১৭ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ভাষণে এটা পরিস্কার যে নির্বাচন হচ্ছে । আগামী জানুয়ারতেই নির্বাচন শেষ করার ইঙ্গীত দিয়েছেন তিনি। সে নির্বাচন একক হোক বা গণতান্ত্রিক পদ্ধতীতে হোক, হবে । ২০ অক্টোবর রবিবার জাতীয় পার্টির সাথে তার বৈঠক এবং ২২ অক্টোবর দিনাজপুরের জনসভায় ভোট চেয়ে ওয়াদা করানো এ বিষয়টিকে আরো নিশ্চিত করেছে। এতে পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে যে, তিনিও পরিচ্ছন্ন একটা নির্বাচন চান, তা করবেনও।
অন্যদিকে ২১ শে অক্টোবর বিরোধী দলীয় নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিযার সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত পরিচ্ছন্ন বক্তব্য সারাদেশের সাধারণ মানুষকে আশাবাদী করেছে। যদিও তৎকালীন উপদেষ্টাদের জীবীত ও সুস্থ থাকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, তবুও যে সংঘাত ও সহিংশতার আশঙ্কা করা হচ্ছিল সে মেঘ এতে করে কিছুটা হলেও কেটেছে। বেগম জিয়ার বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতার প্রকাশ ছিল তার কোনোরকম নিন্দা ও বিদ্বেষ প্রকাশহীন এই ভাষণ। এর আগে পেশাজীবীদের মাঝে প্রদত্ত তার বক্তব্য এবং এই সংবাদ সম্মেলন। এতে তিনি নির্বাচনের যে রুপরেখা দিয়েছেন তা গ্রহণ করা না করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর নির্ভর করছে। তবে এরফলে দুইনেত্রীর মধ্যে আলোচনার একটা পথ উম্মুক্ত হয়েছে এবং ২২ াক্টোবর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের কাছে চিঠি পাঠানো, তার সাথে ফোনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর-এর কথপকোথন একটি শান্তিপূর্ণ বাতাসেরই ইঙ্গিত বলতে হবে। তইতো আকবর আলী খানসহ অনেক বিশিষ্টজন ও সুশীল সমাজের নেতারা এখনও এটাকে নাটক বললেও আশাবাদী হয়ে উঠেছেন এবং বিশ্বাষ করতে চাইছেন- এবার আলোচনা হবেই। আর যদি না হয়, তাহলে ২৩ অক্টোবর প্রথম প্রহরে চ্যানেল আই-এর তৃতীয় মাত্রার অতিথি ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন এবং এম হাফিজউদ্দিন খান ও একুশে টেলিভিশনের একুশে রাত অনুষ্টানের অতিথি আসাফুদ্দৌলা এবং বদিউল আলম মজুমদারসহ সুশীল সমাজের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানাবো- দয়া করে এভাবে টক শোতে টকিং না করে রাস্তায় নামুন। আসুন আমরা সবাই একযোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন ধর্মঘট করে হলেও দুইনেত্রীকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করি ও সব অনিয়মের মিমাংশা করে ঘরে ফিরি।