সদানন্দ সরকার : শিশুসাহিত্যিক ছড়াকার আমীরুল ইসলামের তিনটি বই আকাশকুসুম রূপকথা, কোনালের বাবা বন্ধু ও অন্যান্য এবং জোসনা চাঁদের ছড়া হাতে এল। তিনটি বই পড়তে দিলাম তিনজন ছোট বন্ধু যাদের বয়স ৭ থেকে ১৭ এর মধ্যে। গাজীপুরের বোর্ডবাজারের বাসিন্দা বিএম উচ্চ বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া সাদিয়া ইসলাম, ঢাকার মিরপুরের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র রামীম হাসান ও আজিমপুরের বদরুন্নেসা স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী শাফফানা ইয়াসমীনকে। কেই সাথে তাদের হাতে দেয়া হয়েছিল ফরিদুর রেজা সাগরের লেখা লাল বেবী ট্যাক্সী ও ….।
তাদের প্রত্যেকের কাছেই গল্প ভালো লেগেছে। ছড়া বা কবিতা মোটেও ভাল লাগে নাই। এ যুগের শিশুরাও যে কবিতা বিমূখতা নিয়ে বেড়ে উঠছে এটা তারই প্রমাণ।
ছড়াকার আমীরুল ইসলাম ২০০৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত একজন কবি বা শিশু সাহিত্যিক। স্বাভাবিক ভাবেই তার কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আর এই প্রত্যাশার কিছুটা প্রাপ্তি খুঁজে পাওয়া যায় আকাশকুসুম রূপকথা নামক গল্পগ্রন্থে।
ছোট্টবন্ধু সাদিয়া ও রামিম-এর কাছে আকাসকুসুম রূপকথা বইটি খুবই ভালো লেগেছে। রাজপুত্র ও বটগাছ, রাজকন্যোর ঘুম, দৈত্যপাখির গল্প ইত্যাদি। এ সব গল্পের মধ্যে দৈত্যপাখির গল্পটা শাফফানারও ভালো লেগেছে বলে জানালো সে।
আমীরুল ইসলামের ইদানিংকালের ছড়াগুলো কোনো ছড়াই হচ্ছেনা বলে মন্তব্য করেছিলেন সাহিত্য বাজার পত্রিকার সম্পাদক আরিফ আহমেদ। শিশুদের কাছে তাই ছড়াবইও তুলে দেয়া হয়েছিল। তাদের কেউ দু-এক লাইন পড়েছেন বটে তবে ছড়ার প্রতি কোনো আগ্রহ দেখা গেলনা আগামী প্রজন্মের মধ্যে। এ বিষয়ে আমীরুর ইসলামের মন্তব্য পেলে ভালো হত।