সব্যসাচী লেখক কবি সৈয়দ শামসুল হক ছিলেন বিশ্ব বাঙালি। তিনি একজন পরিপাটি মানুষ, লেখক হয়ে বিশ্ব দরবারে বাঙালিকে উপস্থাপন করেছেন। কণ্ঠশীলন আয়োজিত সব্যসাচী লেখক কবি সৈয়দ শামসুল হক স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা এই মন্তব্য করেন।
কণ্ঠশীলন সভাপতি গোলাম সারোয়ারের সভাপতিত্বে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে সংগঠনটির কার্যালয়ে শুক্রবার বেলা ১১টায় স্মরণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। নরোত্তম হালদারের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন কণ্ঠশীলন অধ্যক্ষ মীর বরকত, আবৃত্তি পরিবেশন করেন কণ্ঠশীলন সহ সভাপতি মোস্তফা কামাল ও লিটন বারুরী। আরো উপস্থিত ছিলেন কণ্ঠশীলন সহ সভাপতি আহমাদুল হক হাসনু, সম্পাদক রইস উল ইসলাম, প্রবীণ সদস্য তহমিদ উদ্দিনসহ কণ্ঠশীলনের সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে কবি নুরুল হুদা বলেন- সৈয়দ শামসুল হকের কাজ ছিল রুপান্তর। তিনি সাহিত্যে রুপান্তর এনেছেন। সৈয়দ হক দেখিয়েছেন কিভাবে মানুষকে জন্তুতে পরিণত করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন- আমার জীবনে দেখা শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিশীল ব্যক্তি হচ্ছেন সৈয়দ হক। তিনি সিনেমা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন কিন্তু কবিতা, নাটক, গল্প, গান, অনুবাদসহ বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি স্তরে তার অবদান রয়েছে।
কণ্ঠশীলন অধ্যক্ষ মীর বরকত বলেন- শিল্পের কাজ হচ্ছে মানুষে মানুষে সংযোগ ঘটানো। সৈয়দ শামসুল হক তার সৃষ্টির মাধ্যমে সেটিই করেছেন। নাটকে তাঁর শক্তি ছিল অসাধারণ। সেখানে তিনি কাব্য নির্ভর নাটকই বেশি লিখতেন। তিনি কণ্ঠশীলনের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে গোলাম সারোয়ার বলেন- বড় মানুষকে স্মরণ করার অর্থ হচ্ছে নিজেকে স্মরণ করা। তাকে অবলম্বন করে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখা। তিনি সাহিত্যে শব্দ নয় মনের রং সাজাতেন। সেই রঙে রঙিন করতেন সাহিত্য। এই চিরসজীব ব্যক্তিটি ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পৃথিবী থেকে প্রয়াত হলেন। বাস্তবজীবনে এই ২৭ বছরের তরুণই ছিলেন সৈয়দ শামসুল হক।
কণ্ঠশীলন নীরবে শামসুল হকের সৃষ্টি নিয়ে কাজ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন গোলাম সারোয়ার।