১১ ফেব্র“য়ারি ২০১৪ মঙ্গলবার। অমর একুশে গ্রন্থমেলার একাদশ দিন। মেলায় আজ নতুন বই এসেছে ৯৯টি এবং ১৩ টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। আজকের বিষয়ভিত্তিক বই : গল্প-১১টি, উপন্যাস-১৬টি, প্রবন্ধ-১০টি, কবিতা-৩০টি, গবেষণা-২টি, ছড়া-১টি, শিশুতোষ-২টি, জীবনী-৫টি, রচনাবলী-০টি, মুক্তিযুদ্ধ-২টি, নাটক-০টি, বিজ্ঞান-১টি, ভ্রমণ-৩টি, ইতিহাস-২টি, রাজনীতি-৪টি, চিকিৎসা-০টি, কম্পিউটার-০টি, রম্য/ধাঁধা-০টি, ধর্মীয়-২টি, অনুবাদ-০টি, অভিধান-০টি, সায়েন্স ফিকশন-১টি এবং অন্যান্য-৭টি। গ্রন্থমেলায় ১ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত বাংলা একাডেমির প্রকাশনাসমূহের নিজস্ব বিক্রয় ছিলো ৩০,৯৩,৬২৪.৪০ হাজার টাকা।
বিকেল ৪:০০টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় হবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশের মুসলমান মধ্যবিত্তের ইতিহাস প্রসঙ্গে হবীবুল্লাহ বাহারের স্যা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সলিমুল্লাহ খান। এছাড়া ‘আমার বাবা হবীবুল্লাহ বাহার’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তাঁর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পুত্র ইকবাল বাহার চৌধুরী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মোহাম্মদ আবদুল কাইউম, কাজী মদিনা এবং খুশী কবির। সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল আবদুল মুহিত।
প্রাবন্ধিকদ্বয় বলেন, হবীবুল্লাহ বাহার ছিলেন বাঙালি মুসলমানের যুগসন্ধির এক স্বাপ্নিক মানুষ। আমাদের নবজাগরণের তাঁর ভূমিকা বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য। রাজনীতি ও সমাজচেতনার যুগলবন্দি ধ্বনিত হয়েছে তাঁর সাহিত্যকর্ম, সম্পাদনা, প্রকাশনা ও সামগ্রিক জীবনসাধনায়। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পমুক্ত একটি উদার-সহিষ্ণু সমাজ গঠনে হবীবুল্লাহ বাহারের অবদান আজও সমান প্রাসঙ্গিক।
আলোচকবৃন্দ বলেন, নজরুলের সঙ্গে হবীবুল্লাহ বাহারের সখ্য ব্যক্তিগত সম্পর্কের পরিসর ছাপিয়ে আজ আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অনিবার্য অংশে হিসেবে পরিগণিত। কারণ তাঁরা উভয়েই বাঙালি মুসলমানের সার্বিক মুক্তি ও জাগরণের জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বুলবুল পত্রিকা প্রকাশ এবং বুলবুল পাবলিশিং হাউসের মাধ্যমে বই প্রকাশ করে সমকালীন চিন্তাচর্চার েেত্রও হবীবুল্লাহ বাহার ভূমিকা রেখেছেন। বিস্মৃত এই বাঙালি মনীষাকে নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।
সভাপতির বক্তব্যে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, হবীবুল্লাহ বাহার সাহিত্যকে জাতীয় জাগরণের মাধ্যমে হিসেবে ব্যবহার করেছেন। জাতির প্রগতিমুখী বিকাশের দিকে ল্য রেখে তাঁর সমস্ত কর্মকাণ্ড ধাবিত ছিল। বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক মুক্তির জগতে হবীবুল্লাহ বাহার এক অনিবার্য নাম হিসেবে উচ্চারিত হবে।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘স্বভূমি লেখক শিল্পী কেন্দ্র’। এছাড়াও আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী কাজী আরিফ এবং ডালিয়া আহমেদ। সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী বিশ্বজিৎ রায়, বদিয়ার রহমান, বীনা মজুমদার, শফিউল আলম রাজা, লুতু সরকার, জসীম উদ্দিন সজল এবং মো. আসলাম মিঞা। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন রাজু চৌধুরী (তবলা), এস. এম. রেজা বাবু (ঢোল), গাজী আবদুল হাকিম (বাঁশি), মো. আবেদ হোসেন (মন্দিরা) এবং আশুতোষ শীল (দোতারা)।
আগামীকালের অনুষ্ঠান
আগামীকাল ৩০শে মাঘ ১৪২০/১২ই ফেব্র“য়ারি ২০১৪ বুধবার বিকেল ৪:০০টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে বাংলার নবজাগরণে মোহাম্মদ রওশন আলী চৌধুরী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ইসরাইল খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন সাখাওয়াত আলী খান, শফিউল আলম এবং রহমান হাবিব। সভাপতিত্ব করবেন
ড. মনিরুজ্জামান।
সন্ধ্যায় পরিবেশিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।