শুক্রবার দুপুর থেকে চরকাউয়া খেয়াঘাটের এই ডিঙি নাও যাত্রীর ভিড় দেখে আঁতকে উঠে বিবেক। বেশীরভাগ যাত্রী এসেছেন ঢাকা থেকে। যাবেন সাইবের হাট হয়ে ভোলা, কেউ আবার গোমা, দুধল, বাহেরচর, বগা হয়ে পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জে। নৌ পুলিশের তাড়া আটকাতে পিওডি হাসানের কাছে ছুটে গেলে তিনি জানান বিষয়টি উপরের কর্মকর্তাদের জানাতে।
বিষয়টি জানিয়ে একটি ট্রলার চলাচলের জরুরী অনুমতি পেতে প্রতিবেদক অজ্ঞতা ও আবেগবসে ফোন করেন বরিশালের পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম – বার কে। সৎ ও বুদ্ধিদীপ্ত এই মানুষটি লজ্জা না দিয়ে কৌশলে জানালেন এটা জেলা প্রশাসক এর অধীনে।
জেলা প্রশাসক তখন ব্যস্ত কোনো মিটিংএ। ফোন তিনি আর ধরেন না আগের মতন। সদর ইউএনও মুনিবুর রহমান জানালেন, আজ কিছু হবেনা। ডিসি স্যারের সাথে কথা বলে কাল কিছু একটা ব্যবস্থা হবে হয়তো।
এদিকে মাওয়া ও বাংলা বাজার ঘাটের লাইভ দেখাচ্ছে বিভিন্ন টেলিভিশন। সেখানে তখন ঘরমুখো মানুষ অনেকটা মারমুখো আচরণ।
স্বাভাবিক ভাবেই বলা যায় চরকাউয়া, বেলতলা খেয়াঘাটে রাতে আরো বাড়বে ভিড়। কারণ ফেরীঘাটের উপচে পরা জনস্রোত প্রশাসন ঠেকাতে পারেনি। ঈদের ঘরমুখো মানুষকে আটকানো খুবই কঠিন।
এই কীর্তনখোলা পারাপারে সবাই নিরাপদ থাকুক। রূপাতলী ও নথুল্লাবাদ থেকে নিরাপদে ঘরে ফিরুক সবাই। এটাই প্রার্থনা স্রষ্টার কাছে।