১০ জানুয়ারী ২০১৫, শনিবার ছিল অমর একুশে গ্রন্থমেলার জন্য স্টল বরাদ্দের আবেদন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। বাংলা একাডেমির নির্মিতব্য ভবনের নীচতলাটি ছিল তাই প্রকাশক সংগঠকদের পদচারণায় মুখরিত। সকাল ৯ টা থেকেই এখানে প্রকাশকরা জড়ো হতে থাকেন আবেদন পত্র ও প্রকাশিত গ্রন্থ নিয়ে।
আগামী, অন্যদিন, সময়, ঐতিহ্য প্রথমা, গতিধারা, সাহিত্য বাজার, শিল্পৈষী, সাহিত্য কথা, শিকড় ইত্যাদি প্রায় ৫০০ আবদন পত্র জমা পড়েছে বলে জানালেন অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ এর আবেদন সংগ্রাহক কবির আহমেদ। সংগ্রাহক ও আবেদন পত্র যাচাইকারী জাকির সিকদার জানান, শুক্রবার বন্ধের দিনেও আমরা আবেদন পত্র জমা নিয়েছি। তবে গতকাল ভিড় খুব কম ছিল। আজ শেষ দিন হবার কারণে ভিড় অনেক বেশি। সব আবেদন জমা নিতে রাত্র আটটা বেজে যেতে পারে।
েএবারও গতবারের মতোই অমর একুশে বইমেলাকে সহোরাওয়ার্দী উদ্যানে বিস্তৃত করা হচ্ছে। তবে এবার গতবারের তুলনায় স্টল সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানালেন মেলা কর্তৃপক্ষ। এই মূহুর্তে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেলা কমিটির একজন সদস্য বললেন, এবার যারাই আবেদন করবেন কাউকেই নিরাশ হতে হবে না।
সন্ধ্যা ৬টায় আবেদন পত্র জমা কেন্দ্রে প্রচুর ভিড় দেখা গেল। মুক্তিযুদ্ধের বই নামে আবেদন করেছেন একটি সংগঠনের পরিচালক আবীর আহাদ। তিনি বলেন, যেহেতু সংগঠন পরিচয়ে স্টল দেয়া যাবেনা তাই এই নাম ব্যবহার করলাম। আমাদের বেশ কিচু প্রকামনা আছে যা মুক্তিযুদ্ধের বই।
সাহিত্য বাজার এ গত ২০০৮ থেকে দু’বার লিটলম্যাগ কর্ণারে এবং ২০১১ ও ২০১২তে দু’বার এক ইউনিটর স্টল বরাদ্ধ পেয়েছিল, কিন্তু বিগত ২০১৩ ও ২০১৪তে সাহিত্য বাজার স্টল পায়নি। তাই স্টল প্রাপ্তির বিষয়ে শংসয় নিয়েই সম্পাদক আরিফ আহমেদ ও প্রকাশক সালাম খোকন দাঁড়িয়ে ছিলেন আবেদন পত্র জমা দেয়ার লাইনে।
জাম গ্রহণ ও যাচাইকারী জাকির সিকদার জানান, সাহিত্য বাজার পত্রিকা ও পাবলিকেসন এর ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর নবায়ন করা
নেই। ফায়ার সনদ নেই। তবে এগুলো যে নেই তা স্বীকার করে মহাপরিচারক বরাবরে একটি আবেদন সংযুক্ত রয়েছে। বই ও আবেদন জমা দিতে আসা অনেক প্রকাশকেরই আয়কর নবায়ন নেই এবং ফায়ার ইন্সুরেন্স নেই। আমরা সেটা আবেদনপত্রের উপর নোট লিখে সাক্ষর করে দিচ্ছি। এখন বাকীটা বাংলা একাডেমি প্রশাসন ও মেলা কমিটি সিদ্ধান্ত নেবেন।