আমার মামার মখের গরু
বেজায় চিকনা এবং সরু
সোজা বাংলাতে লিকলিকে
গরুর রংটা খানিক ফিকে। (গরু- আলী হাবিব)
কিম্বা
আমাদের রাজনীতি চলে বাকে বাকে
প্রত্যেক মাসে তার হরতাল থাকে (রাজনীতি : আনজীর লিটন)
কিম্বা
তোমার প্রিয় কপোতাক্ষ
আমার প্রিয় আত্রাই
চল বন্ধু আজকে দুজন
এক নদীতে সাঁতরাই।। (যাযবর মিন্টু) এভাবেই শনিবার (৩০ নভেম্বর ২০১৩) সন্ধ্রায় ছড়ার ছন্দে দুলে ওঠে পাবলিক লাইব্রেরীর সেমিনার কক্ষ। দুলে ওঠে ঘাসফেুল আয়োজিত হেমন্তের আনন্দ উৎসব। হেমন্তের শীতল ছোঁয়ায় গরম ভাপা পিঠের স্বাদ নিতে নিতে দর্শক উপভোগ করেন ছড়াকার মাহবুব তালুকদার, দীপংকর চক্রবর্তী, হাসান হাফিজ, আলম তালুকদার প্রমূখ ছড়াকারের স্বলিখিত ছড়া। প্রায় ৪০ জন ছড়াকারের মিলন মেলায় ছন্দে ছন্দে দোলে ঘাসফুলের এই আয়োজন।
শনিবারের সন্ধ্যায় ‘ছড়ায় ছন্দে শিশির ভেজা হৃদয় ছুঁয়ে’ শীর্ষক হেমন্ত উৎসবের শুরু হয়েছিল বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মহিউজ্জামান চৌধুরী ময়নার সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে। এরপরই কথা সাহিত্যিক আতা সরকার স্বাগত সম্ভাষণ জানান আগত অতিথিদের উদ্যেশ্য করে। বাংলা সাহিত্যে ছড়া : সন্ধান ও সিদ্ধান্ত – শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন বিলু কবীর। এ প্রবন্ধে কিছু আক্ষেপকে সমর্থন করে সভাপতি কবি মুহাম্মাদ নুরুল হুদা বলেন, কবিতা লেখা সহজ, কিন্তু ছড়া লেখা কুবই কঠিন। তাই এটা সত্যি যে সব কবি ছড়াকার না হলেও সব ছড়াকার-ই একজন কবি। সে সাথে বেশ কয়েকটি ছড়ার উপস্থাপন করে তিনি বুঝিয়ে দেন আসলে এটা কোনো আলচ্য হতে পারে না। কারণ সব কবির প্রথম কবিত্ব শুরু হয় ছড়া দিয়েই।
এরপরই প্রথম ছড়া নিয়ে মঞ্চে আসেন ছড়াকার ওবায়দুল গনি চন্দন। ক্রমান্বয়ে ছড়ার ছন্দে গরম চা আর নিমকি চানাচুরের স্বাদ বাড়তে থাকে। ছড়াকার আসলাম সানী, ড. তপন বাগচী, রহীম শাহ, আশরাফুল আলম পিন্টু, লিলি হক প্রমূখ ছড়া পড়েন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন শারমিন রোখসানা ও ইবতিদা ফারাহাত ত্রপা।
একটি গণমাধ্যম সংস্থা ‘ঘাসফুল’এর জন্ম ২০০৯ সালে। গত চার বছরে ঘাসফুল এভাবেই নিরবে নিবৃতে সাহিত্য সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখা নিয়ে কাজ করে চলছে বলে জানালেন কথা সাহিত্যিক আতা সরকার।