নিরবতা
(বন্ধু মাসুম আলী অপুর জন্য উৎসর্গকৃত)
যন্ত্রণাকাতর বন্ধুর মুখ
কষ্টে ফাঁটে বুক
একাকীত্ব আরো যন্ত্রণাদায়ক
তার চেয়েও যন্ত্রণা দেয় বুক চাঁপামুখ।
সুদূরের বন্ধু
আমার যখন মাত্র সকাল
তোমার তখন মধ্যরাত
তুমি খাও ফাস্টফুড আর
আমার পাতে পান্তাভাত।।
ওহে নারী
তোমার এ্রই রুপের দেমাক
পোষাকের শর্র্ট স্কাট
কতদিন তা জান কি?
কতদিন ধরে রাখবে এই
পোষাকের আটসাট গাঁথুনী?
৪৫ পার হলেই তুমি নারী
ফিরে যাবে সে-ই আজন্ম পরিচয়ে
যেখানে শুধু একজন মা – বোন
কিম্বা একজন মেয়ে তুমি আমার জননী।
মা – না – হলে বৃথা জনম
বৃথা-ই তুমি রমনী।
যতই তুমি ছেলে সাজো মা কিম্বা আধুনিকা
ঈশ্বর তোমাকে গড়েছেন যে নারী
চোখ বুঝে ভাবো; আর পরে দেখ শাড়ী
নিয়তির সাথে মিছে কেন এতো আড়ি?
এটা বলা হয়তো আমার হয়েছে বারাবারি
তবুও বলি ঈশ্বর তোমাকে গড়েছেন যে নারী।
(নাট্যজন আলী যাকের ভাইকে উৎসর্গকৃত)
আজকে তোমার জন্মদিন
আমরা সবাই নিদ্রহীন
উল্লাস আর প্রার্থনায় জাগবো সারারাত।
শ্রদ্ধেয়, তুমি শতায়ু হও,
দেশ আর মানুষের জন্য
রেখে যাও আরো কিছু স্মরণীয় কাজ।
বসতভিটা
দক্ষিণে আমার বসতভিটা
পশ্চিমে ধর্মশালা
পূবে আছে কর্মযজ্ঞ; লোভনীয় হাতছানী
উত্তরে স্বপ্নব্যাকুল
প্রিয়তমার উষ্ণ চাহনী।
দক্ষিণের বঙ্গোপসাগর
হঠাৎ যে উঠলো ক্ষেপে
বসতভিটা সহায়-সম্বল
কেড়ে নিল মধ্যরাতে।
লোভের ফাঁদে পরবো না গো,
পূর্বাঞ্চল হাত বাড়িয়ে তাও ডাকে।
হিমালয়টা ঠাণ্ডা ভীষণ
বরফ জমা বরাতে।
প্রিয়তমার ললাটে তাই
চুমু খাওয়া হলোনা ভাই
গেলাম ছুটে ধর্মশালা
যদি একটু আশ্রয় পাই।।
এখানেও দেখি দানের নামে লোভের পাহাড়
রাজনীতিতে কোলাকুলি ধর্মনেতার
আশ্রমটা দখল করে বেহেল্লাপনায় ব্যস্ত নগর
বেচছে সবাই এতিম শিশুর গায়ের কাপড়।
কোথায় পাবো শুদ্ধস্বর
আমিত্বের এই হাহাকারে
জগৎজুড়ে ভক্তজনের
হৃদয় খুড়ে রক্ত ঝরে
তুমি-আমি, আমি-তুমি
বিশ্বটা হোক একাকার।।
শুণ্যতায় বিষন্ন সংসার।
ছোঁয়া ছোঁয়া স্বপ্নের নাচন
অসীম আকাশে; কালো মেঘ
যেন… ফানুস ওড়ানো মানুষ আর
জীবনের কথা বলে।
এখানে জীবন বন্দী
যানজট আর লালবাতীর খেলায়,
মনজটের অংক বন্দী
স্যাটেলাইটের তীব্র আলোকছটায়।
মানবতা! এখানে এখন শুধু আনত…
ঈশ্বর প্রেমিকের মাথা; যার ঘাঢ়ে চেপে
উদাসী মন্ত্র জঁপে…
হায় মানবতা!
সময়ের নীল খাম চিঠিতে
চাঁপা পরে যায় বিবেক বোধের দেয়াল
প্রতিটি জীবন এখানে এখন
বুদ হয়ে আছে জীবন যন্ত্রণায়।
অনাদিকাল…
এখানে অভূক্ত সয়ং ঈশ্বর।