- কথাকার অধ্্যাপ ক মাাাসুদ আলম বাাবুল এর ভাাাাষায়-
- কোলকাতা প্রেসক্লাবে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তিটুকু পেলাম। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. পবিত্র সরকার প্রচ্ছদ উন্মোচন করলেন আমার উপন্যাস “নিদিরা” ও “লেচু মিয়ার ঘর” এর। তার মুখে আমার লেখার প্রশংসা যেটুকু শুনেছি তা ছিলো এ জীবনের প্রাপ্তির চেয়েও অনেক অনেক বেশি।
কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা সাহিত্যের সাবেক অধ্যাপিকা ড. মিরাতুন নাহার আমার “নিদিরা” উপন্যাস নিয়ে দীর্ঘ আলোচনায় যা বলেছেন তা ছিলো লেখক হিসেবে এযাবৎকালের আমার সকল ভাবনার অতীত। একজন আলোচক হিসবে তিনি যতোটা গভীরে পৌঁছেছেন, লেখক হিসেবে হয়তো আমি নিজেও অতোটা কখনো ভাবিনি। আবেগে আপ্লুত হয়ে ড. মিরাতুন নাহার উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বললেন, তোমাদের কারো মেয়ে হলে তার নাম রেখো “নিদিরা” এটি আমার প্রস্তাব।
স্বীকৃতিটা তখনই পেয়েছিলাম, বাংলাদেশে যেখানে বর্তমান সময়ে ফর্মা গুণে ক্যালকুলেটর টিপে বইয়ের হিসাব করা ছাড়া আর প্রকাশকদের কোনো দায় নেই, সেখানে সম্পূর্ণ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই শুধুমাত্র একজন লেখকের লেখার উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে একজন প্রকাশক প্রাণ কৃষ্ণ মাজিদা দায়িত্ব নিলেন আমার লেখা প্রকাশের। উন্মুক্ত মঞ্চে ঘোষণা করলেন, কোনো অর্থের বিনিময়ে নয়, একজন লেখকের লেখার প্রেমে পড়েই বই প্রকাশ করেছি। শুধু তাই নয়, এতোবড় একটি উৎসবে আমার কাছ থেকে একটি টাকাও নিলেন না, দিতে চেয়েও পারলাম না। প্রিয়বন্ধু কবি সঞ্জয় সাহা ও আবদুল কাইউম ভাইর প্রতি আমৃত্য কৃতজ্ঞতা। যারা এ অনুষ্ঠানটি নিজেদের মতো করেই স্বার্থকতার প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছেন। সঞ্জয় দার নির্দেশনা, কাইউম ভাইর উপস্থাপনা, মাজিদার ব্যবস্থাপনায় প্রানোময় এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আমি শুধু অতিথি হিসেবেই অংশগ্রহণ করেছি মাত্র।
“লেচু মিয়ার ঘর” নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিলো, কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সমালোচক ড. শংকরপ্রসাদ নস্কর মহোদয়ের। কিন্তু তিনি হঠাৎ এক দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পাওয়ায় অনুষ্ঠানে আসতে না পারায়, লেচু মিয়ার ঘর নিয়ে তার লেখা পাঠ করে শোনান বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী, শ্রী অঞ্জল চট্টোপাধ্যায়। বাচিক শিল্পী আবেদীন হক আদী, সুমিতা দে মুস্তাফি, পুষ্পিতা চ্যাটার্জী ও কৃষ্ণা নাগ চৌধুরী আমার লেখা কবিতা আবৃত্তি করেন।
ভালোবাসার কোলকাতার দূরের কাছের সকল বন্ধু শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আন্তরিক শুভ কামনা। দুই বাংলার বন্ধন যেনো থাকে সুদৃঢ়, অটুট।