যারা মূর্খ তারা আলোকিত হোক
………………………………………………
সবুজ চশমার ফ্রেমে এখন বিরল নিদ্রার ঘোর
তামাদি সভ্যতার ভেতর যার জন্ম তার মুখে সুখের কোরাস ধ্বনি
উনুনে জ্বালিয়ে দাও থেতলানো বোধ, ইস্রাফিলের শিঙা
কুন্ডলি পাকিয়ে উড়ে যাক দখলদারের স্বপ্ন।
বাবুইয়ের জীবন-যাপন প্রণালী যার জানা নেই সে
টেরাকোটার নকশায় খোদাই করে শয়তানি ভোর
পোয়াতি মায়ের মতো অহোরাত্রি দেখে পেটের বিচিত্র কারুকাজ
আঁধারের মোহে মুগ্ধ হয়ে শূন্যতা ওড়াতে ওড়াতে মিশে যায় পিরামিড সভ্যতার যুগে।
মার্জনা করো হে প্রভু,
জ্ঞানহীন পাপসুখ যারা ভোগ করে উলুমুখে
তাদের শরীরে জ্বালিয়ে দাও রাতের সোডিয়াম বাতি।
দুঃখের সাথে যাদের বসবাস
………………………………………
আকাশ উড়তে শিখলেই কমে যায় নদীর নাব্যতা
শূন্যের ভেতর শূন্যকে রাখলেই দোল খায় নির্লিপ্ত সময়
ফসলের দানায় যখন দেখা দেয় অভাবী রাত
কপট আনন্দে হেসে লুটোপুটি খায় অনাহারী দিনের শূন্য থালাটা
আমরা তো ভাই মৃত্তিকার সন্তান
শিমুল তুলোর ভাঁজে রাখা দুঃখের সাথে বাস
বুকের ভিতর পুষে রাখি ধূপের আগুন
বহমান নদী পাড়ি দেই নোঙ্গর ছেঁড়া নায়
দীপাবলির আলোকরেখা আমাদের কাছে লেজকাটা টিকটিকির ন্যায়
কাগুজে নৌকার মতো অকালে ডুবে মরে যতো স্মৃতি-স্বপ্ন
এসব দেখে ধমনীর দীর্ঘশ্বাস আটকে রেখে টিপ্পনী কাটে বয়সী ইঁদুর।
বিরতিহীন জীবন
…………………………..
ঘড়ির কাঁটায় দেখি সঙ্গবদ্ধ জীবনের প্রতিচ্ছবি
স্বর্গের লাঙল কাঁধে টিকটিক শব্দে হেঁটে চলে মর্ত্যের ষাঁড়
পৃথিবী যেন একটা বিবর্ণ চারণ ভূমি
প্রতিদিন দেহ থেকে খসে পড়ে হলুদ ঘাস
রাত্রির বিশ্বাস নেই
অবরুদ্ধ বাতাসে কেঁদে মরে বিষণ্ন ছায়া
ডাস্টবিনের আয়নায় ভাসে মরা কুকুরের মুখ
তবুও ঘড়ির কাঁটা ঘুরে বেড়ায় বিরতিহীন।