অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭ তে অংশ নিতে আবেদনপত্র জমা ও সংগ্রহের আজই (২৮ ডিসেম্বর) শেষ দিন। অন্যসব প্রকাশনী সংস্থার পাশাপাশি সাহিত্য বাজার এবারও স্টল পাবার চেষ্টায় আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার কাজ শেষ করেছে। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বরাবরে পৃথক আবেদনের মাধ্যমে এ আবেদন জমা দেয় সাহিত্য বাজার।
এর আগে, বুধবার বিকালে একাডেমির সভাকক্ষে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা -২০১৭’ এর নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক এক সভায় বইমেলার প্রাকপ্রস্তুতি নিয়ে নানা প্রস্তাবনা ও নির্দেশনাও প্রদান করা হয়েছে। সে সভায় অন্যদের মধ্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সংস্কৃতিসচিব আকতারী মমতাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলীসহ রমনা ও শাহবাগ থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডের মতো ঝুঁকির ঘটনায় প্রতিটি স্টলের জন্য এবার বীমার ব্যবস্থা থাকছে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।
এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমি বঙ্গবন্ধুর কারাবাস নিয়ে ‘কারাগারের রোজনামচা’ প্রকাশ করবে বলে সভায় জানান একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, এবারের বইমেলায় সাহিত্য উৎসব বড় আঙ্গিকে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেখানে বিশ্বের নানা দেশের সাহিত্যিকরা অংশ নেবেন।প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বইমেলা চলাকালীন সময়ে হতে যাওয়া এই সাহিত্য উৎসবের সুনির্দিষ্ট দিন ঘোষণা করা হবে বলে জানান একাডেমির মহাপরিচালক।
শামসুজ্জামান খান সাংবাদিকদের জানান, এবার পুরো বইমেলাকে ১২টি ভাগে করা হবে, থাকবে ৫৬৩টি ইউনিট; প্যাভিলিয়ন থাকবে ১৩টি। সোহরাওয়ার্দীর ভেতরে উদ্যানের রাস্তাটি এবার ১৬ ফিটের থেকে বাড়িয়ে ২৫ ফিট প্রশস্থ করা হচ্ছে। গাছ ও ফুল দিয়ে নানন্দিকভাবে সাজানো হবে গোটা বইমেলা প্রাঙ্গণ। দোয়েল চত্বরে ৩৫-৫০ ফুটের ইলেকট্রনিক বোর্ডে বইমেলার নির্দেশিকা থাকবে।
বাংলা একাডেমির মূল প্রাঙ্গণ আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনটি করে প্রবেশ পথ ও বাহির পথ থাকবে। বাংলা একাডেমির সঙ্গে সোহরাওয়ার্দীর মেলাটি যেন বিচ্ছিন্ন মনে না হয় সেজন্য থাকবে বিশেষ সংযোগ।
এ লক্ষ্যে বাংলা একাডেমি কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া গতবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোনো খাবার স্টল ছিল না জানিয়ে শামসুজ্জামান খান বলেন, এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দুটি খাবার স্টল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার গাড়িগুলোতে স্টিকার থাকবে।