্য ন্যায়ের পথিক
হোকনা বিলিন তাতে
তোমার আমার প্রিয়জন
প্রিয় পিতা
জাগো সবাই পেয়ে এই
মুঠোবার্তা।
আবারো দেখা হবে
আবারো দেখা হবে…
কথাটি বলে, সেই যে হারালো সুজন
তারপর ! কেটে গেল অনাদিকাল…
তোমার সাথে পুনরায়
যধি দেখা হয় যায়…
যদি চোখের গভীরে
আবারো আটকে থাকে চোখ…
পাশাপাশি হলে যদি আবারো তোমার
গায়ের ঘ্রাণে মত্ত হই; আমি দিশেহারা ?
যদি আবারো সব ভুলে
তোমাকেই ভাবি একান্ত আপন…
এই ভয়ে আমি পালিয়ে বেড়াই
দিনান্তের দিন ।
পৃথিবীটা গোল তা আবারো
প্রমাণ করার আছে কি প্রয়োজন ?