রহমান হেনরী
।। লীলামাঠের হরিণী ।।
‘সময় বিপক্ষে যাচ্ছে’__
এইটুকু বলে
লীলামাঠের হরিণী
নিথরাশ্রমে ঢলে
পড়ে। অথচ এ কৈশোরান্ত জলে
তোমার থরোষ্ণ হাত
আজও তো আমার করতলে
কম্পমান, এতোকাল দোল খাচ্ছে,
লক্ষই করিনি!
আজ অকস্মাৎ
মনে হলো, তোমাকে আবার একটু খুঁজি!
অন্ধকারে জেগে উঠলো মায়া
বস্তুকল্পে বাধলো সংঘাত
কোথায় তোমার মুখচ্ছায়া?
হাতের ভেতরে গলে হাত
নদী ও সমুদ্রের জন্মদাত্রী হয়ে উঠলো বুঝি!
রাইনার মারিয়া রিলকে’র কবিতা
।। হে অন্ধকার, তোমাকে ।।
হে অন্ধকার, তুমি সেই, যা থেকে উদ্ভূত অামি
পৃথিবীকে বেড়ার মতো ঘিরে রেখেছে যা,
সেইসব অগ্নির চেয়ে বেশি ভালোবাসি তোমাকেই
কেননা অগ্নিই প্রত্যেককে ঘিরে তৈরি করছে জ্যোতির্বলয়
আর তার বাইরে এসে কেউ-ই শিখছে না আগুনকে।
অথচ অন্ধকার সবকিছুকেই টানছে তার গর্ভে__
অবয়বগুলোকে আর সমুদয় অগ্নিকে, প্রাণীদের এবং আমাকেও,
কতই না অনায়াসে সে সমবেত করছে এই সবকিছুকে!__
ক্ষমতাকে আর জনতাকেও__
আর এটাই সম্ভব যে মহান এক উপস্থিতি নিকটবর্তী হচ্ছে আমার।
আমার আস্থা রয়েছে রাত্রিতে।

জীবন তরী
দে বা শী ষ দা শঅন্তিম সূর্যেও পথ চেয়ে আছি
আজও অপেক্ষায় খেয়া ঘাটে পড়ে আছি ।
মায়ার সংসার শেষে ফিরে ফিরে শুধু আসি
চোখের জল শুকিয়ে আজি
ক্লান্ত দেহে পড়ে আছি
ঘুমের ঘুরে স্বপ্নে বিভোর
তবুও শুনি বাজিছে একি মধুর সুর ।
পাড়ায় পাড়ায় বাজিছে আযানের সুমধুর ধ্বনি
দলে দলে মানুষ ছুটিছে মসজিদের পরে ।
কল্পনায় সবাই শ্রান্তিহারা
হৃদয় তাঁদের সুপ্তিভরা ।
লাই –লাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাছুলাল্লাহ বলে
এসো এসো তুমি এসো
এসো তুমি তোমার জীবন তরী বেয়ে ।
ইউ নাই টেড কিং ড ম ।
১৮/০৪/১৪ ইং ।